বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া কি উচিত?
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক:
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, এ প্রশ্নের উত্তর এমন কোন অবিবাহিত ছেলে মেয়ে নেই যে, যাঁর মনে একবার হলেও উঁকি দেয় না।বর্তমানে আমরা সকলেই আধুনিক মনস্ক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলেছি, তাই বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই এখন বেশ খোলামেলা। তবে আমরা যে সমাজ সংসারে বাস করি সেখানে এখনো এতোটা ও আমরা আধুনিক হয়ে যায় নি, যে বিবাহের আগে কোন নারী কিংবা পুরুষ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তাঁকে সবাই ধন্য ধন্য করবে,বা তাঁকে সুনজরে দেখবে। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক
চিত্র সূত্র- pixabay.com
সাধারণ একটি মেয়ের আঠারো বছর পার হলেই তাঁর মনে শারীরিক সম্পর্কের সুপ্ত ইচ্ছে মনে অল্প বিস্তর প্রবেশ করে।যদিও তার আগেও অনেকেই এ বিষয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে, পিরিয়ডস শুরু হওয়ার পর পরই । একটি ছেলেও উনিশ, কুঁড়ি বছর বয়সে উপনীত হলেই শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে এখন আর কোন ছেলে মেয়েরই এ নিয়ে অন্যের কাছে কিছু শোনার জন্য কৌতুহলী হতে হয় না বা অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয় না। গুগুল বাবাই তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শারীরিক সম্পর্ক কি, কিভাবে এই সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয়, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে হলে কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়, সে সব না হয়, সোস্যাল মিডিয়া মারফত জানা যায়। কিন্তু বিবাহের আগে এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া কতটা নিরাপদ বা সমীচীন এটাই হল লাখ টাকার প্রশ্ন!
প্রথমেই বলে রাখি, বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে একটি ছেলের তেমন কিছু যায় আসে না। কিন্তু একটি মেয়ের অনেক কিছু যায় আসে।তাই মেয়েদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া উচিত পরিবার থেকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা এ নিয়ে সন্তানের সঙ্গে কথা বলতেই এতো লজ্জা পায় যে, আমাদের এই লজ্জার কারণে আমাদের বাচ্চা ঠিক ভুল টা জানতে পারে না। ওদের শারীরিক মিলন সম্পর্কে আগাম কোন ধারণা না থাকাই অনেক ভুল করে বসে।
আমাদের কাছে একটা বাচ্চা যদি কন্ডমের এড চলা কালীন মা ওটা কি বলে ফেলে তাহলে তো আমরা লজ্জায় মুখ লুকায়। কিন্তু আধুনিক মনোবিদরা জানাচ্ছেন, তাকে ঐ সময় চুপ না করিয়ে দিয়ে তার প্রশ্নের যতটুকু তাকে বোঝানো সম্ভব ততটুকু উত্তর দিতে হবে। যেমন, এটা বলা যায়, ওটা বড়রা ব্যবহার করে, তুমিও বড় হলে বুঝবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে আমাদের ভাবনাই আরও আধুনিকতা আনতে হবে।তাহলে অনেক মেয়ের জীবন বেঁচে যাবে। তাঁরা যখন সেস্ক এর ভাল মন্দ বুঝতে শিখবে তখন নিজের থেকেই কোনটা ঠিক কোন টা ভুল বুঝতে পারবে।
আবার তাই বলে, বোঝাতে গিয়ে বাচ্চার মনে যেন ভয়ের বীচ বপন করে দেবেন না। এ প্রসঙ্গে ডেল কার্নেগি র গ্রন্থ থেকে একটি শিক্ষা মূলক ছোট গল্প শেয়ার করি---
একদা, হেনরি নামে একটি মেয়ে ছিল, যে তাঁর মায়ের প্রতিটি কথা কে বেদ বাক্য মনে করত। তো হেনরি যখন একটু বড়ো হয়েছে তখন একদিন ওর বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পেল। হেরির মা হেরিকে সেই পার্টিতে নামিয়ে দেওয়ার সময় হেনরি কে বললেন, দেখো হেনরি তুমি সুন্দরী, তুমি বেশ বড় হয়েছ। আজ এই পার্টিতে আসা অনেক ছেলেই তোমার কাছে আসার চেষ্টা করবে, তোমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করবে। তুমি কিন্তু কখনোই কাউকে কাছে আসতে দেবে না। এটা তুমি সর্বদাই মনে রেখো একটি মেয়ের বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে নেই। কাউকে স্পর্শ করতে দিতে নেই। এতে পাপ হয়।
সেদিনের সেই কথা হেনরির মনে গেঁথে গিয়েছিল। সে সব সময় ছেলেদের এড়িয়ে চলত। এভাবেই হেনরি বড় হয়ে উঠল, এবং যখন তাঁর চব্বিশ বছর বয়স তখন তার একটি ছেলে বন্ধু তৈরি হল। একদিন সেই ছেলে বন্ধুটির সঙ্গে হেনরি বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ল। এবং সে তাঁর মায়ের কথা ভুলে ছেলেটিকে কাছে টেনে নিল।
সেদিন টা হেনরির খুব ভাল কাটল। পরের দিন হেনরি যখন ঘুম থেকে উঠল, তখন প্রথমে একটা সুন্দর অনুভূতি অনুভব করল, আগের দিনের ঘটনার কথা ভেবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হেনরির মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। এবং ওর শরীরের মধ্যে অস্বস্তি হতে শুরু করল। সে তাঁর পুরুষ বন্ধুটির কাছে ফোন করল। কিন্তু তাঁর পুরুষ বন্ধু টি ফোন ধরল না। কারণ হেনরির মতো তাঁর অনেক বান্ধবী আছে। সে ইতিমধ্যেই হেনরি কে ভুলে গেছে।
হেনরি এবার প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছে,নিজেকে অপরাধী, পাপী মনে হচ্ছে। এবার ওর মধ্যে আত্মগিলানী হওয়া শুরু হয়ে গেছে। হেনরি ঠিক করল, সে পাপ করছে তাই তাঁকে সে নিজেই পাপের শাস্তি দেবে। হেনরি ভাবল, আমি প্রচুর খাবার খাবো, এবং মোটা হয়ে যাব, তাহলে আমার দিকে আর কোন দিন কোন পুরুষ তাকাবে না। আমার বিশ্রী চেহারা দেখে আমার কাছে কেউ আসবে না।তখন হেনরি অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে যাচ্ছে।ওর মাথায় কোন কাজ করছে না। মানসিক অবসাদ
চিত্র সূত্র- pixabay.com
এরপর হেনরি প্রচুর খাদ্য খেতে শুরু করল এবং বিশ্রী রকমের মোটা হয়ে গেল। তাঁর সুন্দর চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে। পরে অবশ্য হেনরি একবার ডায়েট অনুসরণ করতে চেয়েছিল কিন্তু পারিনি। তখন ভাবল, থাক অনেক মেয়ে তো মোটা হয়েই জন্মায় এবং তাঁরা আজীবন মোটাই থাকে।
ফুলের মতো সুন্দর একটি মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে গেল, স্রেফ ভয়ের জন্য। তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে হেনরির মা কি তাহলে ভুল করেছিল, মেয়ে কে সতর্ক করে দিয়ে?
না, হেনরির মা সতর্ক করে কোন ভুল করেননি। কিন্তু মেয়ের ছোট্ট মনে পাপ বোধের বীচ বপন করে দিয়ে ভুল করেছিল। মেয়ে কে সতর্ক করার সঙ্গে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল সেই ছোট্ট বেলায়।
হেনরির মনে যদি পাপের ভয় না থাকত, তাহলে সেদিনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে আবার জীবন শুরু করতে পারত। এটা কিন্তু কোন গল্প নয়, সত্যি ঘটনা।
আবার ফিরে মূল প্রসঙ্গে----
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে জেনে নিও----
সম্পর্ক কতটা মজবুত?
আমি যতই বলি বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়, আমার এই ঠুনকো কথা কেউ শুনবে না।এবং এটাও চরম বাস্তব যে বর্তমানে প্রেম মানেই শারীরিক সম্পর্ক। এমন কোন ছেলে মেয়ে নেই যে ঘনিষ্ঠ হয়ে মেলামেশা করছে দিনের পর দিন আর তাঁরা শারীরিক সম্পর্ক ব্যতী রেখেছে। তাই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়োনা এ কথা বলা বৃথা।
তাই আমি ও প্রসঙ্গে না গিয়ে বরং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে কোন বিষয় গুলি জানা উচিত সেগুলো আলোচনা করব।
আর এ আলোচনার প্রথম পয়েন্ট হল-- সম্পর্ক কতটা মজবুত?
যে সম্পর্কের জন্য জীবনে এতো বড় রিস্ক নিতে যাচ্ছ, সেই সম্পর্ক টা কতটা মজবুত সেটা আগে যাচাই কর। সম্পর্ক টার আদেও কোন ভবিষ্যত আছে কিনা সেটা দেখ। এমন যেন না হয়, দিনের পর দিন শারীরিক সুখ যাঁকে দিচ্ছ সে একদিন হঠাৎ বাই বাই বলে উধাও হয়ে গেল।
একটা মেয়ের জীবনে সব থেকে মূল্যবান তাঁর সম্মান। আমরা যদি নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার না থাকি তাহলে তার ফল ভোগ করতে হবে আজীবন। একবার যদি মনে আত্মগিলানী উঁকি দেয় তাহলে জীবনে আর কোন দিন ও মনে শান্তি আসবে না।
কোন সম্পর্ক নষ্ট হলে, একটা ছেলে কষ্ট পায় আর একটা মেয়ে কষ্টের সঙ্গে যন্ত্রণা পায়। তাই যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারো তাহলেই বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হও। না হলে ভেবে চিন্তা কাজ করো। সেই কথায় আছে---
ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
সে কতটা ভালোবাসে লক্ষ্য কর
ভালোবাসা অনেক ধরনের হয়। এক একজনের ভালোবাসার প্রকাশ এক এক রকমের হয়। কিন্তু লক্ষ্য কর,তোমার পাশের মানুষ টা কি শুধুই তোমার শরীর চাই? নাকি গভীর ভাবে ভালোবাসে। মেয়েরা কিন্তু খুব সহজেই বুঝতে পারে কে ভালোবাসে আর কে অভিনয় করে।
কিন্তু অনেক সময় একটি মেয়ে নিজে তাঁর পাশের মানুষ টার সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে যে সে বুঝতে পারে তাঁর পাশের মানুষ টা তাঁকে সে ভাবে ভালোবাসে না কিন্তু সে ভাবে, ওর কথা অনুযায়ী চলি তাহলে একদিন ও আমার মায়ায় বাঁধা পড়বে। ক্ষণিকের আবেগ
চিত্র সূত্র- pixabay.com
এবং এই আশা বুকে নিয়ে দিনের পর দিন ঠকে যায়। তাই সাবধান এখানে আবেগ নিয়ে খেলো না। বুদ্ধি প্রয়োগ কর। ক্ষণিকের আবেগ যেন জীবন না নষ্ট করে সে দিকে লক্ষ্য রাখো।
সে কি বিশ্বাসের উপযুক্ত?
যাঁকে বিশ্বাস করে নিজের মূল্যবান সম্পদ দিচ্ছ, সে কি তার দাম দেওয়ার মতো উপযুক্ত? মাঝে মাঝে ছোট খাটো পরীক্ষা নাও, তাঁর মন যাচাই কর।
এক্ষেত্রে একটা কথা বলব, শুধু যে কোন ছেলে একটি মেয়েকে ঠকায় তা কিন্তু নয়, অনেক মেয়ে ও আছে যাঁরা ছেলেদের আবেগ নিয়ে খেলা করে। তাই সতর্ক হও সবাই।
কোন সম্পর্কের মূল সম্পদ হল বিশ্বাস।তাই দুজনের মধ্যে বিশ্বাস রাখার মতো জায়গা তৈরি হয়েছে কি না সেটা দেখ।
সে কি তোমার কেয়ার করে?
যে ছেলে বা মেয়ে তাঁর সঙ্গী কে যত্ন করে, আগলে রাখতে চাই তাঁদের সম্পর্ক কোন অঘটন না ঘটলে নষ্ট হয় না। যে তোমাকে মন থেকে ভালোবাসবে সে তোমার ভালো মন্দের চিন্তা করবে। তাঁর কাছে তোমার একটা মূল্য থাকবে।
তবুও আমি বলব, অনেক ভেবে চিন্তে বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা উচিত।
¤এবার জানব, বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে কি কি সমস্যা ফেস করতে হয়?
#1.অনাকাঙিক্ষত গর্ভধারণ:
কোন কারণে একটু ভুল হলেই পুরো জীবনটাই নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। একটি মেয়ের জীবনে সব থেকে সুখের মূহুর্ত মা হওয়া। সেটা অবশ্যই বিবাহের পরে। সেই ঘটনা যদি বিবাহের আগে ঘটে যায় তাহলে একটি মেয়ের কাছে এর থেকে লজ্জা জনক আর কিছু নেই।
ধরা যাক, কোন কারণে এমন ঘটনা ঘটে গেল, এবং নিজের সম্মান বাঁচাতে গর্ভপাত করাতে হল, এবং তাঁর সঙ্গে বিয়েও হল না। তারপর অবস্থা টা কি দাঁড়াবে সেটা আগাম কল্পনা করে নাও।এছাড়া পরবর্তীতে যখন অন্যত্র বিয়ে হবে তখন আগের ঘটনা মনে পড়লে নিজেই নিজেকে ঘৃণা করতে শুরু করবে। কারণ আমরা আমেরিকা বাসী নই। আমরা কিছু সংস্কার নিয়ে বড় হয়েছি। তাই সাবধান।
#2.মানসিক যন্ত্রণা:
কোন কারণে যাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছ, তাঁর সঙ্গে বিয়ে যদি না হয় তাহলে আগের সেই ঘনিষ্ঠ মূহুর্ত যতবার মনে পড়বে ততবার মানসিক যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাবে। এবং এর জন্য অবসাদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে নব্বই শতাংশ।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
তাই আজকের ছোট্ট ভুল যেন সারাজীবনের যন্ত্রণার সঙ্গী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
#3.ঝুঁকি পূর্ণ গর্ভপাত:
এমনিতেই গর্ভপাত ই ঝুঁকি পূর্ণ। গর্ভপাত করলে পরবর্তীতে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া রক্ত ক্ষরণ হয়। এবং অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
গর্ভপাত করাতে গিয়ে অনেক সময় জরায়ুর নাড়ি তে আঘাত লাগে বা বাদ পড়ে যায়। তাই সাবধান।
#4.জন্মনিয়ন্তক পিল:
অনেকেই বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্ক করার আগে বিভিন্ন জন্মনিয়ন্তক পিল সেবন করে, যেটা খুব ক্ষতিকারক। দিনের পর দিন যদি কেউ জন্মনিয়ন্তক ওষুধ সেবন করে তাহলে তার প্রভাব তাঁর শরীর ও মনে পড়বে।
#5.দাম্পত্য জীবনের আকর্ষণ নষ্ট হয়ে যায়:
বেশিরভাগ নারী পুরুষ ই যদি বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্কে দিনের পর দিন লিপ্ত হয় তাহলে বিশেষ করে ছেলেরা বিবাহ করার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ তাঁর সব তৃপ্তি মিটে গেছে, মেয়েটির শরীর সম্পর্কে ওর আর নতুন কিছু জানার নেই বা আকর্ষণ নেই।
আর যদি বিবাহ ও হয় তবুও সেই মিষ্টি অনুভূতি আর থাকে না। কিছু দিন পরে দুজন দুজনের কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।
#6.সামাজিক ও পারিবারিক প্রভাব পড়ে:
আমাদের সমাজ কখনোই বিবাহের আগে শারীরিক সম্পর্ক বিষয় টি মেনে নেবে না। তাই যদি কোন পরিবার এটা জানতে পারে যে তাঁদের মেয়ে বা ছেলে বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছে তাহলে তার চাপ টা কতটা বাড়বে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এবং সমাজের যদি কেউ এমন ঘটনার কথা জানতে পারে তাহলে তো সে খবর হবে মুখরোচক চাটনি। এই ঘটনার পর সেখানে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়বে। আর পরিবারের সবাই কে তোমার দায় বয়ে বেড়াতে হবে। তাই খুব ভেবে চিন্তে এগোতে হবে।
আরও পড়ুন: কাউকে বিয়ে করার আগে কী কী জানা উচিত
উপসংহার
জীবনে মজা করার, আনন্দ করার অনেক সময় পাওয়া যাবে। সবার আগে কেরিয়ার তৈরি করতে হবে, নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে হবে। তারপর যাঁকে জীবন সঙ্গী নির্বাচন করতে পারবে বলে মনে হবে তাঁর সঙ্গেে সম্পর্কে জড়াবে।
এটা সব সময় সবার মনে রাখা উচিত যে, কাউকে ঠকিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারবে না। আমার জীবন টা যেন অন্যের অভিশাপ নিয়ে না কাটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আজ যদি আমি কাউকে ঠকায় তার শান্তি আমি ঠিক একদিন না একদিন পেয়ে যাব। তাই সাবধান।
ধন্যবাদ।
চিত্র সূত্র - pixabay.com
মতামত- নিজস্ব।
Tags, Relationships, sex life, love making.
কোন মন্তব্য নেই: