স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলন কে দীর্ঘস্থায়ী করার গোপন রহস্য
শারীরিক মিলন দীর্ঘস্থায়ী ও অসাধারণ করতে:
শারীরিক মিলন এই কথাটি শুনতে বা বলতে আমরা প্রায় সকলেই খুব অস্বস্তি বোধ করি । কিন্তু জীব মানেই তাঁর মধ্যে শারীরিক একটা চাহিদা থাকবেই। আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের দাম্পত্য সম্পর্ক বা যৌন সম্পর্ক কে মধুর, অসাধারণ এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে। কিন্তু শারীরিক মিলনের ইচ্ছা কে বা শারীরিক মিলন টাকে আমরা খুব একটা ইতিবাচক চোখে দেখি না। ফলে এটা নিয়ে কথা বলতে বা আলোচনা করতে , কিংবা ভাবতে বড্ড কুন্ঠাবোধ করি।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
যার জন্য এটা নিয়ে মনের মধ্যে প্রবল ইচ্ছা, আকাঙ্খা থাকলেও তাকে কিভাবে মধুর করে তোলা যায় এটা নিয়ে কখনো রিসার্চ ই করি না।
আমি ছোটবেলায় দেখেছি, আমাদের বাড়ির কারো নতুন বিয়ে হলে সে যদি দিনের বেলা বৌ নিয়ে কিংবা বাড়ির কোনো মেয়ে হলে সে যদি তাঁর বর নিয়ে ঘরে বেশি সময় কাটায়, বা ঘরে যদি দড়জা দেয় তাহলে তাঁকে নিয়ে কেমন একটা সবাই নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা করত, খারাপ খারাপ কথা বলত। ওদের ধারণা, দিনের বেলা কখনো সঙ্গী নিয়ে ঘরে ঢুকতে নেই। যাঁরা বৌ বা বর নিয়ে বেশিক্ষণ ঘরে সময় কাটায় তাঁরা খুব একটা ভালো নয়। সহবাস বা শারীরিক মিলন , এই সব গোপন একটি বিষয় তাই রাতের অন্ধকারে যা করার করো , দিনের বেলা ন্যাকামো করো না।
তখন আমি ছোট ছিলাম, তাই খুব বেশি না বুঝলেও এটা বুঝেছিলাম যে, স্বামী স্ত্রী কে দিনের বেলা এক সঙ্গে থাকতে নেই। কি হাস্যকর ব্যাপার বলুন তো! যাইহোক, আসলে এভাবেই আমাদের মনে ছোটবেলা থেকেই মিলনের প্রতি একটা ভয়, সংকোচ বোধ তৈরি হয়, যার ফলে শারীরিক মিলন নিয়ে আমরা কথা বলতে বা ভাবতে পারি না। কিন্তু শরীর তো আর ও সব বোঝে না, সে তো সব সময় তার চাহিদা পূরণ করতে চাই।
আমি আগে এতো কথা বলে এলাম তার কারণ একটাই, আমাদের সকলকে আগে এটা বুঝতে হবে , যাঁরা সহবাস বা সেক্স বলতে শুধুই শরীরী খেলা ভাবে, তাঁদের চিন্তা ভুল। সেক্সের সঙ্গে শরীর- মন ভাল রাখার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।সমীক্ষা বলে, যে কোনও ধরনের শারীরিক সম্পর্ক, মানে সেলভ প্লেজারও স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক কথায়, সাইকোলজিক্যাল ডিফেন্স মেকানিজমের সঙ্গে ওতপ্রোওভাবেে জড়িয়ে আছে আমাদের সেস্ক লাইফ।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
পাশাপাশি নিয়মিত সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটি শরীরে ইষ্ট্রোজেনের ক্ষরণ বাড়ায়। যার ফলে চেহারায় দীপ্তি বাড়ে। এই জন্যই যাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের তাঁদের চেহারা এবং মনে দারুণ একটা উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। তাঁরা কর্ম জীবনে ভীষণভাবে সফলতা লাভ করে। কারণ তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য সুন্দর থাকে।
প্রতিবার শারীরিক মিলন দীর্ঘস্থায়ী এবং অসাধারণ করতে, প্রথম যে কাজটি করা উচিত সেটা হল- সেক্স নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, দিনের মধ্যে বেশ কিছু বার এটা নিয়ে কথা বলা, মজার মজার স্মৃতি এবং মূহুর্তের কথা উল্লেখ করে একটু আনন্দ করা। আমি আমার নিজের দাম্পত্য সুখী জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলতে পারি এটা করলে আপনার মস্তিষ্কে একটা আনন্দ, উত্তেজনা কাজ করবে এবং আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার মিলনের প্রতিটা মূহুর্ত মধুর হয়ে উঠবে। বেশিরভাগ মানুষই সেক্সের পর আর সেই বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলে না, ফলে মিলনের আগের মূহুর্তে যে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার দরকার সেটা হয় না।
আমি আজকে শারীরিক মিলন অসাধারণ এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে - ৮ টি পদ্ধতির কথা বলব।
#1.প্রথম বার সঙ্গীর সঙ্গে মিলনের সময় :
আপনি যখন আপনার সঙ্গীর সঙ্গে প্রথম মিলিত হবেন তখন কখনোই, আপনি উত্তেজিত হয়ে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আপনি যদি তাঁর মনের কথা বা ইচ্ছে টা না জেনেই নিজের ইচ্ছে তাঁর উপরে প্রয়োগ করেন তাহলে আপনার উপরে আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস বা নির্ভরশীলতার ভীত টা সেদিন ই নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফল স্বরূপ পরবর্তীতে আপনার সঙ্গী আপনার কাছে আসতে চাইবে না। শারীরিক মিলন টা তাঁর কাজে যন্ত্রণা দায়ক হয়ে উঠবে। তাই এই বিষয়ে নজর দেবেন।
আর একটা ভুল ধারণা আমাদের দেশের পুরুষ দের মধ্যে দেখা যায়, আমি অনেক আর্টিকেলেও দেখিছি, যাঁরা লেখেন বা ভাবেন - পুরুষের শারীরিক চাহিদা এটা করলে ওটা করলে মিটবে বা পূরণ হবে, আরে মশাই শারীরিক চাহিদা কি কেবল পুরুষের একার থাকে?? একটা মেয়েরও তীব্র শারীরিক চাহিদা থাকে। যদি তাঁর সঙ্গী তাঁর মন পড়তে পারে বা তাঁর সঙ্গে আলতো মিষ্টি করে ভালোবেসে তাঁকে কাছে নিতে পারে, তাঁর শরীর জাগিয়ে তুলতে পারে তাহলে একটি মেয়ের কাছে আপনি একবার নয় বারবার হেরে যাবেন। তাই তাঁকে ঠিক মতো বুঝলে আপনাকে সে চোখে হারাবে, আমি একটু গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। সে মেয়ে কোনো দিন অন্য কোনো পুরুষের দিকে ফিরেও তাকাবে না। আবার একটি পুরুষ ও যদি তাঁর সঙ্গীর কাছে শারীরিক দিক দিয়ে তৃপ্তি পায় তাহলে সে পুরুষ তাঁর সঙ্গী কে চোখে হারাবে। এটা সম্ভব কেবল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে। দাম্পত্য সঙ্গী কেবল সেক্স পার্টনার নয়, আগে তাঁকে বন্ধু করে নিতে হয়।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
#2. মিলনের সময় নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করুন:
কিছুদিন আগে আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তো কথা বলতে বলতে ও আমাকে জানালো- ওর আর শারীরিক ভাবে মিলিত হতে ইচ্ছে করে না । ও সব আর ভালো লাগে না । আমি যেহেতু Relationships এর উপরে তথ্য সংগ্রহ করি, তাই ওর কথা শুনে কিছুক্ষণ থমকে গেলাম এবং ওকে বারবার জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম, কেনো ওর মিলনের প্রতি ইচ্ছে টা চলে যাচ্ছে। তো অনেক কথার পরে ও জানালো, ওর husband সেই বিয়ের পর থেকেই মিলনের একি রকম কৌশল অবলম্বন করে । ওর তাতে ভালো লাগে কি লাগে না কখনোই ওর husband সেটা জানতে চাই না। ঐ যে একটু আগেই বললাম, পুরুষ ভাবে মেয়েদের আলাদা করে তৃপ্তি পাওয়ার কোনো ব্যপার নেই। এই ভুল ধারণা থেকে বহু সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
তাই ধারণা পাল্টান, আপনার সঙ্গী কিসে বা কোন পদ্ধতিতে তৃপ্তি পাবে সে বিষয়ে তাঁর পরামর্শ নিন, তাঁর সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলুন। তাঁর মুখ দেখে তাঁর মনের ইচ্ছা বোঝার চেষ্টা করুন । তাহলেই আপনাদের শারীরিক মিলন দীর্ঘস্থায়ী এবং অসাধারণ হয়ে উঠবে।
#3. মিলনের প্রতি দুজনের উৎসাহ:
শারীরিক মিলন অসাধারণ এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে দুজনের উৎসাহ সমান থাকা প্রয়োজন। একজন যদি খাঁটে লাশ হয়ে পড়ে থাকে তাহলে সেই মিলন কে আর যাইহোক দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয়। আপনার সঙ্গী সেই মূহুর্তে মিলিত হতে চাইছে কিনা সেটা শারীরিক টার্চের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করুন।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
সব থেকে ভালো হয় খোলাখুলি আলোচনা করা। যদি দাম্পত্য সম্পর্ক টা বন্ধুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে এক জন আর একজনের মনোভাব বুঝতে সময় লাগে না। দুজনের যদি মিলনের সমান ইচ্ছে না থাকে তাহলে সে মিলন যান্ত্রিক হয়ে ওঠে।
এই জন্যই সঙ্গী কে একটু যত্ন করা তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া, তাঁর ভালো লাগা খারাপ লাগার প্রতি নজর দিলে সে আপনার শারীরিক চাহিদা কেও গুরুত্ব দেবে বা আপনাকে বুঝবে। কিন্তু আপনি যদি সম্পর্কের জোর খাটাতে চান তাহলে আপনি নিজেও ভালো থাকবেন না, আপনার সঙ্গী ও ভালো থাকবে না।
তাই সঙ্গী কে মিলনে উৎসাহিত করতে তাঁর সঙ্গে একটা সহজ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
অনেকেই আছে, শারীরিক মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করেন, দীর্ঘ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কখনোই এটা ভালো পন্থা নয়। অরগানিক সবজি যেমন আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো ঠিক তেমনি অরগানিক মিলন ও আমাদের জন্য মঙ্গল।
#4. ফোরপ্লে কিন্তু অবশ্যম্ভাবী:
দাম্পত্য জীবনে শারীরিক মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতে ফোরপ্লে প্রধান ভূমিকা পালন করে । মিলনের আগের মূহুর্তে সঙ্গীর শরীরকে যত জাগিয়ে তুলতে পারবেন তত আপনাদের মিলন মধুর এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
অনেকেই শারীরিক মিলনের আগে ফোরপ্লে করার প্রয়োজন অনুভব করে না। এই সব দাম্পত্য জীবন তিন চার বছরের মধ্যেই শুকিয়ে যায়। আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন, শারীরিক মিলন কেবল শরীর কেই তৃপ্তি দেয় না, শরীরের সঙ্গে এখানে মন জড়িয়ে। তাই মন কে আগে প্রাধান্যে দেওয়া উচিত, তাহলে শরীর এমনিতেই জেগে উঠবে। আগেই বললাম সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটি তে শরীরে ইষ্ট্রোজেনের ক্ষরণ হয়, তাই এতে শরীর ও মনে জ্বেল্লা আনে। ফোরপ্লে করার পরে শারীরিক মিলন করলে শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তাই শারীরিক মিলনের আগে ফোরপ্লে মাস্ট।
#5. মিলনের একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠুন:
একটা কমন কথা অনেকের মুখেই শোনা যায়, অনেকেই বলে দাম্পত্য জীবন উপভোগ করা যায় ঐ নতুন নতুন মিলনের সময়, পরে ততটা আর ভালো লাগে না ।
এই ভালো না লাগার কারণ হলো, একঘেয়েমি মিলন। আপনি এই একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝে নিরালায় কোনও স্থানে গিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্টিক ভাবে মিলিত হোন। আপনাদের প্রথম মিলনের কথা দুজনেই মনে করে আনন্দ করুন, গল্প করুন। সেই সময় কে কতটা ঐ মিলন উপভোগ করেছিল সেটা একে অপরকে জিজ্ঞাসা করুন, তাহলে এই আলোচনা পর মন তরতাজা হয়ে উঠবে প্রথম দিনের কথা মনে করে এবং সেই মূহুর্তে মিলনের তীব্র ইচ্ছা জাগবে।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
এবং মিলনের জায়গা এবং সময় দুটোই মাঝে মাঝে পরিবর্তন করুন।অনেকেরই ধারণা রাতেই মিলনের আদর্শ সময়, কিন্তু এই ভাবনাটা ঠিক নয়, আপনারা যখন comfortable বোধ করবেন তখনই আপনাদের সেটা মিলনের আদর্শ সময় হয়ে উঠবে। এবং মিলনের পরে যদি শীত প্রধান দেশ হয় তাহলে হালকা উষ্ণ গরম জলে স্নান করলে শরীর মন ফ্রেস হয়ে ওঠে। আর যদি গরমের দেশ হয় তাহলে ঠান্ডা জলে স্নান করলে মনটা তরতাজা হয়ে উঠবে। এছাড়া মিলনের পরে বেশ কিছুক্ষণ দুজনে একসঙ্গে থাকা উচিত। এতে দুজন দুজনের প্রতি একটা মায়া তৈরি হয়, এবং সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
#6.পর্ণোগ্রাফি দেখে মিলনের ইচ্ছে না জাগিয়ে তোলাই ভালো:
কেউ যদি দিনের পর দিন পর্ণোগ্রাফি দেখে মিলিত হয় তাহলে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দেবে সেক্সুয়াল লাইফে। কারণ ওটাতে যেটা দেখানো তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই, এবং তার থেকেও বড় কথা একটা সময়ের পর পর্ণোগ্রাফি না দেখলে আর মিলনের ইচ্ছা জাগবে না।
তাছাড়া এটা আপনার সঙ্গী কতটা পছন্দ করছে সেটাও একটা বিশাল বড় বিষয়। কারণ সবাই ওটা পছন্দ করে না।তাই এই বদ অভ্যাস থেকে বিরত থাকাই ভালো।
#7. ঘুমের দিকে নজর দিন:
ঘুম আর যৌনমিলনের ইচ্ছা এই দুটোর মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক আছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা রাতে ভালো ঘুমায়, পরের দিন তাঁদের মিলনের ইচ্ছা অনেকটাই বেশি থাকে।আমাদের মধ্যে মিলনের আকাঙ্ক্ষা যত বাড়িয়ে তুলতে পারব তত আমরা যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো, এটাও গবেষণাই বলছে।গবেষণায় বলছে, যৌন সমস্যার মূলে রয়েছে জীবন যাপনের ভুল ভ্রান্তি। যদি ভুল গুলো শুধরে জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে আমরা হ্যাপি থাকতে পারব। তাই পর্যাপ্ত ঘুম, খাওয়া দাওয়া, এক্সারসাইজ, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গল্প গুজব ইত্যাদি সুস্থ সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
তাই শারীরিক মিলন কে আনন্দময় ও দীর্ঘস্থায়ী করতে, আপনি যখন আপনার সঙ্গীর কাছে থাকবেন তখন ফোন কাছে রাখবেন না। ঐ সময় টাকে উপভোগ করতে দুজন দুজনকে পুরো সময়টা দিন এবং একটা আবেগঘন মূহুর্ত তৈরি করুন তাহলে মিলন হবে আনন্দময়।
#8. সঙ্গী কতটা হ্যাপি তা জানতে ভুলবেন না:
এটা যৌনজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি বলা যায়। মিলনের পরে সঙ্গী হ্যাপি হলো কিনা সে খোঁজ নিরানব্বই শতাংশ মানুষ নেয় না । প্রথমেই বললাম সেক্স বলতে শুধু শরীরী খেলা নয়, এটার সঙ্গে আবেগ, মিষ্টি অনুভূতি জড়িত তাই একে অপরের ভালো লাগার খোঁজ নেওয়া একান্ত কাম্য।
আমাদের জীবনে সঙ্গীর গুরুত্ব অপরিসীম, তাই তাঁর মন বুঝে চলার চেষ্টা করুন, তাঁর ইচ্ছা অনিচ্ছা কে গুরুত্ব দিন, তাহলে আপনার দাম্পত্য জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে। এবং যাঁর বা যাঁদের দাম্পত্য জীবন সুন্দর তাঁদের যৌনজীবন ও মধুর হবে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
উপসংহার
পরিশেষে একটা কথাই বলার, আপনার যৌনজীবন কতটা হ্যাপি হবে সেটা সম্পূর্ণ আপনার মনোভাব, আপনার জীবনে চলার পদ্ধতি এবং আপনার ভাবনার উপরে নির্ভর করে গড়ে উঠবে। আপনি আপনার সঙ্গী কে যতটা বুঝবেন, ওকে যতটা আপন করে নিতে পারবেন তত আপনাদের শারীরিক মিলন দীর্ঘস্থায়ী ও অসাধারণ হয়ে উঠবে।
আপনি যদি মনে করেন, বিয়ের চার পাঁচ বছর পর সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে খুব একটা আনন্দ পাচ্ছেন না, তাহলে সত্যিই আপনি আনন্দ পাবেন না। আপনি সচেতন ভাবে যেটা ভাবেন আপনার মস্তিষ্ক সেটাই গ্রহণ করে এবং আপনার কথা মেনে নেয়। তাই দীর্ঘদিন সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হতে চাইলে নিজের সঙ্গী কেই পৃথিবীর সেরা সুন্দর বা সুন্দরী মনে করুন এবং সুযোগ পেলেই তাঁর প্রশংসা করুন ও আপনি আপনার সঙ্গী কে জীবনে পেয়ে দারুণ খুশি এটা তাঁকে জানাতে ভুলবেন না। তাহলেই প্রতিবার অসাধারণ এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠবে আপনাদের শারীরিক মিলন।
ধন্যবাদ।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
তথ্যসূত্র সংগৃহীত এবং নিজস্ব মতামত।
TAGS- Happy sex life, Happy relationship
কোন মন্তব্য নেই: