দূরে থেকেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখুন ১০ উপায়ে
দূরে থেকেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখুন:
বর্তমানে কর্মসূত্রের কারণে এখন বেশিরভাগ মানুষই প্রবাসী জীবন যাপন করতে একরকম বাধ্য হচ্ছে বলা চলে।পেট বড় দায়।কোন মানুষই স্বেচ্ছায় প্রবাসী হতে চায় না।একমাত্র যাঁরা পরিবার পরিজন ছেড়ে বাইরে দিন কাটায় তাঁরাই একমাত্র এ যন্ত্রণার জ্বালা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারে।কিন্তু দূরে থেকেও আমরা আমাদের সম্পর্ক কে সুন্দর রাখতে পারি।'লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ'মজবুত রাখতে পারি। ভালোবাসার মানুষ টা যখন দূর দেশে থাকে তখন মন টা পড়ে থাকে তাঁর কাছে, তাঁর অতি নিকটে।
তাঁর জন্য সর্বক্ষণ মনটার মধ্যে আনচান করে।মনে হয়, এক ছুটে তাঁর কাছে চলে যায়।কখনো কখনো মন খারাপ লাগে,কখনো বা তাঁর জন্য চিন্তা হয়, তাঁর স্মৃতি সব সময় আঁকড়ে ধরে রই।তবুও তাঁকে ছাড়তে হয় একটু ভালো থাকার আশায়,বা পরিবারকে একটু ভালো রাখার আশায় পাড়ি দিতে হয় অজানা অচেনা ঠিকানায়।
চিত্রসূত্র-pixabay.com
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষকেই কর্ম করে খেতে হয়। আমরা কর্ম করি আমাদের প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ করার জন্য।প্রতিটি মানুষ চায় তাঁর পরিবারকে সুুুখে রাখতে ভাল রাাখতে হাসি খুশি রাখতে।এবং তার জন্যই আমাদের এতো পরিশ্রম করা।কিন্তু এখন নিজ দেশে খুব ভালো কাজ না থাকার দরুন একটু বেশি অর্থ উপার্জনের আশায় মানুষকে পাড়ি দিতে হচ্ছে বিদেশ বিভুঁয়ে ।
কিন্তু মনটা পড়ে থাকছে নিজের জন্মভূমির মাটিতে।পরিবার পরিজন, পাড়া প্রতিবেশীর, আত্মীয় স্বজনের কাছে।যেখানে সেই ছোট্ট থেকে বেড়ে ওঠা, কত স্মৃতি, কত দুষ্টুমি, কত মন খারাপের সাক্ষী হয়ে থাকে এই জন্মভূমি।সেই স্থান ত্যাগ করে যাওয়া মুখের কথা নয়।
আবার কিছু মানুষকে প্রায় অর্ধেক জীবন ই বাইরে কাটিয়ে দিতে হয়।নিজের নামে সব সম্পর্ক গুলো সাজানো থাকে কিন্তু কাছে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে না।যাঁরা আর্মি, মিলিটারি, কিংবা বাইরে কর্পোরেট জগতের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সব সময় পরিবারকে সঙ্গে রাখতে পারে না।পরিবারের নিরাপত্তার খাতিরে নিজের ইচ্ছা, শখ,আল্লাদ কে বিসর্জন দিয়ে একা একা জীবন কাটাতে হয়।
এখন চারিদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উঠতি বয়সের যুবক সম্প্রদায় বেশিরভাগ ই সদ্য বিবাহ করে কর্মের তাগিদে চলে যেতে হচ্ছে বাইরে।এই সব মানুষগুলোর অবস্থা কতটা শোচনীয় সেটা ভাবলেই কষ্ট হয়।কত মানুষের শুধুমাত্র অর্থের প্রয়োজন জীবনের সুন্দর সুন্দর মূহুর্ত গুলো নীরবে নিভৃতে পার হয়ে যায়।
যেদিন আজ চলে যায় সেদিন আর কখনোই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।কিন্তু কোন উপায় ও থাকে না।কারণ খালি পকেটে প্রেম খুব বেশি দিন সুস্থ থাকে না।তবে আমরা আমাদের সম্পর্ক গুলোকে দূরে থাকার সত্ত্বেও সুন্দর রাখতে পারি,ভালো রাখতে পারি,যত্ন নিতে পারি।তার জন্য চাই শুধুমাত্র মানসিক ইচ্ছার।
দূরে থাকি বা কাছে, তাতে সত্যিই কিছু যায় আসে না, যদি আমরা আমাদের সম্পর্কের মর্যাদা দিতে জানি তাহলে দূর ও নিকট মনে হয়।
চলুন এবার জানি-----
দূরে থেকেও কীভাবে একটি সম্পর্ক ঠিক রাখা যায় তার দশটি টিপস:
#1.প্রতিদিন নিয়ম করে যোগাযোগ রাখা।
#2.বিশ্বাসের মর্যাদা রাখা।
#3.একে অপরের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার দায়িত্ব নেওয়া।
#4.প্রতিদিনকার ঘটনা শেয়ার করা।
#5.মন খারাপের সময় সঙ্গ দেওয়া।
#6.মাঝে মাঝে না জানিয়ে উপহার পাঠানো।
#7.নিয়ম করে খাওয়ার খোঁজ নেওয়া।
#8.একে অপরের প্রশংসা করা।
#9.পুরানো রোমান্টিক স্মৃতি মনে করে দু'জনে মন খুলে হাসা।
#10.আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি সেটা মুখে বলা।
#1. প্রতিদিন নিয়ম করে যোগাযোগ রাখা:
বর্তমানে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুুুবই সহজ সরল একটি ব্যাপার।একটা ফোন করলেই দূর এখন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। টেলিফোন সত্যিই একটি চমৎকার আবিষ্কার।অবশ্য টেলিফোন আবিষ্কারের মূলেই ছিল দূরের মানুষকে কাছে অনুুভব করানোর একটি পন্থা হিসাবে।
যত কাজই থাক,যতই তুমি ব্যস্ত থাকো না কেন প্রতিদিন কিছু টা সময় অতিবাহিত করতে হবে ফোনে কথা বলার মাধ্যমে।যাঁরা দূরে থাকে তাঁদের মন টা সব সময় বাড়ির মানুষের কাছে থাকে।তাই তাঁরা নিয়ম করে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভালোবাসে।এতে তাঁদের মনটা ভালো থাকে।
তাই তাঁর ভালো থাকার কথা চিন্তা করে, তাঁকে সময় দিতে হবে।তাঁর ফোনের জন্য যে তুমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলে এটা বোঝাতে হবে।এতে করে সে কাজ করার শক্তি ফিরে পাবে।মনে আনন্দ অনুভব করবে।সে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববে।এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে মন খুলে হেসে।
আমার খুব নিকট আত্মীয় বাইরে থাকার দরুন আমি এটা লক্ষ্য করেছি খুব ভালো ভাবে যে,তাঁদের সঙ্গে একট হেসে খুুশি মনে কথা বললে তাঁরা খুব আনন্দ পায়। কিন্তুু এমন অনেক পরিবার আছে যাঁরা কেবলমাত্র অর্থ কে বেশি প্রাধান্য দেয়, মানুষ টাকে নয়।ফলে তাঁর ভালো লাগা খারাপ লাগাকে খুব বেশি গুুরুত্ব দিতে চায় না।
এমন প্রচুর স্ত্রী আছে যাঁরা শুধু যেদিন তাঁর স্বামী কাজের মাইনে পায় সেদিন খুব ভালো করে কথা বলে,তাঁকে গুরুত্ব দেয়।কিন্তু বাদবাকি দিন শুধুই অসন্তোষ, অভিযোগ প্রকাশ করে।
এমন করতে থাকলে সে নিজেকে যান্ত্রিক ভাববে, নিজেকে টাকা উপার্জনের মেশিন মনে করবে।তখন তাঁর বাঁচার ইচ্ছা টা নষ্ট হয়ে যাবে।
আমরা তো সকলেই জানি সে অর্থ উপার্জন করছে আমাদের ভালো রাখার জন্য, আমরা যাতে নিশ্চিত মনে থাকতে পারি তার জন্য আমাদের কে ছেড়ে এতো দূরে পড়ে আছে।তাহলে আমাদের কি প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত এটা নয় যে, সে যেন শান্তিতে থাকে, ভালো থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা!
তাই নিজের দেশ এবং বাইরের দেশের সময়ের ব্যবধান মাথায় রেখে তাঁর জন্য আলাদা সময় বার করে রাখতে হবে।যাতে সে ফোন করলে সুন্দর করে কিছু টা সময় তাঁকে দেওয়া যায়। এবং এ কাজে যেন কখনো ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
#2.বিশ্বাসের মর্যাদা রাখা:
বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসের মূল্য সর্বাঙ্গে ।অনেক টা বিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গীনির উপর নির্ভর করে একজন মানুষ তাঁকে দেশে রেখে অন্য দেশে কর্মক্ষেত্রে যেতে সাহস পায়।তাই প্রাণ থাকতে এ বিশ্বাসের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা উচিত নয়।
এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনা তুুলে ধরব।আশা করি ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমরা কিছু শিক্ষা অর্জন করতে পারব।
একজন ব্যক্তি তাঁর পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ অনুভব করায় সে ঠিক করল আর দেশে নয়,এখানে খুব বেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।তাই আমি ভারতের বাইরে যাব,তাহলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারব এবং আমার পরিবার সুখে,নিশ্চিতে দিন যাপন করতে পারবে।
তাঁর ভাবনা অনুযায়ী সে কিছু দিনের মধ্যেই বাইরে চলে গেল।বাড়িতে রেখে গেল তাঁর স্ত্রী এবং একটি কন্যা সন্তান কে।তখন তাঁর বাবা মা দুজনেই গত হয়েছেন।
সেই মানুষটি বাইরের দেশে গিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে লাগল।একটা কথা বলে রাখি বাইরের দেশে গিয়ে যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়, সেটা অমানুষিক পরিশ্রম বলা চলে।ওখানে কিন্তু বসে বসে টাকা আয় করা সম্ভব হয় না।ওখানে প্রচুর কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ আসে।তাই প্রবাসী জীবন কিন্তু মোটেও সুখের নয়।যাাঁরা ওখানেে যায় তারাই কেবল ওখানকার কষ্ট টা বোঝে।
যাইহোক তারপর সেই মানুষটির পরিবার একটু সুখের মুখ দেখতে শুরু করল।তাঁর স্ত্রী মেয়ের জীবন যাত্রা পাল্টাতে থাকল।এভাবে বেশ কিছু বছর পার হয়ে গেল।এদিকে সেই ভদ্রলোকের স্ত্রীর পুরো গেটাপ ই চেঞ্জ হয়ে গেছে।
যেহেতু গ্রামের এলাকা তাই সেখানে একে অপরের খোঁজ খবর রাখতে কোন কার্পণ্য বোধ হয় না।ফলে কিছু দিন বাদে জানা গেল সেই ভদ্র মহিলা একটি নতুন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।
এবার একথা পৌঁছে গেল সেই ভদ্রলোকের কাছে।কিন্তু মহিলা টি সব কিছু অস্বীকার করল।এবং তাঁর স্বামীকে জানিয়ে দিল তাঁর নামে যদি এমন বদনাম রটতে থাকে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে।কারণ সে খুব ভালো স্ত্রী।
অগত্যা সেই ভদ্রলোক স্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে দিন কাটাতে লাগল। এখানে একটা কথা বলে রাখি এমন পরিস্থিতিতে একটি ছেলে হিসাবে তাঁর কষ্টের, যন্ত্রণার শেষ থাকে না।যাঁদের সুখের কথা চিন্তা করে নিজের জীবনের সব সখ, শান্তি পরিত্যাগ করা আর সেই মানুষটি যদি বিশ্বাস যোগ্য না হয় তাহলে তার মতো দুঃখ আর কিছু নেই।
এভাবে টালমাটাল করে অনেকটা সময় চলে গেল।এবার সেই ভদ্রলোক বাড়ি ফিরবে।সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে।
কিন্তু চরম দুঃখ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।সেই ভদ্রলোক যেদিন বাড়ি ফিরলেন ঠিক তার আগের রাতে তাঁর স্ত্রী নগদ দশ লাখ টাকা এবং বেশ কিছু গহনা নিয়ে পালিয়ে গেছে তাঁর নতুন প্রেমিকের সঙ্গে।
কতটা অমানবিক, কতটা নিষ্ঠুর, কতটা খারাপ একজন মানুষ হলে এমন টা করতে পারে সেটা ঐ মহিলা কে না দেখলে কোন দিনও জানতাম না।খবরে এমন ঘটনা আকছার দেখা যায়।আমরা অনেক সময় ভাবি হয়তো এতে কিছু রঙ চং মেশানো আছে।কিন্তু এটা একদম বাস্তব ঘটনা।এবং খুব বেশিদিন আগের কথা ও নয়।
তার এই মানুষ টা এতো বছর পরিশ্রম করে দেশে ফিরে সব দিক দিয়েই নিঃশ্ব হয়ে গেল।তবে তিনি টাকা হারানোর থেকেও মনে আঘাত পেয়েছিলেন বেশি।
তবে এটা ঠিক কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনোই ভালো থাকতে পারে না।তাই সেই মহিলাও পারেনি ।সে মহিলা যাঁর হাত ধরে সুখের, সাজানো সংসার ছেড়ে ছিল সেই যুবক তাঁর টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
এই জন্যই একটি প্রাচীন প্রবাদ আছে--
'ধর্মের কল বাতাসে নড়ে'
তাই সাময়িক প্রলোভনে পাা দিয়ে একজন মানুষ হয়ে আর একজন মানুষের বিশ্বাসে কখনোই আঘাত করতে নেই।
আমি মনে করি যদি তোমার একান্তই তাঁর সঙ্গে সংসার করতে ইচ্ছা না করে তাহলে তাঁকে বলে, তোমার সমস্যার কারণ টা জানিয়ে তুমি যেতে পার। কিন্তু কেউ তোমাকে চরম বিশ্বাস করে আর তুমি সেই বিশ্বাসের অবহেলা করবে, এটা শুধু ভুল নয়, চরমতম অন্যায়।
#3.একে অপরের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার দায়িত্ব নেওয়া:
এক্ষেত্রে দুজনের ই উচিত একে অপরের সুখ দুঃখের খোঁজ নেওয়া।একটা সংসারে শুধু অর্থ দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না।বাড়িতে যে মানুষ টা আছে সে সব কিছুু কতটা সামলাতে পারছে,তাঁর কখন কোন কাজটা করা উচিত, কি করলে সে সব কিছু সুুুন্দর করে পরিচালনা করতে পারবে,এই সব কিছু আলোচনার মাধ্যমে করলে মনে একটা ভরসা পাওয়া যায়।
এছাড়া সে কতটা মানসিক দিক দিয়ে খুশি আছে,তাঁর বিশেষ কিছু প্রয়োজন কিনা।তাঁর কোন কিছুতে অসুবিধা হচ্ছে কিনা, কারো ব্যবহারে সে কষ্ট পাচ্ছে কিনা, এগুলো ও জানা উচিত।
অপরদিকে যে মানুষ টা বাইরে কাজ করছে তাঁর উপরেও অনেক পেশার থাকে,অনেক সময় কাজের চাপ থাকে,বাড়ির জন্য মন খারাপ লাগে,নিজের জন্মভূমির কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়, এতে করে একটা মানসিক চাপ মনের মধ্যে কাজ করে।
তাই সে কতটা ভালো আছে,কাজের সাইট নিয়ে কোন মানসিক উৎকণ্ঠায় ভুগছে কিনা, এগুলো জিজ্ঞাসা করা উচিত।
দু'জন দু'জনের হৃদয়ের কাছে থাকতে পারলে দূরে থেকেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর রাখা সম্ভব।কোন কষ্ট ই কষ্ট মনে হয় না,যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক টা বজায় থাকে।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত?জানতে চাইলে উপরের লিঙ্ক এ জান---।
মোট কথা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে দুজনে মানসিক দিক দিয়ে কতটা ভালো আছে,কতটা সুখ পাশের মানুষ টা অনুভব করছে এ খোঁজ নেওয়া কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।ভালো থাকার জন্যই তো জীবনে এতো কষ্ট করা, সেই ভালো কতটা আছি বা পাশের মানুষ টা আছে এ খোঁজ নেওয়া টা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়ে।
#4.প্রতিদিনকার ঘটনা শেয়ার করা:
এমন প্রচুর মানুষ আছে যাঁরা সারাদিনের সমস্ত ঘটনা পাশের মানুষের সঙ্গে বলতে পছন্দ করে।ছোট্ট ছোট্ট ঘটনা মনে রেখে দিনের শেষে বলতে বেশ লাগে।এতে করে সম্পর্কের বন্ধন টা সুন্দর হয়।একে অপরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আর যাঁরা বাইরে কাজ করে তাঁরা বাড়িতে ঘটা টুকরো টুকরো ঘটনাও শুনতে চাই।এতে তাঁদের মনে বাড়ির স্পর্শের অনুভূতি জাগে।মনে হয় যে সে নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে সব কাজ করছে।
কিন্তু বাড়িতে ঘটে যাওয়া কোন কথা গোপন করে গেলে এবং সে সেই ঘটনা অন্যের মুখে শুনলে তাঁর কষ্ট হবে,মন খারাপ লাগবে,নিজেকে বাইরের মানুষ মনে হবে।
এদিকে অপর মানুষটার ও উচিত তাঁর জীবনের ঘটা প্রতিটা ঘটনা পাশের মানুষ টা র সাথে শেয়ার করা।এতে করে মনের বোঝা হালকা হয়,কোন বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে গিলটি ফিল হয় না,দু'জন দু'জনের কাছে পরিষ্কার থাকা যায়।এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়।
কিন্তু কিছু কিছু মানুষ কেবল নিজের কর্তব্য টুকু পালন করাকেই সম্পর্কের মধ্যে গুরুত্ব দেওয়া মনে করে। সব কিছু শেয়ার করা কে অপ্রাসঙ্গিক মনে করে।একটা সময়ের পর এই সম্পর্ক গুলো কেবল যান্ত্রিক সম্পর্ক হয়ে দাঁড়ায়।এখানে শুধু কর্তব্য, আর দায়িত্ব বেঁচে থাকে ,কিন্তু সম্পর্ক টা মরে যায়।
কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করলে সেই সম্পর্কের মধ্যে একটা বাচ্চা সুলভ সত্তা থাকে,যেটা বুকের মধ্যে এক রাশ ভালো লাগা এনে দেয়। তখন দূর খুব কাছের মনে হয়।
#5.মন খারাপে সঙ্গ দেওয়া:
'লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ' মধ্যে মন খারাপ হওয়াটই স্বাভাবিক।এমন অনেক মূহুর্ত উপস্থিত হয় যখন কাছের মানুষ টাকে খুুুব কাছে, একান্ত করে পেতে ইচ্ছা করে। কিন্তুু কোন মূল্যেই তখন কাছে যাওয়াা সম্ভব নয়।এমন অবস্থায় মন হঠাৎ করে খুুুব খারাপ হয়ে যায়।মনে যন্ত্রণা হয়।
এমন অবস্থায় পাশের মানুষটার সঙ্গে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে, অনেক টা সময় ধরে মনের সব কষ্ট প্রকাশ করতে ইচ্ছে করে।তখন পাশের মানুষ টা র উচিত একটু ধৈর্য্য ধরে তাঁর মন যাতে ভালো হয়।সে যাতে আবার একটু হাসে সেই চেষ্টা করা।এক্ষেত্রে কথা বলাটা ভীষণ জরুরী।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
এই সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তাঁর মনে যেন
কষ্ট টা জমে না যায়। একে অপরের থেকে দূরে থাকলে যে সমস্যা হয় সেটা হল, একজনের হয়তো মনটা খুব খারাপ কিন্তু অন্য জন নিজের কাজের জন্য তাঁকে সে ভাবে গুরুত্ব দিল না।তাঁর কষ্ট টা বোঝার চেষ্টা করল না।
ঠিক এই সময় ই যদি সে এমন কাউকে পাশে পায় যে তাঁর কষ্টের কথা শুনছে এবং তাঁর কষ্ট বুঝে তাঁকে একটু হাসানোর চেষ্টা করছে, বা তাঁর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তাহলে সে ক্ষেত্রে এই মানুষটার টাল খাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।
আর যত অবৈধ সম্পর্ক গুলো তৈরি হয়, সব গুলোই এই ফাঁক পূরণের জন্য। যদিও এটা কখনোই উচিত নয়, এতে করে কখনো ভালো থাকা যায় না।এতে আরো জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।জীবনের সব শান্তি চিরতরে চলে যায়।কারণ তোমার মন কখনো তোমাকে ছাড়বে না, সে তোমাকে আত্মগিলানী তে জর্জরিত করে ফেলবে।তাই এমন রাস্তায় পা না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে এ সব কিছুই বন্ধ করা সম্ভব যদি দু'জন দু'জনের মন খারাপের সময় একটু সঙ্গ দেওয়া যায় তবে কেউই সহজে বার মুখো হতে চায় না।দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে।
#6.মাঝে মাঝে না জানিয়ে উপহার পাঠানো:
বাচ্চা থেকে বড় প্রত্যেকেই যদি হঠাৎ কোন উপহার পায় তাহলে তাঁর খুশির আর শেষ থাকে না।আর উপহার টা যদি পার্সেল হয়ে আসে তাহলে তো কোন কথায় নেই।তখন যেন আরো মন খুলে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে, প্রাণ খুলে কথা বলতে ইচ্ছে করে।এ খুশির রেশ যেন সহজে যেতে চায় না।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
উপহার সামগ্রী মনকে আহ্লাদি বানায়।সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টতা আনে।তখন কাছের মানুষটাকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছাা করে আর ঐ উপহারের মধ্যে তার স্পর্শ খুজেঁ পাওয়া যায়।
অপর দিকে যে মানুষ টা বাইরে কাজ করছে তাঁর কাছে ও যদি তাঁর পছন্দের কোন খাবার কিংবা পছন্দের কোন প্রিয় জিনিস অন্য জনের মারফত পাঠানো যায় তাহলে সেও আনন্দে আটখানা হয়ে উঠবে। দূরে থেকে বাড়ির জিনিস কাছে পাওয়া এ যেন তাঁর কাছে অমৃত সমান মনে হয়।
এভাবে স্বামী স্ত্রী বা কোন প্রিয় মানুষ দূরে থাকলে তাঁর সঙ্গে একটা হৃদ্যতার সম্পর্ক বজায় রাখা যায় খুব সহজেই।তাই বলে এ উপহার সামগ্রী যে সব সময় দামী কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়।
এখানে দাম নয়, একে অন্যের গুরুত্ব দেওয়া বোঝায়, এমন লেনদেনের মাধ্যমে।
#7.নিয়ম করে খেয়েছে কি না খোঁজ নেওয়া:
এটা কিন্তু একটি সম্পর্কের মধ্যে খুুু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।খাওয়ার খোঁজ নেওয়াটা একটা আদর, মোহব্বত এর মধ্যে পড়ে।এটা খুব মিষ্টি একটা অনুভূতি।
খাবার ঘরে প্রচুর আছে, বাঁচতে গেলে আমাকে প্রতিদিন খাবার খেতেও হবে।খাবার না খেয়ে কেউ ই থাকতে পারে না।তবে সেই খাওয়ার খোঁজ টা যদি একটু মিষ্টি করে নেওয়া যায় তাহলে নিজেকে খুব মূল্যবান বলে মনে হয়।
এটা কিন্তু শুধু যাঁরা কেবল দূরে আছে তাঁরাই নয়,আমি মনে করি এটা কাছে থাকি বা দূরে প্রত্যেকের করা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এই খোঁজ টা আমার পাশের মানুষ টা না নিলে, বা নিতে ভুলে গেলে আমি খুবই কষ্ট পায়।সেদিনকার খাবার টা যেন আমার গলা দিয়ে যেতে চায় না। যদিও সে সব সময় শত কাজের মাঝেও চেষ্টা করে একটি বার জিজ্ঞাসা করার, তবুও আমার অভিমান হয় কোন কারণে একদিন সে খোঁজ নিতে ভুলে গেলে।
আর যাঁরা বাইরে থাকে তাঁরা তো সব সময় চায় যে তার স্ত্রী বা নিকট মানুষ যেন তাঁর ও একটু খেলাম কি খেলাম না সে খোঁজ টুকু নেয়। তাই এই চাহিদা টা আমাদের প্রত্যেকের মনে থাকে।কিন্তু আমরা অনেক সময় প্রকাশ করতে লজ্জা পায়।
তুমি যত দূরেই থাক না কেন তোমার সম্পর্ক সব সময় খুব ভালো থাকবে যদি তুমি এই ছোট্ট ছোট্ট বিষয় গুলিই প্রতি একটু নজর দাও তবে।এতে কিন্তু বিশাল কিছু সময় লাগে না, এটা কোন বোঝার কাজ ও নয়।এখানে প্রয়োজন শুধু একটি সুন্দর মনের।আমি যে তোমার কথা ভাবি, তোমার যত্ন নিতে চাই এর ই প্রকাশ ঘটে এই টুকরো টুকরো ঘটনায়।
#8.একে অপরের প্রশংসা করা:
যখন একজন মানুষ তাঁর সঙ্গী কে রেখে বাইরের কাজে যায় তখন সেই মাানুষটির উপরে অনেক দায়িত্ব এসে পড়ে।আর যেে কাজ করে তার অনেক ভুল ও হয়।কিন্তু সেই ভুল নিয়ে তাঁকে কখনোই কথা শোনানো উচিত নয়।বরচ তাাঁকে প্রশংসা করা উচিত।সে যে সব দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে তার জন্য তাাঁকে বাহবা দেওয়া প্রয়োজন।
এতে মনে সে একটু প্রশংসা পাওয়ার আশায় আরো সুন্দর করে পরবর্তীতে কাজ করার চেষ্টা করবে।একটা কথা মনে রাখা দরকার যে, নিজের প্রশংসা শুনতে পৃথিবীর সকল মানুষই ভালোবাসে।কেউই চায় না নিজের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে।
অপর দিকে, তাঁর স্বামী যে শুধুমাত্র তাঁদের সুখে রাখার জন্য বিদেশ বিভুঁয়ে পড়ে আছে এ কথা উল্লেখ করে তাঁর ও প্রশংসা করা উচিত।
এবং তাঁর স্বামী বা স্ত্রী কে নিয়ে সে যে ভীষণ সুখী, এমন একজন মানুষ তাঁকে বিবাহ করে তাঁর জীবনকে যে ধন্য করেছে এমন মিষ্টি সুলভ প্রশংসা পেলে সবার ই আবার নতুন করে বাঁচ তে ইচ্ছা করে, নিজের মনের মধ্যে এক অদ্ভুত ভালো লাগার জন্ম নেয়।
একটি বার জীবনে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখুন আমি এটা বলতে পারি আপনি জীবনে এক অন্য সুখ অনুভব করবেন।
আসলে আমরা মনে মনে একে অপরকে অনেক প্রশংসা করি কিন্তু সেটা মুখে উচ্চারণ করে তাঁর সামনে প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করি বা লজ্জা পায়।কিন্তু একটু সাহস করে একবার মনের কথাটা মুখে বললে আপনি যত দূরেই থাকুন না কেন আপনার সম্পর্ক সব সময় খুব ভালো থাকবে।
#9.পুরানো রোমান্টিক স্মৃতি মনে করে দু'জনে মন খুলে হাসা:
পুরানো স্মৃতি মনে পড়লেে সকলের ই ভালো লাগে।আর সেই স্মৃতি যদি হয় প্রেমের তাহলে তো কোন কথায় নেই।
আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজের চাপে বর্তমানে একটু মিষ্টি করে, হেসে কথা বলতেই যেন কষ্ট বোধ করি।যার ফল স্বরূপ জীবন টা,কেবল কর্তব্য পালন করে চলেছে মনে হয় ।সব রোমান্টিকতা বাস্ক বন্দী হয়ে জীবন যেন কোন মতে বয়ে চলেছে।
প্রচুর দাম্পত্য সম্পর্ক আছে যাঁরা কাজের বাইরে আর একটা কথাও খরচ করতে চাই না।তাঁরা সংসার করে, স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক স্পর্শে লিপ্ত হয়, অথচ প্রেমের কথা মুখে উচ্চারণ করতে লজ্জা বোধ করে বা সেটা প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না।এদের মধ্যে একটা গুরুগম্ভীর ব্যাপার কাজ করে। আমি বুঝতে পারি না এরা রোমান্টিক কথা আলোচনা না করে বাঁচে কি করে!
আরে বাবা, জীবন থাকলে সমস্যা থাকবে।এবং এ সমস্যা একবার যাবে আবার ঘুরে আসবে।তাই বলে প্রেম দেওয়া নেওয়া বন্ধ করব! তাহলে বাঁচার কি মানে?
না, না, আপনি যদি এমন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে নিজেকে পাল্টান। প্রিয় মানুষ টার সঙ্গে আপনি যতই দূরে থাকুন না কেন একটু আগের ঘটে যাওয়া কোন পুরানো রোমান্টিক স্মৃতি মনে করে প্রাণ খুলে হাসুন।
হাসলে শুধু সম্পর্ক ই ভালো থাকে না হার্ট ও ভালো থাকে। আপনি কাছে নেই তো কি হয়েছে? আপনার কাছে তো একটা স্মাট ফোন আছে, এটা দিয়ে স্ত্রীর কাছে ভিডিও কল করুন এবং কমপক্ষে একঘণ্টা গভীর রোমান্টিকতায় ডুব দিন। এতে করে দু'জনের ই মন ফুরফুরে থাকবে।এমন অনেক ঘটনা আছে যেগুলো চাপা পড়ে গেছে তাকে এবার জাগিয়ে তুলুন এবং সেই স্মৃতির মজা নিন।
#10.আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি সেটা মুখে উচ্চারণ করে বলা:
দুটি মানুষ অনেক টা সময় একসঙ্গে আছে মানে অবশ্যই তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা টা আছে।কিন্তু আমরা সেই ভালোবাসার কথাটা মুখে জানাতে চাই না।
এই সমস্যা টা সব থেকে বেশি দেখা যায় যাদের সমন্ধ করে বিয়ে হয় তাঁদের মধ্যে।তাঁরা কোন দিনও একে অপরকে ভালোবাসি বলে কিনা আমার সন্দেহ আছে।একটা সম্পর্ক কখনোই দায়িত্ব আর কিছু কর্তব্য পালন করলেই সুস্থ থাকে না।এখানে ছোট্ট ছোট্ট অনেক ভালো লাগাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
আপনি দূরে থেকেও সব সময় সেই মানুষটির খুব কাছে থাকতে পারেন।তাঁর বুকের মধ্যে জরিয়ে থাকতে পারেন যদি তাঁকে একটু মুখে বলেন যে আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
চিত্রসূত্র- pixabay.com
আবার এমন দম্পতির ও দেখা মেলে যাাঁরা হয়তো একসময় ভালোবেসে বিয়ে করেছে কিন্তু এখন সে কথা গেছে ভুলে।এখন তাঁদের মধ্যে কেবল ব্যাবসায়িক লেনদেন টা চলছে।মানে এ মাসে কত টাকা জমাল, কত খরচ হল, পরবর্তীতে কি কি আর কাজ বাকি আছে, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি এই সমস্ত কথা কে ঐ নামেই ডাকি।
হ্যাঁ, অবশ্যই এগুলোও প্রয়োজন আছে।কিন্তু তাই বলে এমন কথা কি মানাই?
আমাদের কথা আর বলিস না, সেই প্রেম ট্রেম কোথায় ছুটে গেছে।এখন আর ঐ সব ভালো লাগে না!
আমি সারাজীবন লোকের মুখে শুনে এসেছি, ও প্রেম সংসারে ঢুকে কোথায় পালাবে!
এমন কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে বলেই আমরা ধরে নিই বিবাহের পাঁচ বছর পরে আর প্রেম টা বেঁচে থাকে না।
কিন্তু এ ধারণা টা সম্পন্ন ভুল। আপনি আপনার সম্পর্ক কে যতটা আদর করবেন, যতদিন আদর করবেন সে ততদিন বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে।এটা সম্পন্ন আপনার মানসিকতার উপরে নির্ভর করে।
তাই চলতি কথায়, পুরানো কথায় কান না দিয়ে আপনি আপনার পাশের মানুষ টাকে কতটা ভালোবাসেন সেটা মুখে বলুন।একদিন বলে দেখুন, আপনি যদি এর সুমিষ্টি ফল না পান তখন আমাকে বলবেন।
আপনি যদি---- দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
এর রহস্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে উপরের লিঙ্কে প্রবেশ করুন।
উপসংহার
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একে অপরের থেকে দূরে থাকার সত্ত্বেও যদি সম্পর্ক কে সুন্দর রাখতে চান তাহলে তাঁর মন বোঝার চেষ্টা করুন।সে কি চায় তার খোঁজ নিন।তাঁর যে কথা গুলো ভালো লাগে সেই কথাগুলি বলুন।
জীবন একটাই,তাই এ জীবন কে পাশের মানুষটিকে সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করুন।পৃথিবীর সব সুখ লুকিয়ে আছে দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে।এ সম্পর্ক কে যদি অবহেলা করেন তাহলে আপনি জীবনের মূল্যবান বস্তু হারাবেন।তাই সময় থাকতে তাঁর যত্ন নিন।পৃথিবীর সমস্ত দাম্পত্য জীবন সুস্থ থাকুক, সুন্দর থাকুক আমি এই প্রার্থনা করি।
যদি আমার লেখা ভাল লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আর অবশ্যই একটা কমেন্টস করে জানাবেন আপনার মূল্যবান মতামত।
ধন্যবাদ।
চিত্র সূত্র- pixabay.com
Tags, দূরে থাকা সম্পর্ক
কোন মন্তব্য নেই: