কিভাবে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায়? ওজন কমাতে খাদ্য তালিকা।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
কিভাবে খুব দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব:
বর্তমানে সব থেকে আলোচিত এবং চিন্তিত বিষয় হিসাবে ওজন কে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই শব্দটি প্রাধান্য পায়। এখন চারিদিকে দৃষ্টি পাত করলে দেখা যায় যে,ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েরাও তাঁদের ওজনের ভারে ভারাক্রান্ত।
বাচ্চা থেকে বড় সকলেই এই সমস্যায় জর্জরিত। তবে এর প্রধান কারণ কিন্তু আমাদের জীবন যাত্রা।অত্যাধিক ফাস্টফুড খাওয়া থেকে শুরু করে পরিশ্রম না করা এবং সঙ্গে ফ্রিতে আছে নিত্য কথায় টেনশন ফলে শরীর বইছে এতো শত পাপের বোঝা, যার দরুন বডি যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আসলে আমরা সকলেই কিন্তু জানি, কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে শরীর কে হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব। কিন্তু আমরা জানি অনেক কিছুই তবে দুঃখের বিষয় মানি না কিছুই।
আমরা সকলেই জানি ওজন কমাতে গেলে প্রতিদিন কিছু টা সময় ধরে শারীরিক কসরত করতে হয়।যার মূল মন্ত্র হল যোগাসন। কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক ভীষণ ই আলস তাই আমরা সকালে ওঠে ধ্যান কিংবা যোগাসন এ বসতে চিই না। কিন্তু শরীর কে সুস্থ রাখতে হলে খুব দ্রুত ওজন কমাতে হলে যোগব্যায়াম করতেই হবে।
তবে আমি একটা বিষয় সবাই কে অনুরোধ করবো যে, আপনারা দয়া করে দ্রুত ওজন কমাতে কোন ওষুধ সেবন করবেন না। ওষুধ সেবন করলে সাময়িক ভাবে ওজন কমে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি রোগ শরীরে প্রবেশ করে।তাই কেউ ওমন চক্ররে পা দেবেন না।
আর ওজন কমছে না বলে টেনশন করবেন না।আপনি যদি ভাবতে থাকেন যে আপনি ডায়েট অনুসরণ করছেন ,যোগব্যায়াম করছেন কিন্তু তবুও আপনার ওজন কমছে না।আর আপনি বার বার শরীর মাপতে থাকছেন এবং দুশ্চিন্তা করছেন ফলে আপনার শরীর থেকে আপনার অজান্তেই এক ধরনের হরমোন ক্ষরণ হচ্ছে এবং আপনি আরো মোটা হতে থাকছেন।
পরিশেষে যোগব্যায়াম করে কোন ফল পাচ্ছেন না ভেবে সব কিছু ছেড়ে দিচ্ছেন।যাঁদের ওজন বেশি তাঁরা এটাই করে থাকে।সব সময় হীনমন্যতায় ভোগে ফলে শরীরের ওজন আরো বৃদ্ধি পায়।
আমি আমার আগের পোস্ট এ শরীর সুস্থ রাখতে ধ্যানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি।তাই এখানে আর সেই আলোচনা করলাম না। আপনি যদি ধ্যানের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে দেওয়া লিঙ্কে প্রবেশ করুন----
আজ এখানে আলোচনা করব-- ওজন কমানোর পণ করলে প্রথমেই যাকে পরম বন্ধু বলে মনে করা উচিত সেটা হল খাদ্যাভ্যাস।ওজন কমাতে গেলে খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টানতেই হবে।যাঁরা স্থূলকায় তাঁরা এই ভুল টাই করে, খাদ্য দেখলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।ভাবে আজ একটু খেয়ে নিয়,কাল থেকে ডায়েট টায়েট হবে।ব্যাস শুরু হল বারাটো বাজা।
আপনারা এতো দিন জেনে এসেছেন ওজন কমাতে কি কি খাদ্য খেতে নেই তার তালিকা।আজ আমি আপনাদের জানাবো কি কি খাদ্য খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আসুন প্রথমেই জেনে নিই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনি কি কি খাবার খাদ্য তালিকায় রাখবেন --
ওজন কে হাতের মুঠোয় রাখার জন্য ফলের জুরিমেলা ভার।তবে কবজি ডুবিয়ে ফল খেলেই যে আপনার ঝরঝরে করে ওজন কমবে, তা কিন্তু নয়।
সব ফলের উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করলে আপনি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনও ফল ই পারবে না ।
ওজন কমাতে প্রথম স্থান দখল করে আছে---
#1.তরমুজ:
এই ফলে ভরপুর আর্জেনিন আছে।সহজ ভাষায় বললে এমন কিছু পদার্থ আছে যা রীতিমতো ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।
#2.পেয়ারা:
আমাদের গ্রাম্য পরিবেশে এবং শহরেও এমন কোনও বাড়ি নেই যে তার আশপাশের এই ফল পাওয়া যায় না।খুবই কম দামে সহজলভ্য একটি ফল।প্রথম নাকি পুর্তগিজরাই এই ফাইবাররিচ ফল আমাদের দেশে এনেছিল।
এই ফলে ফাইবার বেশি তাই পেট পরিষ্কার রাখা পেয়ারার বাঁ হাতের খেল।যা ওয়েট লসের জন্য খুবই জরুরি।
#3.আপেল:
ডায়েরিয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা নির্মূলের পাশাপাশি দাঁত সাদা রাখা,ক্যানসার রোধ করা,প্রতিরোধক শক্তি বাড়ানো মোট কথা প্রচুর কাজে এ এক হাতে সিদ্ধহস্ত।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
আর ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে? তাতে তো এই বান্দা এক নম্বরে।কারণ এই ফলে ফ্ল্যাট বা সোডিয়াম বিন্দুমাত্র নেই। খাবার আগে একটা গোটা আপেল খেলে ওজন নাকি দারুণ তারাতারি কমে।
#4.কমলালেবু:
যদিও শুধু একটা মরসুম জুড়েই এই ফলের রমরমা।তবে ওজন কমাতে এই ফল ওস্তাদ। কারণ একশো গ্রাম কমলালেবু তে মাত্র সাতচল্লিশ ক্যালরি রয়েছে।
এছাড়া কমলালেবুর রসে প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, বি,সি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার প্রভৃতি থাকায় ওজন কমাতে কমলালেবু অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।
#5.টমেটো:
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন একটি করে টোম্যাটো খান।ইনি ফ্রুট ডায়েট চার্টের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই ফল চেহারায় স্লিমট্রিম করার পাশাপাশি ত্বকেও আনে জৌলুস।
#6.খেজুর:
দু'টো মিলের মাঝে একটু হালকা খিদে খিদে পায়।আর তখনই আমরা হাবিজাবি খেয়ে ফেলি।ফলে পুরো ডায়েটের উপকারিতা যায় জলে।তাই এই ফাঁকা সময় টাতে আমরা একটু খেজুর খেতে পারি
খেজুরে আছে ভরপুর ফাইবার, দরকারি মিনারেল,পরিমাণ মতো কার্বোহাইড্রেট,ভিটামিন।
তবে ফ্যাট নেই।তাই পেট ভরাতে এ দারুণ কাজ দেয়।
#7.সবুজ শাকসবজি:
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেট কম রাখতে ভাত এবং রুটি দিকে কম ঝুকতে হবে।ভাত থাকবে অল্প সবজি থাকবে বেশি।এখন যতটা ভাত খান ,এবার থেকে ততটা সবজি খাবেন,আর আগের সবজির জায়গায় ভাত বা রুটি কে রাখবেন।
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এক বাটি টক দই অবশ্যই যেন থাকে।টক দই খেলে শরীর ঝরঝরে হয়, হজম ভালো হয়, এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। ওজন কমাতে টক দই ওস্তাদ।
তবে আপনি যেন ওজন কমাতে শুধু ফলের উপরে ভরসা করে বসবেন না।ডায়েটে ফ্রুট থাকবে তবে তার সঙ্গে আরো অনেক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
এবার আমরা জানবো ওজন কমানোর জন্য কি কি খাদ্য বাদ দেওয়া প্রয়োজন তার তালিকা এবং কোন কোন কাজ গুলো করবেন না তার তালিকা---
#.ফাস্টফুড:
ব্যস্তময় জীবনের প্রধান অঙ্গ বলা যায় ফাস্টফুড কে।বিশেষত যাঁরা বাইরের জগতে কর্মরত তাঁরা এই খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকছে।চটজলদি পেট ভরাতে এবং সময় বাঁচাতে গিয়ে বডির সময় যে যাচ্ছে কমে সে খেয়াল কতজনের আছে শুনি?
রাস্তার পাশে ছোট্ট ছোট্ট ফুড কর্নার গুলোতে চটজলদি বানানো এবং পরিবেশিত অত্যন্ত মুখরোচক ও চিত্তাকর্ষক খাবার যেমন বার্গার, হিট পিজা, নুডলুস,রোল ,এখন সবার রোল মডেল।
এ সব ছাইপাশ দিনের পর দিন খেলে শরীর শুধু স্থূলকায় ই হবে না সঙ্গে বোনাস হিসেবে পাওয়া হবে নানা বিধ রোগ।
আমি কোনও অনুষ্ঠান ছাড়া কখনো মনের ভুলেও বাইরের খাবার খায় না। আমার কাছে আমার শরীর আগে। আমি ছোট্ট থেকে যখন এই সব ডায়েট টায়েট কিছুই বুঝতাম না তখন থেকেই আমি স্বাস্থ্য সচেতন।
যার ফল উপভোগ করছি এখন।আমি বিগত দশ বছর আমার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হয়েছি।
আর তার জন্য আমাকে খুব বেশি কসরত করতে হয় না। সকালে ওঠে লেবু জল পান করি।সারাদিন আট গ্লাস জল আর যোগব্যায়াম এবং ধ্যান।এছাড়া সঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ওঠা। ব্যাস একটুই আমার ওজন নিয়ন্ত্রণের জাদু।
#.মিষ্টি:
চিনি খাওয়া চলবে না। সকালে খালি পেটে চা খাওয়াও ক্ষতি এছাড়া চা খেতে গিয়ে প্রতিদিন অনেক টা চিনি খাওয়া পড়ে যায়, তাই এ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে।মাঝে মধ্যে একটা দুটো গরম রসগোল্লা খাওয়া যেতে পারে।কিন্তু দেখবেন সেটা যেন নিয়মিত না হয়।এছাড়া চকলেট ও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে তাই মন ভালো রাখার জন্য মাঝে মাঝে চকলেট খাবেন তবে খুব বেশি নয়।
#.ভাজাভুজি:
চপ, বেগুনি, চানাচুর, নিমকি, চপচপে তেলে আলু ভাজা প্রভৃতি থেকে নিজের মন কে সরাতে হবে। মাথায় রাখতে হবে সুন্দর চেহারা না হলে বাইরে বার হওয়া মুশকিল।
আমি সুন্দর চেহারা বলতে কিন্তু খুব সুন্দরী হতে হবে সেটা বলছি না, সুন্দর হওয়ার জন্য গায়ের রঙ কিংবা গঠন গুরুত্বপূর্ণ নয়, অনন্ত আমার কাজে।কিন্তু বডি যেন স্লিম হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই ভাঁজ ভুজি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ।
#.রেড মিট:
লাল মাংস থেকে যতটা দূরে থাকা যায় ততটা ভালো। এতে চর্বির পরিমাণ থাকে বেশি যা ফ্যাট এর বন্ধু।তাই রেড মিট খাওয়া উচিত নয়।
#.জীবন যাত্রার বদল আনুন:
বর্তমানে অল্প বয়সেই ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দিচ্ছে,যা অত্যন্ত খারাপ লক্ষণ।কারণ শরীরের বাড়তি ফ্যাট জমতে থাকলে তা প্রতিটা অঙ্গে ফ্যাট জমতে থাকে।এর ফলে খুব অল্প বয়সেই শরীরের অঙ্গ গুলির কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।বাড়তি ওজন একটা দুষ্টু চক্রের মতো। শরীরে ফ্যাট বেশি হলে প্রেশার ,শুগার বেড়ে যায় ।আর তার থেকে দেখা দেয় হার্ট এবং কিডনির সমস্যা।
এই সমস্যা কে বলা হয় মেটাবলিক সিনড্রোম। হাইপার টেনশন, হাই কোলেস্টেরল, ওবিসিটি এবং শুগার হাতে হাত মিলিয়ে চলে।তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা ভীষণ জরুরী।
যাঁরা চাকরি করেন, এবং সেডেন্টারি লাইফস্টাইল এ অভ্যস্ত তাঁদের মধ্যে শরীর চর্চা করার প্রবণতা খুব কম।অনেকেই শরীর চর্চার জন্য আলাদা করে কোনও সময় ই রাখেন না।এর ফলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়।
তাই আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, একটু সময় বার করে শরীর চর্চা করুন।কিছু না পারলে সকালে একটু হাঁটুন, সাইক্লিং করুন। হাঁটা মানে গল্প করা নয়, হাঁটতে হবে জোরে জোরে গায়ের ঘাম ঝরিয়ে।
এছাড়া আপনি কাজের জায়গায় লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।
ডায়েটের সঙ্গে সঠিক শরীর চর্চা না হলে কিন্তু কোনও ফল ই মিলবে না। তাই ওজন কমাতে শরীর চর্চা অবশ্যম্ভাবী।
এবার জানব কোন ধরনের চেহারায় কী ধরনের শারীরিক কসরত করা প্রয়োজন-----
●এক্ট্রোমর্ফ:
এক্ট্রোমর্ফ মানে সরু, লম্বা এবং রোগাটে গড়নের চেহারা।এদের মেটাবলিক রেট সর্বোচচ।ফলে এদের শরীরে বাড়তি মেদ জমে না।তবে শুনে ভালো লাগলেও এটা মনে রাখতে হবে এদের আবার পেশিবৃদ্ধির হার ও কিন্তু খুবই ধীরগতি।ফলে বডিবিল্ডিং করে অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল মাসল তৈরি করা এদের পক্ষে অতটা সোজা নয়।এছাড়া এদের অতিরিক্ত শরীরে চাপ দিয়ে শরীর চর্চা করলে শরীরের ক্ষতি হয়।
তাই এরা যে ব্যায়াম গুলো করতে পারবে তা হল
৹ দৈনিক অন্ততপক্ষে একঘণ্টা করে ঘাম ঝরানো।
৹জোর দিতে হবে হাত, বুক, পিঠ, কাঁধ এবং পা এর ব্যায়ামে।
৹চেহারা অনুযায়ী ডাম্বেলের ওয়েট ঠিক করে নিতে হবে।
৹ওয়র্কআউটের মধ্যে যেন অবশ্যই থাকে ,উঁচু টুলে ওঠা নামা, পুশ আপ, ট্রেডমিলে হাঁটা এবং সাঁতার।
●মেসোমর্ফ:
যাদের চেহারা স্বাভাবিকভাবেই চওড়া এবং স্থূলকায় তাঁরা খুব সহজেই কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে বাড়তি ফ্যাট ঝড়িয়ে ফেলতে পারে।
৹ এমন চেহারা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ফিটনেস ধরে রাখতে দৈনিক 45মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
৹এদের প্রযোজন হেভি এবং হার্ড এক্সারসাইজ করা।
৹প্রতিটি ব্যায়াম তিন থেকে চার সেট করতে হবে।এবং 30সেকেন্ড এর বিশ্রাম।
●এন্ডোমর্ফ:
মোটা এবং গোলাকার চেহারা। শরীরে মেদ সঞ্চয়ের হার এদের খুব বেশি।এদের ভারি চেহারা কমাতে একটু কঠিন রেজিম ফলো করতে হবে ।একটু ঠিক ঠাক পদ্ধতিতে চলতে পারলে এরা মাস খানিকের মধ্যেই ফ্যাট ঝড়িয়ে ফেলতে পারবে।
এদের সপ্তাহে তিনদিন ওয়ার্কআউট কিন্তু মাস্ট।এবং দুদিন যেন ঘন্টা খানেক কার্ডিয়ো ভাসকুলার অবশ্যই থাকে।
এছাড়া থাকবে জোরেজোরে হাঁটা, সাইক্লিং, এবং সাঁতার কাটা।সঙ্গে থাকবে সিট আপ।
তবে আপনি শুধু এক্সারসাইজ করে কোনও লাভ হবে না যদি আপনি আপনার পছন্দের বিরিয়ানি, রাবড়ি , রোল না ছাড়তে পারেন।
এক্সারসাইজ এর সঙ্গে ঠিক মতো ডায়েট অনুসরণ করতে হবে।
দু'দিন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করার পর হাল ছেড়ে দিলে হবে না ।প্রথম প্রথম পছন্দের খাবার ছাড়তে কষ্ট হবে, খারাপ লাগবে ,অনেক সময় ডিপ্রেশন ও আসতে পারে কিন্তু মনের লাগাম ছাড়লে হবে না।
আমাদের অভ্যাস ই আমাদের জীবন।আপনি যেটা অভ্যাস করবেন একটা সময়ের পর আপনি দেখবেন আপনার অভ্যাস ই আপনার চলার পথ কে সহজ করে দিয়েছে।
এটা ভালো অভ্যাস, খারাপ অভ্যাস দুটি ক্ষেত্রেই সমান কার্যকরী।এবার পছন্দ আপনার হাতে, আপনি কি আপনার পছন্দের সব ড্রেস গুলো পড়তে চান, নাকি ফ্যাশন টা জীবন থেকে চিরতরে বিদায় জানাতে চান। নিজের ইচ্ছা মতো ড্রেস পড়তে পারাটা তো ভীষণ ভালো, আপনি কি চান আপনার বডি আপনার ড্রেস ঠিক করে দিক?
যদি না চান তাহলে আর দেরি কেন, আজ থেকেই শুরু করুন খাদ্য এবং জীবন যাত্রার পরিবর্তন এবং নিয়ম করে যোগাসন।
যদি আমার লেখা ভাল লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং একটা কমেন্টস করবেন।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
Tags, ওজন কমানো
ধন্যবাদ 😊
কোন মন্তব্য নেই: