আজীবন যৌবন ধরে রাখবে যে পনেরোটি খাবার।


আজীবন যৌবন ধরে রাখতে পনেরোটি খাবার:

       
                 পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের মনের মধ্যেই তাঁর যৌবন কে সুস্থ, সতেজ এবং আকর্ষণীয় রাখার প্রবণতা বিরাজ করে। বর্তমানে ব্যস্ততম জীবন যাত্রায় এবং  কাজের অকল্পনীয় চাপের বেশ কিছুটা প্রভাব যৌবনের উপর পড়ছে। অর্থ আর লাইফস্টাইল কে হাতের মুঠোয় রাখতে গিয়ে জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় টা অনর্থের সম্মুখীন। 

             বর্তমানে বেশির ভাগ নারী, পুরুষ ই সমান তালে কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত,তাঁদের বেশির ভাগ সময়টা কাটে বাইরে।যার ফল স্বরূপ দুজনেই প্রচণ্ড মানসিক চাপ বয়ে আনছে ঘরের অন্দরে। দুজনেই ক্লান্ত, অবসন্ন হয়ে বাড়ি ফিরে একান্তে সময় কাটানোর মানসিকতা টা হারিয়ে যাচ্ছে।

                আবার যে সব পুরুষ একা কাজ করেন, তাঁদের সমস্যা টা আরও জটিল।সংসারের সমস্ত চাপ টা পড়ছে একজনের উপর, যার দরুন তাঁকে বাইরের কাজের সঙ্গে আরও বেশি করে যুক্ত থাকতে হয়।উপরন্তু কাজের প্রেসার তো আছেই।এতো ধকল কাটিয়ে যৌবনের সুখ উপভোগ করার ইচ্ছা টা ক্ষীণ হয়ে আসছে।ফলে সম্পর্কের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ফাটল উঁকি দিচ্ছে। 

       কিন্তু যৌবন কে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শারীরিক মিলন অনস্বীকার্য।কারণ শারীরিক মিলন শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরি করে।অসুখবিসুখ কম হয়।বলাই বাহুল্য, নীরোগ শরীর যৌবন ধরে রাখার একমাত্র চাবিকাঠি।  
             
          এক্সারসাইজ হিসাবেও সেক্স পয়লা নম্বরে।এতে অনেক শক্তি খরচ হয়, ক্লান্তি আসে, যার ফলে ঘুম খুব ভালো হয়।পর্যাপ্ত ঘুম সুস্বাস্থ্য এবং যৌবন ধরে রাখে। তাই সেক্স কে অবহেলা করে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব নয়।কারণ সেক্স শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।


          তাই শত কাজ এবং ব্যস্ততার সত্তেও যৌবন কে সুস্থ ও দীর্ঘ দিন ধরে রাখতে চাইলে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে জীবন যাপন সবেতেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া অত্যাবশ্যকীয়।


   তাই খাদ্য তালিকায় যে উপাদান গুলো রাখলে দীর্ঘ যৌবনের চাবিকাঠি  থাকবে হাতের মুঠোয় সেগুলি হল----


#1.সামুদ্রিক মাছ।

#2.কমলালেবু।

#3.মধু।

#4.গাজর এবং টমেটো।

#5.পালংশাক এবং শাকসবজি।

#6.রসুন।

#7.মিষ্টি কুমড়োর বিচি।

#8.কাঁচা হলুদ এবং ফুলকপি।

#9.টকদই।

#10.আঙুর এবং জাম ও স্ট্রবেরি।

#11.কলা।

#12.গ্রিনটি।

#13.ডার্ক চকলেট।

#14.আমলা।

#15.ফলমূল।




 

              #1.সামুদ্রিক মাছ:



                            যৌবন ধরে রাখতে সামুদ্রিক মাছের কোনও বিকল্প নেই।মাঝে মাঝেই খাদ্য তালিকায় এই মাছ রাখা আবশ্যক।বাঙালি মাত্রই মাছ পছন্দ করে।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমাদের মাছ থাকে আবশ্যক। 


   তবে শুধু মাছ খেলেই হবে না,মাছ খাওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে কোন মাছে কি গুন সে সম্পর্কে।যৌবন শক্তি দীর্ঘ দিন অটুট রাখতে আপনাকে নিয়ম করে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে সামুদ্রিক মাছ।


       এই মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে।তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লাল মাংসের পরিবর্তে সামুদ্রিক মাছ রাখুন।
                   চিত্রসূত্র- pixabay.com
                 

                #2.কমলালেবু:


                      কমলা লেবুর রসে প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন,ভিটামিন, কপার প্রভৃতি বিদ্যমান।

           প্রতিদিন একটা করে কমলা লেবু খেলে শরীরের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে এবং যৌবন শক্তি বৃদ্ধি পায়।শীতকালের এই ফল টি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।এই ফলটি প্রচুর গুনে ভরপুর। এছাড়া সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডায়াবেটিস, হজমের গোলমাল, ক্রোনস ডিজিজ প্রভৃতি প্রতিরোধ করতে পারে এই ফল।


          তাই শরীর সুস্থতার কথা মাথায় রেখে এই ফল খেলে প্রচুর উপকার মেলে।আর সঙ্গে তো যৌবন শক্তি বৃদ্ধি তে সাহায্য করেই।
                  চিত্রসূত্র- pixabay.com


                 #3.মধু:



          প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।এবং মধু নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।সকালে উষ্ণ গরম জলে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।


          মধুর গুনের কোন শেষ নেই।মধু খেলে শরীর তরতাজা থাকে,শরীরের এনার্জি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং আজীবন যৌবন ধরে রাখা যায়।তাই প্রতিদিন মধু খেতে যেন ভুল না হয়।


           এছাড়া মধুর মধ্যে থাকা শর্করা রক্ত পরিষ্কার করে।ফলে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।এবং মধু রোগপ্রতিরোগ ক্ষমতাও বাড়ায়।
                   চিত্রসূত্র- pixabay.com


                  #4.গাজর এবং টমেটো:


                               গাজরে ভিটামিন সি ও থায়ামিন থাকায় ত্বকের পরিচর্যায় দারুণ কাজ দেয়।গাজর খেলে চামড়া টান টান থাকে,ত্বক নরম হয়।এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় ত্বকে পুষ্টি জোগায়।এটি কাঁচা খাওয়া বেশি উপকার।
                  টমেটো ও স্কিন কে টানটান রাখতে সাহায্য করে।প্রকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং স্কিন স্ট্রাকচার কে স্মুথ করে।


             দেশি টমেটো তে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ- তে ভরপুর ।তাই টমেটো অয়েলি টু কম্বিনেশন স্কিনের জন্য আদর্শ। আপনি যদি  প্রতিদিন একটি করে কাঁচা টমেটো খান,তাহলে আপনার শরীরের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে এবং  যৌবন শক্তি বৃদ্ধি পায়।                  চিত্রসূত্র- pixabay.com


                 #5.পালংশাক এবং শাকসবজি:


                                                       পালংশাক এ ভিটামিন সি,এ, ই, আছে।এছাড়া পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এ ভরপুর। শীতকালে এই শাক ভীষণ উপকারী।একে সুপার ফুড শাক ও বলা হয়।এই শাক খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

                পালংশাকে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।বলাই বাহুল্য, তাহলে এটি ত্বকের জন্য কতটা উপকারী।


              এছাড়া নিরেট যৌবন ধরে রাখতে গেলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর শাক সবজি রাখতেই হবে। ভাত খেতে হবে সামান্য সবজি খেতে হবে বেশি। প্রতিটি সবজি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।                   চিত্রসূত্র- pixabay.com

                #6.রসুন:


             শরীর কে টানটান এবং সতেজ রাখতে প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খাওয়ার গুন ই আলাদা।তবে যদি আপনি কাঁচা রসুনের গন্ধ সহ্য করতে না পারেন তাহলে রসুন থেঁতলে তরকারিতে দিন।
 

         রসুন কেটে বা বেটে পাঁচ মিনিট রাখলে তা অ্যালিসিন বলে একটা দরকারি যৌগের কাজ শুরুর সহায়ক হয়।তবে রসুন কে পুরোপুরি সেদ্ধ করলে এর মূলগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


             রসুনের ভিতরে যে রাসায়নিক যৌগ অ্যাজোইন থাকে তা ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রসুন হতাশা, ক্লান্তি, অবসাদ দূর করে। রসুন খেলে যৌবনের উত্তেজনা ও আবেগ বৃদ্ধি পায়।


              এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যে স্থূলত্ব কমাতে রসুন দারুণ কার্যকরী।রসুন খেলে আমাদের শরীরে Fat Cell তৈরিতে নিয়ন্ত্রণ আনা যায়।
                   চিত্রসূত্র- pixabay.com 
               

                 #7.মিষ্টি কুমড়োর বিচি:


                                 যৌবন শক্তি বৃদ্ধি তে মিষ্টি কুমড়োর বিচি অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।এতে প্রচুর পরিমাণে সাইটোস্টোরোল আছে যেটা পুরুষের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।এছাড়া পুরুষের দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে এর জুরিমেলা ভার। 

                কমড়োর বিচি থেকে পাওয়া যায় ফ্যাট ও মিনারেল।তাই কুমড়োর বিচি একদম ফেলা যাবে না।
                    চিত্রসূত্র- pixabay.com 



                   #8.কাঁচা হলুদ এবং ফুলকপি:



                                            প্রতিদিন সকালে এক গিট কাঁচা হলুদ খেলে শরীরের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে এবং যৌবন ধরে রাখতে ও সাহায্য করে।


                হলুদে আছে কিউকুমিন।কিউকুমিন অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, যা ত্বকের বন্ধু।পাশাপাশি হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক যা শরীর জীবানু মুক্ত রাখে ,উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

             এছাড়া হলুদে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, তামা, জিংকের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ। তাই হলুদ কে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় ঠাঁই দিতে হবে।

               যৌবন রক্ষায় ফুল কপি ও দারুণ ভূমিকা পালন করে। 



               #9.টকদই:


               প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক বাঁটি টক দই অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।এতে দৈনিক ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ হয়। যেটা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।


               এছাড়া ত্বকের ও সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। টকদই খেলে হার্ট ভালো থাকে, শরীরের হাড় শক্ত হয়।


                 #10.আঙুর, জাম ও স্ট্রবেরি:



                                     আঙুরে প্রোটিন, ফ্যাট,পটাশিয়াম, ভিটামিন, আয়রন প্রভৃতি ভরপুর।এই ফল কে আয়ুর্বেদে ভ্রমরোগ নাশক বলা হয়।

               আঙুর/ কিসমিস অকাল বার্ধক্য, ক্ষয়রোগ,হৃদরোগ, রক্তপিত্ত  প্রভৃতি প্রতিরোধ করে।


             পাকা জাম ঔষধিগুণসম্পন্ন। জাম বায়ুবর্ধক।এতে ফলিক অ্যাসিড ,সোডিয়াম, ফাইবার প্রভৃতি বিদ্যমান। যৌবন শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই দুটি ফল ই বিশেষ সহায়ক।


               স্ট্রবেরি কে যৌবনের রাজা বলা হয়।লাল টুকটুকে এই ফল টি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং যৌবন ধরে রাখতে ও সাহায্য করে।
                  চিত্রসূত্র- pixabay.com 

           
 

                    #11.কলা:


                                    কাাঁচা কলা ও পাকা কলাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ   খাদ্য  হিসেবে ধরা যেত  পারে। নানাবিধ রোগ নিরাময়ে কাাঁচা ও পাাা কলা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

                  এতে প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার,কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, অতি প্রয়োজনীয় তিনটি অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়।
আজীবন যৌবন

                 চিত্রসূত্র- pixabay.com 

                    কলা বলকারক, পুষ্টিকর, শুক্ররক্ষয়রোধক,ক্লান্তিি অবসাদ নাশক,   তবে পাকা কলা মধুমেহ রোগীরা না খেলেই ভালো হয়।


           অপুষ্টিতে পাকা কলার ভূমিকা অনবদ্য।মস্তিষ্কে ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক পাকা কলা।কেউ যদি নিয়ম করে প্রতিদিন একটি করে পাকা কলা খায় তাহলে সে আজীবন যৌবন ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।


                  #12.গ্রিন টি:


                          রোজকার ডায়েটে গ্রিন টি পান করা অতি প্ররয়োজনীয়।তবে এতে চিনি যুক্ত করা উচিত নয়। সবুুুজ এই  চা এ আছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান, খনিজ পদার্থ  এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
আজীবন যৌবন

             চিত্রসূত্র- pixabay.com 

 
         এছাড়া সবুজ চাা কে যৌবন ধরে রাখার চাবিকাঠি বলা হয়ে থাকে। আপনি যদি সবুুুজ চায়ের অজস্র গুন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে  থাকেন তাহলে   গ্রিন টি: বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর পানীয়  এই তথ্য সমৃৃৃদ্ধ আর্টিকেল টি পড়ুুুন। আপনিি উপরের লিঙ্কে প্রবেশ করুন এবং বিস্তারিত জানুন।

             ওখানে গ্রিন টি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।


           #13.ডার্ক চকলেট:


                                      এটি ছোট থেকে বড় সকলেরই ভীষণ প্রিয়।এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।ডার্ক চকলেট ত্বক সুরক্ষিত রাখে।
আজীবন যৌবন

         চিত্রসূত্র- pixabay.com 



              ডার্ক চকলেট এ থাকে ফ্লাবোনয়েড।যাকে  যৌবনের চাবিকাঠি বলা হয়।তাই যৌবন ধরে রাখতে প্রতিদিন এক টুকরো ডার্ক চকলেট মুখে  দিন।


               #14. আমলা:


                             আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় একে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা  মন্ত্র বলে গণ্য করা হয়।


                 আমলা পুরুষের শরীরের তাপমাত্রা সঠিক বজায় রাখতে সহায়তা করে।এবং যৌবন শক্তি বৃদ্ধি করে।


                #15.ফলমূল:


                                    আমাদের খাওয়া- দাওয়ার ভেতরে ফল- মূলের একটা বিশেষ প্রাধান্য আছে চিরকালই।ফল আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি  করে।শরীর তরতাজা করে।তাই প্রতিদিন    একটি করে যেকোনো ফল খাওয়া   উচিত ।
আজীবন যৌবন

       চিত্রসূত্র- pixabay.com যৌবনের চাবিকাঠি


             আমাদের এখানে সব সময় কোন না কোন ফল বারোমাস পাওয়া যায়। আম ,জাম , কাঁঠাল, পেয়ারা, কুল , কলা প্রভৃতি ফল খুবই সহজলভ্য তাই এগুলো   কিিন্তু খাওয়াই যায়। আপনাকে যে দামি ফল খেতে হবে এর কোন মানে নেই।আপনি প্রতিদিন যে কোন একটি ফল খান এবং যৌবন শক্তি বজায় রাখুুুন।


 

               এছাড়া শরীর কে  এনার্জি তে পরিপূর্ণ করে রাখতে প্রতিনিয়ত প্রাণায়াম করতে হবে।প্রাণায়ামের মাধ্যমে শরীরে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন সঞ্চার হয়।প্রাণায়ামের এমনই জাদু যা ক্লান্ত শরীর কেও চনমনে করে তোলে।  আপনি যদি মেডিটেশন এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে--



            তাই যৌবন ধরে রাখতে প্রতিদিন সকালে যোগাসন এবং প্রাণায়াম ভীষণ ই প্রয়োজন।

             এছাড়া সারাদিন কাজের শেষে ঘরে ফিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ না করে কাছের মানুষদের সাথে কিছু টা সময় অতিবাহিত করতে হবে। এতে মন ভালো থাকে এবং কাছের মানুষের স্পর্শ এ শরীরও তরতাজা হয়ে ওঠে।যৌবনের অনেকটা অংশ সুস্থ চিন্তার উপর নির্ভরশীল। 

              কাছে থাকি বা দূরে মানসিকতা সুন্দর থাকলে আজীবন যৌবন কে নবীন রাখা সম্ভব হয়।শারীরিক চাহিদা টা একটা সময়ের পর চলে যায়, কিন্তু মানসিক চাহিদা টা সারা জীবন ঔজ্জ্বল্যে রাখা যায়। 


চিত্র সূত্র-pixabay.com

Tags, যৌবনের চাবিকাঠি 

তথ্যসূত্র সংগৃহীত 

ধন্যবাদ 😊

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.