বিয়ে না করে সারাজীবন একা থাকলে কী কী সমস্যায় পড়তে হয়?


একা থাকার সমস্যা
চিত্রসূত্র-pixabay.com

বিয়ে না করে সারাজীবন একা থাকার সমস্যা:


                 বর্তমানে এই আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে, এখন অনেকেই বিবাহ না করে একা থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিভিন্ন কারণে।বিয়ে করব কি করব না, এটা সত্যিই জীবনের সব থেকে বড় একটি সিদ্ধান্ত।তাই এমন একটি সিিদ্ধান্ত নিতে গেলে প্রচুর ভবনা চিন্তা র প্রয়োজন।কোন আবেগ বশত মনোভাব এখানে না প্রযোগ করাই ভাালো।

              আমরা যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা বেশিরভাগ ই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।তার অবশ্য অনেক গুলো কারণ আছে।বিয়ে না করে সারাজীবন একা থাকলে কী কী সমস্যায় পড়তে হয় তা নিয় আমাদের মধ্যে একটা ধারণা প্রচলিত যে, যদি আমি সারাটা জীবন একা থাকি তাহলে আমাকে ভবিষ্যতে দেখবে কে? শেষ বয়সে খাওয়াবে কে? 


          এই ধারণা গুলো আমাদের মনের মধ্যে সেই ছোটবেলা থেকেই গেঁথে দেওয়া হয়, ফলে জীবনে যে বিয়েই করব না এই ভাবনা সহজে আমাদের মনে আসে না।

        কিন্তু এখন কার মানুষ আর আমাদের মতো পরিবারের দেখানো পথেই যে চলতে হবে এই মতবাদে বিশ্বাসী নয়,ফলে তাঁরা জীবনে যে সিদ্ধান্ত টা নিচ্ছে সেটা যথেষ্ট ভেবে চিন্তেই নিচ্ছে।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হল একটা মানুষ বিয়ে না করে সারাজীবন একা একা থাকার সিদ্ধান্ত কখন নেয়?


               আমি যখন চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কলকাতায় একটি মেসে থাকতাম তখন সেই মেসের উপরের তলাতে একজন বয়স্ক দাদু থাকতেন।তা আমরা সব মেয়েরা যখন বিকালে ছাঁদে যেতাম তখন মাঝে মাঝে সেই দাদু টি ছাঁদে আসতেন এবং আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন।

         দাদুর বয়স প্রায় নব্বই এর কাছাকাছি, বুঝতেই পারছেন অনেক বয়স।সেই দাদু জীবনে বিয়ে করেন নি।এর মধ্যেই জানিয়ে রাখি,এই দাদু হল আমাদের মেসের মালকিনের জেঠু।এবং আমাদের যেহেতু লেডিস মেস তাই,ঐ মেসের উপরের তলাতে আর একজন ভদ্রমহিলা থাকতেন, তিনি মালকিনের শাশুড়ি মা।তাহলে সম্পর্কে দুজন বেয়ায় বেয়ান,দুজনেই বয়স্ক।


          মজার বিষয় হল এই দুজন দুজনকে সহ্য করতে পারতেন না।মাঝে মাঝে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝকড়া লাগত,তখন যেহেতু মেসের কাকি মা রা এখানে থাকতেন না, তাই অগত্যা আমরা গিয়ে দুজন কে থামাবার চেষ্টা করতাম যাইহোক মূল প্রসঙ্গে আসি, 

          আমরা সেই দাদুকে জীবনে বিয়ে না করার কারণ জানতে চাওয়ায়,তিনি জানিয়েছিলেন, 
তিনি যুবক বয়সে দারুণ সুন্দর দেখতে ছিলেন, খুব ভালো পোস্টে চাকরি ও করতেন, কিন্তু তিনি মেয়েদের কে খুব ভয় করতেন। বিবাহ শব্দটিই তাঁর কাছে ভয়ঙ্কর ছিল।তাঁর মনে হতো আমার পক্ষে একজন মানুষের দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়, তাছাড়া আমার নিজের ইচ্ছা গুলো অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।আমার নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না।অতএব বিয়ে না করাই শ্রেয়।

             শুধু এই দাদুই নয়,বিয়ে না করে সারাজীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত যাঁরাই নেন,তাঁদের সবার মনের মধ্যে কোন না কোন ভয় বাসা বাঁধে।সে যে কোনো ভয় হতে পারে।

কেউ কেউ ভাবে আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হবে, কেউ ভাবে বিয়ের পরে প্রচুর দায়িত্ব সামলাতে হয়,কেউ ভাবে আমি দেখতে সুন্দর নই ,আমাকে কেউ পছন্দ করবে না, কেউ আবার কর্ম করার ভয়ে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন।মোট কথা এক একজনের এক একরকম মতবাদ থাাকে বিয়ে না করার প্রসঙ্গে

তবে আমার দেখা ঐ দাদুর কথা বলি, তিনি কিন্তু পরবর্তীতে আফসোস করতেন বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।কারণ যখন তাঁর বয়স হল তখন তাঁকে কেউ দেখতে চাইত না।তিনি শেষ জীবন টা ভীষণ অবহেলার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন।তাঁর নামে প্রচুর অর্থ ছিল, সবাই তাঁর অর্থের লোভ করত কিন্তু বিনিময়ে তাঁকে কেউ একটু  যত্ন করতে চাইত না।

আমাদের দেখে ভীষণ কষ্ট লাগত যে, তিনি নিজে একা একা ডাক্তার দেখাতে যেতেন,নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য কতো মানুষ কে ফোন করতেন, একা একা শিড়ি দিয়ে টলতে টলতে উঠতেন, আমরা দেখতে পেলে সাহায্য করতাম।কিন্তু আমরা তো সব সময় থাকতাম না।
সেই মানুষ টার কষ্ট দেখে আমাদের সত্যিই খুব কষ্ট হতো।

তবে আবার আর একটা বিষয় ভীষণ ভাবে সত্যি যে,আপনার যদি জীবনে বিশাল বড় কোন ইচ্ছা থাকে, নিজের জীবন টাকে সাধারণ ভাবে না কাটিয়ে অসাধারণ কিছু করতে চান,তাহলে সে ক্ষেত্রে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত টা সত্যিই মহত্ একটি কাজ।আপনি যদি দেশ সেবার কাজে, সমাজ সেবার কাজে নিজেকে উত্সর্গ করেন তাহলে এর মতো ভালো সিদ্ধান্ত আর কিছু হয় না।

যেমন এ পি জে আবদুল কালাম স্যার।নিজের স্বপ্ন পূূরণে ব্যাঘাত ঘটতে পারে এই ভেব বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থেকেছেন।এক বার তিনি এক সাক্ষাত্কারেে জানিয়েছেন যে, জীবনে বড় হতে গেলে ছোট্ট ছোট্ট কিছু  বিষয় জীবন থেকে ত্যাগ করতে হয়।আমার কাজ আমার কাছে বড় তাই আমি এই বড় বিষয় কেই জীবন হিসাবে বেছে নিয়েছি।

স্বামী বিবেকানন্দ, যে মানুষ টা তরুুণ প্রজন্মের কাণ্ডারী হয়ে এই পৃথিবী দর্শন এ এসেছিলেন। এই মহান ব্যক্তি গুলো কাজের বাইরে আর কিছু ভাববার প্রয়োজন মনে করতেন না। সামান্য সংসার জীবন এই মানুষ গুুলোর কাছে তুুুুচ্ছ ।

বর্তমানে আর একজন মহান ব্যক্তি রতন টাটা। যে মানুষ টা প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়েও সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি দেশের সেবায় সর্বদা এগিয়ে আসেন।

আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মনোভাব হল,আমি যদি বিয়ে না করি, সন্তান না ধারণ করি তাহলে আমার মৃত্যুর পরে আমার সম্পত্তি ভোগ করবে কে? আমার মৃত্যুর পর আমার বংশ রক্ষা করবে কে?

চিন্তা ভাবনা যদি সাধারণ হয়,তাহলে কর্ম পদ্ধতি তো সাধারণ হওয়া টাই স্বাভাবিক।আমি যখন এই পৃথিবীতে থাকব না তখন আমার বংশ রক্ষা হল কি না হল তাতে সত্যিই কি কিছু যায় আসে? 
একা থাকার সমস্যা
চিত্রসূত্র-pixabay.com


           তাই যদি জীবনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেয় বা একা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন তাহলে জীবন টাও কিন্তু সে ভাবেই পরিচালনা করতে হবে।এমন কিছু করতে হবে যাতে মনব জীবন গ্রহণ  করা সার্থক হয়।

কিন্তু আপনি যদি সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করেন এবং তার পরেও সারা জীবন একা একা কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আপনাাকে কিছু সমস্যা  সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

যেমন-------

#1.স্বনির্ভর না হলে সমস্যা:


                                                          আপনি যদি একা একা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু কাজ করতে হবে যাতে আপনাকে ভবিষ্যতে অন্যের মুখাপেক্ষী না হতে হয়।

জীবন টা কিন্তু ছোট নয়,বেশ বড়। তাই যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। 

আপনার কাছে যদি যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সম্পদ না থাকে তাহলে আপনার দুঃখের আর শেষ থাকবে না।সন্তান থেকে অর্থ থেকে তাই শেষ বয়সে দেখার কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না,আর আপনার যদি অর্থ সম্পদ কিছুই না থাকে তাহলে ভীষণ ই বিপদে পড়তে পারেন।

             তাই যদি আপনার একা একা জীবন কাটানোর সত্যিই ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি আগে নিজের একটা পরিচয় তৈরি করুন, ভালো কোন কর্মে যুুক্ত হোন। না হলে সমস্যা অনিবার্য।

#2.মন খারাপ হলে অসহায় লাগবে:


                         আপনি ধরুন একা আছেন, বাইরের কোন কারণে বা নিজের কাজের কোন বিষয় নিয়ে মন টা খুব খারাপ,সেই সময় প্রতিটা মানুষই ইচ্ছা করে নিজের মনের কথা গুলো পাশের মানুষ টার সঙ্গে একটু খুলে বলি,আপনি যদি একা জীবন কাটান তাহলে সেই সুযোগ টা আপনার থাকবে না।

                 আমরা প্রতিটা মানুষ ই একটা সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠি, আমাদের একটা অভ্যাস থাকে সেই ছোটবেলা থেকেই নিজের সমস্যার কথা যার সঙ্গে একটু ভালো সম্পর্ক আছে তাঁকে  খুলে বলা।


             এই অভ্যাস টা পরিবর্তন করা একটু কঠিন।তাই মন খারাপ হলে কাউকে বলতে না পারলে একটু হলেও নিজেকে খুব অসহায় লাখবে।তাই এই সময় সমস্যা অনুভব করাটাই স্বাভাবিক।
একা থাকার সমস্যা
চিত্রসূত্র-pixabay.com


#3.উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনেরসম্ভাবনা:


                      এটা যাঁরা সাধারণ মানুষ অথচ একা থাকে তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়।জীবনে কোন ঠিক ঠিকানা না থাকায়, কেউ শাসন বারণ না করাই, জীবন টা উচ্ছৃঙ্খল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

       ধরুন কোথায় গল্প করছেন, আপনি জানেন, আপনার খোঁজ নেওয়ার মতো কেউ নেই, কাউকে কৈফিয়ত ও দিতে হবে না অতএব যা খুশি তাই করা সম্ভব হয়।

আপনার ইচ্ছা হল আজ বেশ জমিয়ে নেশা করব,বন্ধুদের সঙ্গে সারা রাত পাটি করব, আপনি আপনার ইচ্ছা কেই প্রাধান্য দেবেন।কারণ আপনার ঘরে ফেরার কোন টান নেই। কিন্তু এভাবে চলতে চলতে একদিন দেখবেন আপনার জীবন টা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে যে সে জীবনের আর কোন দাম নেই।

#4.মানসিক অবসাদের সম্ভাবনা:


                         একা একা জীবন কাটালে মানসিক অবসাদ আসার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।কিছু মাস কিছু বছর একা একা থাকা সম্ভব, কিন্তু বৃহত্তম কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে একা থাকা টা খুবই চাপের।

জীবনে কিছু কিছু সময়  এমন ঝড় আসে যখন পাশে একটা মানুষের হাত ভীষণ প্রয়োজন হয়।সমস্যা প্রতিটা মানুষের জীবনেই আসে, সমস্যা বহির্ভূত কোন মানুষ এই পৃথিবীতে নেই।যে ব্যক্তি জীবিত তাঁর জীবনে তো সমস্যা আসবেই।কিন্তু এখান থেকে বার হতে গেলে জীবনে বিশেষ কাউকে অবশ্যই প্রয়োজন।

             এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে একা মানুষ মানসিক অবসাদে ভোগে।এছাড়া যাঁরা সবার সঙ্গেও বসবাস করে অথচ নিজের মনের কথা কাউকে বলতে পারে না বা বলার মতো কোন উপযুক্ত সঙ্গী পায় না তাঁরাও কিন্তু সবার মাঝখানে থাকলেও মানসিক অবসাদের স্বীকার হয়।
একা থাকার সমস্যা
চিত্রসূত্র-pixabay.com


#5.স্বাস্থ্য অবনতির সম্ভাবনা:


                          একা একা জীবন কাটালে কখনোই সময় মতো খাওয়া দাওয়া করা সম্ভব হয় না।কারণ নিজের একার জন্য রান্না করতে মন চাই না।আবার কেউ কিছু বলার না থাকায় অনেক সময় খাবার খেতেই মনে থাকে না।

এছাড়া রাস্তার চটজলদি খাবার খেয়ে অনেক সময় কাটানোর চিন্তা মনে আসে।এতে সময় ও ঝামেলা এই দুই থেকেই মুক্ত, তাই এমন সুযোগ মাঝে মাঝে নেওয়া হয়ে যায় ফলে এখানে সময় হয়তো বাঁচে কিন্তু জীবনের সময় কমতে থাকে। 

পরিবার না থাকলে প্রপার স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পাওয়া অসম্ভব।এক্ষেত্রে আপনি যত উচ্চস্থানেই থাকুন না কেন, প্রতিটা একা থাকা মানুষের ই স্বাস্থ্যের অবনতি দেখা যায়।তাই একা জীবন যাপন করলে এটা একটা ভীষণ বড় সমস্যা।

#6.ভালোবাসার অভাব বোধ:


                     আমরা জন্মায়ই ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে।পৃথিবীর এমন কোন প্রাণী নেই যে, জীবনে ভালোবাসা চায় না।ভালবাসা প্রতিটা মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষিত বস্তু। একার জীবন বেছে নিলে বুকের মধ্যে নিয়ে যত্ন করে রাখার মতো কেউ থাকবে না। মা বাবা সারাজীবন সবার বেঁচে থাকে না।মা বাবা চলে যাওয়ার পরে এই পৃথিবীতে আপন বলে কোন মানুষ আর থাকবে না।
একা থাকার সমস্যা
চিত্রসূত্র-pixabay.com

            আমরা যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁদের পক্ষে এমন জীবন যাপন করা খুবই কষ্টের।শারীরিক নয়,মানসিক একটা ছোঁয়া আমাদের মতো সাধারণ মানুষের প্রতি মূহুর্তে প্রয়োজন, এটা না হলে আমরা সুস্থ থাকব না।

কিন্তু আপনি যদি নিজের ভালোবাসা টা কোন কাজের মধ্যে প্রযোগ করেন,এবং সমাজ সেবার মতো কোন মহত্ কাজে নিজেকে উত্সর্গ করেন তাহলে আপনি ভীষণ ই ভালো থাকবেন।

#7.সুখ দুঃখ শেয়ার করতে না পারা:


                        অনেক সময় এমন কোন মজার ঘটনা ঘটে যেটা কাউকে বলার জন্য মন টা ছটফট করে,কিন্তু আপনার সেই মজার ঘটনা শোনার মতো কেউ নেই।
আপনি হয়তো কোন বন্ধু কে বলতে গেলেন ,কিন্তু তাঁর মন হয়তো সেই সময় ভালো না থাকায় আপনার কথা সে গুরুত্ব সহকারে শুনলোই না।এমন হলে আপনি পরে আর তাঁকে কিছু বলতে যাবেন না। এই সময় আপনার একবার হলেও মনে হবে বিয়ে না করে ভুল ই করেছি।

কিংবা আপনি হয়তো কোন বিষয়ে কারো কাছে আঘাত পেয়েছেন, আপনার বুকের মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে, অথচ সেই কষ্ট টা কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারছেন না, এটাও জীবন সঙ্গী না থাকলে খুব বড় সমস্যা।

#8.শেষ জীবনে একাকিত্ব অনুভব করা:



                  প্রতিটি মানুষের কাছে অজানা তাঁর শেষ জীবন টা কেমন কাটবে সেই বিষয়ে।তবুও আমরা সবাই চাই আমাদের শেষ জীবন টা যেন সুখের হয়।

                 আপনার বাড়িতে যদি বয়স্ক মানুষ থাকে তাহলে তাঁকে লক্ষ্য করবেন তাঁদের কথা বলার ধরণ অনেক টা বাচ্চা মানুষের মতো।আসলে বাচ্চা মানুষ আর বয়স্ক মানুষের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য থাকে না।বাচ্চা রা যেমন সব সময় মায়ের কোল ঘেঁষে থাকতে পছন্দ করে ঠিক তেমনি বয়স্ক মানুষ ও মানুষের সংস্পর্শ না পেলে রেগে যায়, তাঁকে গুরুত্ব না দিলে সে রেগে যায় কারণ এই সময় সে নিজেকে খুব একা ভাবে।
একা থাকার সমস্যা
চিত্রসূত্র-pixabay.com
আর আপনি যদি একা একা পুরো জীবন টা কাটান তাহলে আপনাকেও এমন সমস্যার পড়তে হতে পারে।কারণ এই সময় মানুষের একাকিত্ব তাঁকে গ্রাস করতে চাই।

#9.প্রচুর সম্পত্তি থাকলে প্রাণঘাতীর সম্ভাবনা:



                       আপনার প্রচুর অর্থ সম্পদে ভরপুর, কিন্তু আপনি একা,এদিকে আপনি কোনও মহত্ কাজের সঙ্গে ও যুক্ত নন, এমন হলে আপনার জীবন সংশয় হতে পারে।কারণ আপনার দেখার বা খোঁজ নেওয়ার মতো কেউ নেই,কিংবা হয়তো আপনাকে যাঁরা দেখাশোনা করছে তাঁরাই আপনার ক্ষতি করতে পারে।

তাই ধরনের মানুষ যাঁরা একা একা থাকেন তাঁদের নিজেকে সুরক্ষিত রাখার বিশেষ ব্যবস্থা করা উচিত।যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে।

#10.অবহেলার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকা:


                      আপনার অর্থ থাকলেও আপনি যদি একা থাকেন তাহলে আপনি যাদের দেখা শোনা করার জন্য রাখবেন তাঁরা আপনাকে খুব বেশি যত্ন করবে না।কারণ আপনার বয়স হয়ে গেলে আপনার ক্ষমতা কমে যাবে,তখন অর্থ থাকলেও আপনাকে কেউ ভয় করবে না।

কিন্তু আপনি যদি সংসার জীবনে থাকেন তাহলে আপনার কোন না কোন সন্তান মুখ কালো করে হলেও আপনাকে দেখবে।
আর আপনার যদি অর্থ না থাকে আর আপনি যদি একা জীবন কাটান তাহলে ও আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

তাই বিয়ে না করে সারাজীবন একা একা কাটালে আপনি অজস্র সমস্যার সম্মুখীন হবেন, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে বিবাহিত জীবন ও যদি সুখের না হয় তাহলেও আপনি হাজার সমস্যা ফেস করবেন।

তাই আপনি যদি আপনার মত পাল্টে বিবাহ জীবনে প্রবেশ করতে চান তাহলে পড়ুন----- কী কী নিয়ম মেনে চললে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে

 আপনি উপরের লিঙ্ক এ জেনে যাবেন।

যদি আমার লেখা ভাল লেগে থাকে তাহলে please শেয়ার করুন কমেন্টস করুন কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না।


Tags,একা থাকার সমস্যা, বৈবাহিক জীবন


ধন্যবাদ।

ফিচার চিত্রসূত্র- pixabay. com

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.