স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়:
একটি সংসারের মূল চালিকা শক্তি হলো স্বামী স্ত্রীর বন্ধন ।আমরা সকলেই জানি, যে সংসারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে সে সংসার সুখী সংসার।কিন্তু আজ আমরা জানব,কি কি নিয়ম মেনে চললে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে? সংসারে সামান্য কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে সংসার সুখের হতে বাাধ্য।
জীবন একটা পাঠশালা, এই পাঠশালায় যাঁরা সারা জীবন পাঠরত থাকবে তাঁরাই এখানে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।কিন্তু যাঁরা নতুন কিছু শিখবে না বলে গো ধরে বসে থাকবে,এবং ভাববে আমি তো সব জানি! তাঁরাই জীবনের কাছে গো হারা হেরে যাবে।
আমি আমার আগের লেখায় ,
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত?তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমি আগের পোস্ট এ করেছি , আপনি সেই সম্পর্কে জাানতে আগ্রহী হন তাহলে উপরের দেওয়া লিঙ্কে প্রবেশ করুন ।আজ বলব, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক টাকে সুন্দর রাখতে দুজনের ভূমিকা কতটা হওয়া উচিত তা নিয়ে ।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
একদিন ফোনের এ প্রান্তে আমি কথা বলছি,আপর প্রান্তে আছে আমার দিদি।দিদি আমার সঙ্গে কথা বলছে ,এরই মধ্যে সেখানে আমার জামাইবাবু প্রবেশ করলেন।আমার সঙ্গে দিদির কথা হচ্ছিল, দিদির শরীর টা আজ খারাপ, সেই বিষয় নিয়ে।দিদির পাশ থেকে জামাইবাবু শুধু একটা কথাই বলেছেন, যে তোমার দিদি খাওয়া টা ঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে না,নিজের যত্ন নিতে জানে না, ফলে মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
ব্যাস, সেই ব্যক্তির কথা শেষ হতে না হতে,আমার দিদি হাজার ও কথা বলে দিল।আমার জামাইবাবু কিন্তু একবারও বলেননি যে,আমার দিদি বেশি খায়,তবে আমার দিদি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ওর নিজের মুখের কথা টা আমার জামাইবাবু র মুখে বসিয়ে দিল।শুরু হল, কথা কাটাকাটি।
আর আমি বোকার মতো ওদের দুজনের ঝকড়া শুনছি, এবং ভাবছি কি সামান্যতম ভুল বোঝাবুঝির কারণে এরা নিজেদের সুস্থ শরীর কে ব্যস্ত করছে।কিন্তু আমার দিদি যদি ঐ কথা টা এড়িয়ে যেতে জানত,কিংবা ভালো মনে নিতে পারত তাহলে দুজনের হাসির মূহুর্ত টা নষ্ট হতো না।
পরের দিন শুনলাম সেই রাতে দুজনেই কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে।আমি পরে যখন দিদির ভুল টা ধরিয়ে দিলাম।তখন সে বলছে, তুই ঠিক ই বলেছিস।কিন্তু আমার একবার রাগ হয়ে গেলে মাথায় আর কোন কাজ করে না।তবে এবার থেকে আর এমন করব না।
আসলে আমাদের মস্তিষ্ক এমন ভাবে তৈরি যে,ওখানে আপনি যেটা একবার পুশ করবেন ও সেই নির্দেশ মেনে চলতে থাকবে।আমাদের মন কিন্তু সব সময় হাসি খুশি চাই,আনন্দে থাকতে চাই।
তবে আমরা যদি তার বিপরীতে কাজ করি যেমন, যদি ক্রমাগত দুঃখ দিই,কষ্ট দিই,যন্ত্রণা দিই তাহলে সেই মূহুর্তে মস্তিষ্ক আরও বিগড়ে যায়, তখন মানুষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।এবং সে ঐ মূহুর্তে কি বলে আর কি করে নিজেই বুঝতে পারে না।
তবে এর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব, যদি কথায় কথায় রেগে যাওয়া বন্ধ করা যায় তবেই । এবং এখানে ঐ পাশের মানুষ টা র ভূমিকা ও অনেক।সে যদি এই সমস্যা মিটে যাওয়ার পরে, একটু ধৈর্য্য ধরে নরম সুরে বন্ধুর মতো করে তাঁর ভুলটা ধরিয়ে দেয় তাহলে সে দ্বিতীয় বার একি কাজ করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু সে যদি এই সবের বদলে আগের দিনের ঘটনা নিয়ে বিদ্রুপ করে কথা বলে তাহলে সমস্যার রেশ দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকবে।
কোন সম্পর্ক একার ইচ্ছায় সুন্দর করে তোলা সম্ভব নয়। এখানে দুজনেরই সমান ভূমিকা হওয়া উচিত।স্বামীর জীবন যাত্রার সঙ্গে যেমন স্ত্রীর খাপ খাইয়ে চলার অভ্যাস করা উচিত, ঠিক তেমনই স্বামীর ও উচিত তাঁর স্ত্রী কে একটু বোঝার, তার ভালো লাগা খারাপ লাগার মর্যাদা দেওয়ার।
অনেক স্বামী আছে, স্ত্রীর প্রশংসায় সদা পঞ্চমুখ।আবার কিছু স্বামী আছে বাইরের মানুষের কাছে স্ত্রীর সমালোচনা করে, এবং স্ত্রীকে নিন্দা করে। একই ভাবে এমন অনেক স্ত্রী আছে যাঁরা স্বামীর অন্যের কাছে খারাপ প্রতিপন্ন করতে পারলে মনে শান্তি পায়।এমন জুটির সংখ্যা অজস্র দেখা যায়।তবে এই সব সম্পর্ক কখনোই ভালো হয় না। কারণ সব থেকে কাছের মানুষ টার কাছে নিন্দা শুনলে পুরো জীবন টাই বৃথা মনে হয়।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে একে অপরের প্রতি সম্মান দেখানো অবশ্যম্ভাবী। ছোট্ট বিষয়ে খুব যত্ন করে পরম মমতার সঙ্গে তাঁর প্রশংসা করতে হবে। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক টা গভীর হৃদয়ের একটি সম্পর্ক। এই সম্পর্ক টা খুব মিষ্টি,খুুুব আদরের, প্রচুর ভালোবাসার সম্পর্ক। এখানে কখনো কোন কিছু র মূল্যেই যেন অবিশ্বাস না প্রবেশ করে।একজন অপর জনের কাছে পুুরো সাদা কাগজ থাকতে হবে , তবেই এ সম্পর্কের বাধন টা মজবুত থাকবে।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
কী কী নিয়ম মেনে চললে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে?
আসুন এবার আলোকপাত করি সেই বিষয়ে:
সামান্য, খুব সামান্য কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললেই,জীবন টা অপূর্ব সুন্দর হয়ে উঠবে।এবং আমরা খুব সহজেই এগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আমাদের দাম্পত্য জীবন টাকে সাজিয়ে রাখতে পারব।
#1.মানিয়ে চলার মনোভাব:
দুজন দুজনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা একটা সম্পর্কের মধ্যে এক অন্য মার্তা বহন করে।সেই সঙ্গে একজনের সুখ,দুঃখ, ভালো, মন্দ মোট কথা সমস্ত কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।যে মানুষ টা সারা দিন ঘরে বসে,তাঁর পরিবার, সংসার খুব যত্ন করে সামলাচ্ছে ,সেই তাঁকে এসে যদি একটু ভালোবাসে তাঁর পাশে বসে তাঁর আজকের দিন টা কেমন কাটলো, সে ঠিক ঠিক সময়ে খেয়েছে কি না, সামান্য এই টুকু যদি কেউ জিজ্ঞেস করে তাহলে তাঁর স্ত্রী সারা দিন কাজ করে যাবে কোন ক্লান্তিবোধ ছাড়াই।
আবার অপর দিকে, যে স্বামী সারা দিন বাইরে হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে ঘরে ফেরে তাঁর ও খুব ইচ্ছে করে তাঁর স্ত্রী যেন তাঁর সঙ্গে একটু মিষ্টি করে কথা বলে,বা তাঁর প্রতি একটু বিশেষ যত্ন নেয়।এখানে ঐ স্ত্রীর যদি মনোবৃত্তি এমন হয় যে, সে তাঁকে বিয়ে করেছে ,তাই তাঁকে ভালো রাখার দায় তার উপরে বর্তায় ,এখানে আদিখ্যেতা করার মতো কিছু নেই, তখনই এই সুন্দর সম্পর্ক টা তিক্ততায় পরিণত হয়।
এমন অদ্ভুত মনোভাব আগে দূর করতে হবে, তবেই স্বামী স্ত্রী তে ভালো থাকা সম্ভব হবে।একটি সম্পর্কের মধ্যে একে অপরের প্রতি মানিয়ে চলার মনোভাব রাখতেে হবে, তবেই সেই সম্পর্ক সব সময় সুন্দর থাকবে।
#2.খারাপ পরিস্থিতি তে পাশে থাকা:
মানুষের জীবনে যে কোন সময়, যে কোন খারাপ পরিস্থিতি উপস্থিত হতে পারে। খাওয়া সময় কখনো বলে আসে না।তবে জীবনে যত খারাপ সময় ই আসুক না কেন, পাশের মানুষ টা যদি একটু সাহস দেয়, বুক দিয়ে আগলে রাখে তাহলে খুব সহজেই সমস্ত বিপদ কে জয় করা সম্ভব হয়।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে ,যাঁরা জীবনে খারাপ পরিস্থিতি উপস্থিত হলে একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে।এমন টা করতে থাকলে সমস্যার থেকে বেরিয়ে আসা বড্ড কঠিন হয়ে পড়বে।
এবং স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক টা একটা খারাপ রূূূপ ধারণ করবে।কিন্তু খারাপ পরিস্থিতিতে, কোন কঠিন পরিস্থিতি তে দুজন দুজনার পাাশে দাঁড়ালে মনে একটা আলাদা জোর পাওয়া যায়। তখন আর কোন কিিছু কেই অসম্ভব বলে মনে হয় না।
#3.আয় অনুযায়ী জীবন যাপন করা:
বুদ্ধি মতি স্ত্রীরা স্বামীর আয় বুঝে ব্যায় করে।একটা সময়ের পর প্রতিটা মানুষ কে নিজের কিছু খাম খেয়ালি পনা ত্যাগ করা উচিত।জীবন থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলো পরিহার করা উচিত।সংসারে যদি বুঝে চলা না যায় তাহলে রাজা ও একদিন ভিখারি হতে বাধ্য হবে।
অপর লোক কি খেল,অপর লোক কোথায় ঘুরতে গেল বা কোন দামি শাড়ি কিনল কিংবা গহনা কিনল বলে, আমাকেও ঐ গুলো ই করতে হবে এমন মনোভাব সংসারে অমঙ্গলের ছায়া বয়ে আনে।
তাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাইলে নিজের পাশের মানুষ টার পারকতা টা আগে দেখতে হবে।তবেই দুজনের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক বজায় থাকবে।
#4.দুজন দুজনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা:
এটি একটি সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি বলা যায়।যে সম্পর্কের মধ্যে কোন শ্রদ্ধা নেই সে সম্পর্ক টা পুরোপুরি ই মৃত। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে শ্রদ্ধা ,ভক্তি, সম্মান না থাকলে সেই সম্পর্কের মধ্যে কখনই ভালবাসা থাকে না।
অনেক দাম্পত্য জীবন কেবল একে অপরের বিরুদ্ধে কুটো কথা, খারাপ কথা বলে নষ্ট হয়ে যায়।এই সুন্দর জীবন টা কিন্তু খুব বেশি দিনের নয়, তাই জীবন টাকে ঝকড়া, কূট কাচালির মধ্যে অতিবাহিত না করে, আনন্দ করে কাটানো উচিত।আর দুজন দুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তির মনোভাব পোষণ করা উচিত। তাহলেই একটি সুন্দর সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে জীবন টা অতিবাহিত করা সম্ভব হবে।
#5.সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসার ছোঁয়া রাখা:
ভালোবাসার ছোঁয়া টা যে সব সময় শারীরিক হতে হবে তা কিন্তু নয়, একে অপরের মন ছুঁয়ে যাওয়া টাও ভালোবাসার ছোঁয়ার মধ্যে পড়ে।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
রাস্তায় চলতে চলতে একটু খানি হাত টা ছোঁয়াও সম্পর্কের মধ্যে এক অন্য অনুভূতি প্রদান করে। কিংবা একে অপরের চোখে চোখ রেখেও কত মিষ্টি মধুর ভালবাসা মনে পরে।
ছোট্ট ছোট্ট খুনসুটি, হা হা করে মন খুলে হাসি, কিছু সময় একটু দুষ্টুমি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক টা মধুর করে তোলে।
যদি কোনও দম্পতি চাই যে তাঁরা তাঁদের জীবন টাকে কেবল ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করে রাখবে,তাহলে তাঁরা সেটা করতেই সক্ষম হবে। এটা আমি আমার নিজের জীবনে উপলব্ধি করছি। এর জন্য বিশেষ কিছু নয়, আমি আমার সম্পর্ক কে মন প্রাণ দিয়ে বুকে আগলে রাখব, আমরা ভালো থাকব, একে অপর কে ভালোবেসে জীবন টা কাটাবো, যখন রাগ হবে তখন দু'চার কথা বলে আবার তাঁকে জাপটে জরিয়ে ধরবো, কোন অভিমান মনে পুষে রাখবো না, কিছু বলার প্রয়োজন হলে সামনাসামনি বলবো, কিন্তু মনের মধ্যে কোন অসন্তুষ্টি রাখব না।তাহলেই সম্পর্ক সুন্দর থাকে।
#6.ভুল মনে হলেও কড়া প্রতিক্রিয়া নয়:
অনেক সময় এমন হয় যে, খুব ভাল করেই আমি বুুঝতে পারছি যে আমার পাশের মানুষ টা আমাকে ভুল বুুুুুঝছে কিংবা সে হয়তো এমন কোন কাজ করছে যেটা ভুল কিন্তু সেই মুহূর্তে সে আমার কথা শুুনতে চাইছে না।
এক্ষেত্রে তাঁকে একটু সময় দিয়ে তাঁর মনটা একটু শান্ত হলে ধীরে সুস্থে পরে কথা বলা উচিত।কিন্তু আপনি যদি সেই মুহূর্তে হাইপার হয়ে যান তাহলে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। ঐ সময় এমন কোন কথা কিংবা ভাষা প্রযোগ করা উচিত নয় যেটা পরবর্তীতে কষ্ট দেয়।
#7.বিশ্বাসে বন্ধন:
দু'জন দু'জনকে বিশ্বাস করা টা ভীষণ প্রয়োজন। বিশ্বাস ছাড়া কোন সম্পর্ক টিকতে পারে না।বিশ্বাস একটি সম্পর্কের মূূূল ভীত।
এমন প্রচুর সম্পর্ক আছে যাঁরা নামে স্বামী স্ত্রী, সমাজের চোখে স্বামী স্ত্রী কিন্তু তাঁদের মধ্যে বিন্দুমাত্র মিল নেই বা দু'জন দু'জনকে কেয়ার ই করে না।অথচ একি ছাঁদের নীচে বসবাস করছে।
যে সম্পর্কের মধ্যে শ্রদ্ধা নেই সম্মান নেই বিশ্বাস নেই সে সম্পর্ক মৃত সম্পর্ক।একটি জীবনের কি মূল্য আছে যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বন্ধন টা সুন্দর না হয়!
আমি মনে করি দু'জন দু'জনের কাছে খোলা কাগজ হওয়া উচিত। আমার এমন কোন গোপন কথা থাকবে না যেটা সে জানবে না,আর তাঁর এমন কোন গোপন বিষয় থাকবে না যেটা আমি জানব না।
এটা আমি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি এমন ভাবে চললে সম্পর্কের মাধুর্য বেড়ে যায়।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
বিবাহ বন্ধন টা পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে মধুর একটি বন্ধন।এই বন্ধন কে সুন্দর রাখার দায় আমাদের প্রত্যেকের।কারণ যে পরিবেশ একটি সুস্থ সম্পর্কের দম্পতি বসবাস করে সেই পরিবেশর আশেপাশেও একটি সুুুন্দর বাার্তা পেরিত হয়।
কিন্তু যে পরিবেশ একটি দম্পতির মধ্যে নিত্যদিনের কলহ চলে সেই পরিবেশে বিবাহ সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌছায়। এই কলহের কারণে অনেকেই বিবাহ করতে ভয় পায়।
এছাড়া ক্রোধ সব কিছু নষ্ট করে কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। তাই ক্রোধ পরিত্যাগ করুন এবং সম্পর্কের মধ্যে মাধুর্য আনুন।আর আপনি যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কীভাবে সুখে থাকা যায় সেই সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে চান তাহলে
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ।
এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার রহস্য সম্পর্কে অবগত হোন।আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
ব্যাস, শুধু এই টুকু নিয়ম অনুসরণ করতে পারলেই জীবন আপনা আপ সুন্দর হয়ে উঠবে।আসলে সব কিছু মনের ব্যপার, আপনার ভাবনাই আপনার সম্পর্ক কে ভালো রাখতে সহায়তা করবে।
আমার লেখা যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে কিন্তু অবশ্যই আমাকে কমেন্টস করে জানাতে ভুলবেন না।আপনার একটা কমেন্টস আমাকে ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত করবে।আর প্রত্যেকেই অবশ্য অবশ্য করে লেখা টা শেয়ার করবেন, এটা আমার মিষ্টি অনুরোধ রইল আপনাদের কাছে।
ফিচার চিত্রসূত্র- pixabay.com
Tags,স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক
ধন্যবাদ ।😊
কোন মন্তব্য নেই: