কাউকে বিয়ে করার আগে যে বিষয় গুলো জানা উচিত:
চিত্রসূত্র-pixabay.com
আগেকার দিনে বলতো হাজার কথা না হলে কোন বিয়ে সম্পন্ন হয় না।কিন্তু তখনকার দিনে হাজার কথা বলত বটে তবে, কাউকে বিয়ে করার আগে যে বিষয় গুলো জানা বিশেষ প্রয়োজন সে গুলো ই জানার প্রয়োজন মনে করত না।
এখনো কিছু কিছু পরিবার আছে যাঁরা কেবলমাত্র জাত পাত নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়।নিজের কমিউনিটির মধ্যে কত শত ভাগ।প্রচুর ব্রাহ্মণ পরিবার আছে যাঁরা এখনো ব্রাহ্মণ ছাড়া ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিতে চাই না।
অপরদিকে মুসলিম ও এমন পরিবার আছে যাঁরা পাঠান বংশের মানুষ তাঁরা তাঁদের ছেলে মেয়ের জন্য পাঠান বংশের ই সন্তান খোঁজে।
কিন্তু যে বিষয় গুলো সব থেকে জানা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোকেই মানুষ এড়িয়ে চলে।এবং এড়িয়ে চলে বলেই পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে প্রগতিশীল মানবজীবনে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে হচ্ছে আমাদের পুরানো ধ্যান ধারণা।বিবাহ এখন শুধু মাত্র নিয়তি নির্ধারিত থাকছ না।এখন কাউকে বিয়ে করার আগে অনেক বিষয় জানা প্রয়োজন।
হ্যাঁ, এটা ঠিক কাউকে বিয়ে করার আগে তাঁর বংশ পরিচয় ও জানা প্রয়োজন।কারণ আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিবাহ হল সারা জীবনের বন্ধন।এখানে কোন রকম ভুল হলে সেই ভুলের মাশুল গুনতে হয় সারা জীবন।
যদিও বর্তমানে নিজে দেখে শুনে,নিজে পছন্দ করে বিয়ে করে বেশির ভাগ ছেলে মেয়ে।তবুও এখনো আমাদের সমাজে পরিবার,আত্মীয় স্বজনের দ্বারা পছন্দ করে বিয়ে করার চল অনেকাংশেই আছে।
আগের থেকে পরিচয় থাকলে একে অপরের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়,যদিও যতক্ষণ না এক সঙ্গে অনেকটা সময় বসবাস করা হয় ততক্ষণ সব কিছু জানা সম্ভব নয়।তবুও একে অপরের প্রতি প্রাথমিক একটা ধারণা চলে আসে।কিন্তু একটা অচেনা অজানা ছেলে বা মেয়ের সম্পর্কে আগের থেকে খুব বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তবে, বিয়ে করার আগে যে বিষয় গুলিই উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন এবং কিছু পরীক্ষা বিবাহের আগে অবশ্যই করা প্রয়োজন সে গুলি হল ----পরীক্ষা বিবাহের আগে
#1.চরিত্র:
বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন।এখানে স্বচ্ছতার স্থান সব কিছুর আগে।যদি সম্বন্ধ করে বিবাহ হয় তাহলে বিবাহের আগে দুজন দুজনার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ খবর নেওয়া উচিত।কারণ দুজনের মধ্যে কেউ যদি বহুগামী সম্পর্কে লিপ্ত থাকে তাহলে ভবিষ্যত জীবনের জন্য সেটা খুবই খারাপ।এ হেন বদ অভ্যাস পরিবর্তন করা অসম্ভব।
তবে চরিত্র সম্পর্কে জানা মানে কিন্তু এই নয় যে তাঁর আগে কখনো কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো কি না।কারণ আধুনিক যুগে এটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সে কোনও একজনের সঙ্গে যদি কখনো সম্পর্কে জরিয়ে ও থাকে তাহলে সেটা তাঁর অতীত। তাই এটা নিয়ে জল ঘোলা করার কোনও মানেই হয় না।তবে এটা অবশ্যই জানা প্রয়োজন যে,সে এখন এই বিয়ে করতে মন থেকে ইচ্ছুক কি না।এবং বর্তমানে কোন খারাপ অভ্যাস আছে কি না।
কারণ যাঁর চরিত্র ভালো নয়,তাঁর সঙ্গে সংসার করা অসম্ভব।চরিত্র হল একটি সম্পর্কের ভীত।সেই ভীত যদি মজবুত না হয় তাহলে সে ঘর যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়বে।
যাঁর চরিত্র ভালো নয় সে কখনোই মন দিয়ে সংসার করতে পারবে না।তাঁর মন থাকবে সব সময় বাইরে।সে কোন দায়িত্ব নিতেও চাইবে না।সে সংসার জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াবে।
তাই কোন বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে তাঁর সম্পর্কে খুব ভাল করে খোঁজ খবর নেওয়া উচিত।
#2.সবার সাথে মানিয়ে চলার মনোভাব:
বিশেষ করে একটি মেয়ে যাতে শ্বশুরবাড়িতে সবার সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে চলে, বাড়ির বড় দের যত্ন অত্মি করে,যেন বড়দের মুখে মুখে তর্ক না করে,আত্মীয় পরিজন সবাই যাতে তাঁর প্রশংসা করে তেমনি শিক্ষা দেওয়া উচিত ।
আগেকার দিনে একটি মেয়ের বিবাহ হতো বেশ ছোট বেলায়।কিন্তু বর্তমানে একটি মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে, ফলে সে আগে থেকেই অনেক কিছু জেনে যায়।তাই বর্তমানে বাবা মা এই সমস্ত বিষয় নিয়ে ততটা মাথা ঘামায় না।এবং যাঁরা প্রেম করে বিয়ে করে তাঁদের এই সমস্ত চিন্তা করতে হয় না।
তবে কিছু মেয়ে আছে যাঁরা একা থাকতে বেশি পছন্দ করে।বেশি লোকজন ভির ভাট্টা পছন্দ করে না।কারো সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে চাই না।তবে এ ধরনের মেয়েরা কিন্তু খারাপ নয়।
কিন্তু এই সব পরিবারের উচিত তাঁর মেয়ে/ছেলে যেমন তেমন একটি একটি পরিবারে তাঁকে বিয়ে দেওয়া।তা না হলে পরবর্তীতে অশান্তির সৃষ্টি হয়।কারণ যে যেমন মানুষ বা যেমন ভাবে বড় হয়েছে সে তেমনই থাকবে।সে হঠাৎ করে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবে না।
তাই যাঁরা একা থাকতে বেশি পছন্দ করে তাঁদের ছোট্ট পরিবারে বিয়ে দেওয়া উচিত এবং অবশ্যই বিয়ে দেওয়ার আগে তাঁদের মেয়ে টি বা ছেলেটি যেমন সেটা খোলাখুলি বলা দরকার।
একটি ছেলেও যাতে তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে,যদি মেয়ে টি অচেনা হয় তাহলে তাঁকে একটু সময় দেওয়া, তাঁকে বোঝার চেষ্টা করা বিশেষ প্রয়োজন।
বিবাহের মতো একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার আগে বিবাহ সম্পর্কে একটি সুন্দর, সুস্থ ধারণা সবার মনের মধ্যে স্থান দেওয়া উচিত।বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন,এই বন্ধনকে দুজনেরই মর্যাদা দেওয়া উচিত।
#3.কুষ্ঠি বিচার:
বর্তমানে অনেক শিক্ষিত পরিবারই কুষ্ঠি বিচার কে খুব বেশি প্রাধান্য দেয় না।আগেকার দিনে বিয়ে মানেই ঠিকুজি গুষ্টি মেলানো ছিল মাস্ট।
এখন কুষ্ঠি বিচারের থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত পরিবার টি কেমন তার উপর।একটি পরিবার মার্জিত, রুচিশীল হলে সেই পরিবারের সন্তান ভদ্র হয়।যদিও যাঁরা প্রেম করে বিয়ে করে তাঁদের কাছে কুষ্ঠি বিচার কোনও প্রাধান্য পায় না।এক্ষেত্রে তাঁরা দুজন দুজনের পরিবার সম্পর্কে আগের থেকে ই সব কিছু যেহেতু জানে তাই এদের সমস্যা টা এই বিষয়ে কম।
তবে বিবাহের আগে সব থেকে যে বিষয় গুলিই প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন সে গুলি হল---- পাত্র পাত্রী শারীরিক সুুস্থ কতটা সে দিকে।এক্ষেত্রে প্রেমের বিয়ে হোক আর সম্বন্ধ করে বিয়ে তাতে কিছুু যায় আসে না। সকলের ক্ষেত্রে একি নিয়ম প্রযোজ্য।
আমার এই মূহুর্তে একটি বিশেষ কথা মনে পড়ে গেল ব্লক টি লিখতে লিখতে।অনেক আগের ঘটনা তখন আমি খুব বেশি সব বিষয়ে বুঝতাম না।আমার জ্ঞান ছিলো অতিসামান্য।
তো আমার এক বান্ধবীর দিদির বিয়ের সম্বন্ধ দেখা হচ্ছে, এর ই মধ্যে ও একদিন বলল দিদির বিয়ে প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। তাই আমি একদিন কৌতূহল বশত তাঁকে জিজ্ঞেস করছি যে, এই দিদির বিয়ের খবর কি? বিয়ে টা কি হয়ে গেল তুই তো কিছু বলছিস না!
ও আমার কথার উত্তরে জানালো যে, এই বিয়ে টা হবে না ।কারণ ছেলে শারীরিক পরীক্ষা করতে চাইছে না।কিছু পরীক্ষা করতে বলায় তাঁর খুব ইগো তে লেগেছে তাই আমাদের বাড়ির থেকে সম্বন্ধ টা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
আমি তো ওর কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েছি।আমি ভাবছি এ বাবা এটা কি হলো! এতো পরীক্ষা করার কি আছে? এরা একটু বেশি বেশি ই।তখন আমি সত্যিই বিবাহের আগে শারীরিক পরীক্ষা যে বিশেষ প্রয়োজন সে সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।
পরবর্তীতে এই বিষয় টি আমাকে ভাবিয়েছে আমার ই এক আত্মীয় ও কোনও পরীক্ষা না করে বিয়ে করার ফলে তাঁদের ফুটফুটে শিশু টি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এটা দেখে।ইতিমধ্যে ই প্রচুর অর্থ খরচ হয়ে গেছে তাঁদের সন্তানের চিকিৎসায়।।তাই এখন আমি মনে করি দুজনের ই কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা অতি অবশ্যই প্রয়োজন।
প্রজনন, সন্তান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের নীরোগ ও সুস্থ শিশুর জন্মলাভের জন্য চাই যথার্থ চিকিৎসা, বিজ্ঞানে র সাহায্য ও সতর্কতা, যাকে এক কথায় বলা যায় ম্যারেজ অ্যান্ড জেনেটিক কাউন্সিল।এটি নিছক ই কোন উপদেশ নয়, বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিষেধক ব্যবস্থা ও সার্থকতা মূলক কার্যাবলি।
#4.রক্তের গ্রুপ ও রক্ত পরীক্ষা:
প্রাক্ বিবাহের আগে শারীরিক পরীক্ষা ও কাউন্সেলিং অনেক দুরূহ ও জটিল সমস্যা কে সহজে সমাধান করে দিতে পারে, যাতে দুটি নারী ও পুরুষ উভয়ই দাম্পত্য জীবনে একটি সুস্থ,সবল শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখতে পারেন।
বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন অনেক শিক্ষিত পরিবার পাত্র পাত্রী র বিজ্ঞাপনে রক্তের গ্রুপ উল্লেখ করে দেন।কারণ মানুষের রক্তের প্রকৃতি ভিন্ন হয়। চিত্রসূত্ররর- pixabay.com
একই সঙ্গে RH Factor অর্থাত্ '+'( পজিটিভ) না' -' (নেগেটিভ) এটাও জানা খুব জরুরী।এছাড়া-
সিমেন অ্যানালিসিস পুরুষদের জন্য জানা জরুরী।মূলত স্পর্ম কাউন্ট, মোটিভিটি ও মরফোলজি ইত্যাদি জানা যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে।এটা Pregnancy জন্য জানা ভীষণ জরুরী।
হরমোন অ্যানালিসিস হল যে সমস্ত মেয়েদের পিরিয়ড অনিয়মিত
বা অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁদের FSH,LH,TSH,Prolactin এবং AMH Level পরীক্ষা করা উচিত ।
#5.সাইকোমেট্রিক টেস্ট:
বর্তমানে এই টেস্ট করা বিবাহের আগে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। Arrange Marriage এর ক্ষেত্রে দেখে নেওয়া দরকার যে, কারো mental status ঠিক আছে কি না।
মানসিক স্থিতি অর্থাত্ হতাশা, মুড ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার জনিত কোনও রকম সমস্যা থাকলে তার চিকিত্সা করা প্রয়োজন।
পাশাপাশি দুজনের মধ্যে কার ওর ক্রনিক অসুস্থা আছে কিনা তাও জানা উচিত।নইলে কার প্রতি কে কতটা কেয়ার নেবে তা বোঝা যাবে না।
এছাড়া কারো কিডনির অসুখ,লিভারের অসুখ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন থাকলে তার চিকিৎসা করে তবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসা উচিত। কারণ সুস্থ শরীর চনমনে মন সফল বিবাহিত জীবনে চাবিকাঠি।
#6.শারীরিক ওজন:
ওবিসিটি বা স্থূলত্ব আমাদের জীবনের অন্যতম প্রধান দুশ্চিন্তা র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান জীবন যাত্রায়।এটি বিবাহিত জীবনের এক বড় বাধা।
ওবিসিটি হল ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ইনফার্টিলিটি প্রধান কারণ।
#7.জেনেটিক টেস্টিং:
এর উদ্দেশ্য হল দু'জনের মধ্যে এমন কোনও জিন আছে কি না যা সন্তানের মধ্যে প্রবেশ করে।
যেমন-- থ্যালাসেমিয়া।প্রতিবছর আমাদের দেশে দশ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে।মনে রাখবেন থ্যালাসেমিয়া 99শতাংশ ইনকিউরেবল কিন্তু 99 শতাংশ প্রিভেন্টবল।
এই রোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা বিবাহের আগে বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
#8.হেপাটাইটিস বি ও সি:
নতুন প্রজন্মে পুরুষ ও নারীর বিবাহের পূর্বে অতি অবশ্যই হেপাটাইটিস 'বি' এবং 'সি' ভাইরাস আছে কি না তা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন।
কারণ যদি কোন পাত্র পাত্রীর হেপাটাইটিস 'বি'- এর হেলদি কেরিয়ার হওয়ার সত্ত্বেও তার লিভার ফাংশন টেস্টে কোনও কু- প্রভাব না পড়ে তাহলে তাদের বিয়েতে কোন আপত্তি নেই।
পাত্র পাত্রী একে অপরকে রোগের বিষয়ে পূর্বেই জানিয়ে রাখবে এবং যাকে বিয়ে করছে তাকে বিবাহের পূর্বে কমপক্ষে তিনটি হেপাটাইটিস 'বি' ভাইরাস এর ভ্যাকসিন ইনজেকশন অতি অবশ্যই নিতে হবে।
হেপাটাইটিস 'বি' আক্রান্ত কোনও মেয়ে মা হলে যে শিশু জন্মগ্রহণ করবে তার জন্ম গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে হেপাটাইটিস 'বি' ভাইরাস এর প্রতিষেধক ইনজেকশন দিতে হবে।
যদি কোনো নারী বা পুরুষের রক্তে হেপাটাইটিস 'সি' ভাইরাস পাওয়া যায় তাহলে তাদের রক্তে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ থেকে বিরত থাকা উচিত।
#9.মৃর্গী রোগ:
বিবাহের পূর্বে পাত্র পাত্রীর মৃগী রোগের ইতিহাস আছে কি না তা জেনে নেওয়া দরকার।মৃগী রোগ যদি কারোর পরিবারে থাকে তাহলে তা গোপন করা উচিত নয়।
#10.স্বগোত্রীয় বিবাহ:
স্বগোত্রীয় কথা টির অর্থ হল সেই গোত্রের প্রতিটা মানুষের উত্স এক।অর্থাত্ সেই গোত্রের মৌলিক জিনগত গঠন এক।এই সাদৃশ্য ময় জিনেরা রোগগ্রস্ত হলে এবং তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক হলে সন্তানের জিন এ রোগগ্রস্ত হতে পারে।
অর্থাত্ বর্তমানে এই আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে কেবল আবেগ বশত হয়ে জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত টা নিলে হবে না।
যদি কেউ প্রেম করে বিয়ে করে সে ব্যাপার টা সম্পন্ন আলাদা, সেক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে কোনও রকম শারীরিক সমস্যা থাকলে বাচ্চা নেবে না।তবে যাঁরা সম্বন্ধ করে বিয়ে করে তাঁদের একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
সেদিন টা খুব বেশি দেরী নেই যেদিন নিছক ই শুধু কুষ্ঠি বিচার নয়,জিন বিচার করে বিবাহের সানাই বাজবে।ক্রেডিট কার্ডের মতো জিন কার্ড পকেটে নিয়ে পাত্র পাত্রী রা ঘুরে বেড়াবে।হয়তো বা জিন মিলিয়ে প্রেম করবে প্রেমিক প্রেমিকারা।কুষ্ঠি তখন থাকবে মিউজিয়ামে।
আমার লেখা যদি ভালো লাগে বা উপকৃত হন তাহলে আমাকে উত্সাহিত করার জন্য একটা কমেন্টস করতে ভুলবেন না।আর অতি অবশ্যই সাবস্কাইব করবেন।
তথ্য সূত্র সংগৃহীত।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
Tags, বিবাহের আগে
ধন্যবাদ 😊
কোন মন্তব্য নেই: