বাচ্চা নেওয়ার আগে মায়ের প্রস্তুতি
বাচ্চা নেওয়ার আগে মায়ের প্রস্তুতি:
ছোটবেলায় মায়ের মুখে একটা কথা খুুুব শুুুুুনতাম। মা বলত "মা" হওয়া কি মুখের কথা! কে জানে সন্তানের ব্যাথা? সত্যিই বাচ্চা নেওয়ার আগে মায়ের প্রস্তুতি থাকে আলাদা। মা হওয়া মুখের কথা নয়, একটি সন্তান প্রসব করার কষ্ট কেবল মাই বোঝে।তবে "মা" হয়ে ওঠার জন্য নারীর আলাদা করে কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। এটা নারীর সহজাত বা উপরওয়ালা প্রদত্ত ক্ষমতা।
তা না হলে, যে মেয়ে একটা সময় অন্যের বাচ্চা পটি করলে ঘেন্নায় মরি মরি করে, সেই মেয়ে নিজের সন্তানের পটি বলতে গেলে দুহাতে চটকাতে হয় তবুও ঘেন্না পায় না।যে মেয়ের রাত হলেই চোখে ঘুমের পাহাড় নেমে আসত সেই মেয়ে সারা রাত জেগে কাটিয়ে দেয়।এক সময় বডি ফিটনেস বজায় রাখা মেয়েটি হবু সন্তানের জন্য নিজের চেহারার আমূল পরিবর্তন ও মেনেে নেয় গর্ভস্থ সন্তানের মুখ চেয়ে।
চিত্রসূত্র- pexels.com
ন'নটা মাসের সন্ধিপর্ব নিঃসেন্দহে নারীজীবনের অন্যতম সুন্দর মূহুর্ত।তবে নারী গর্ভধরণের অনেক আগের থেকেই নিজেকে অস্তে অস্তে সন্তান ধারণের যোগ্য করে তোলে।সুস্থ সন্তান প্রসব করার চিন্তায় বদলে ফেলে নিজের সমস্ত অভ্যাস, ভালোলাগা, খারাপ লাগা সব কিছু।
এতোদিন যে বিষয় গুলো তাঁর কাছে কুসংস্কার বলে মনে হতো সেগুলোই পরে পালন করে অক্ষরে অক্ষরে।তখন আর কোন বিষয় নিয়ে তর্ক করে না বা যুক্তি খোঁজে না। নারী সত্যিই কি অদ্ভুত না!
হ্যাঁ অদ্ভুত বলেই ন'টা মাস নিজের শরীরে কি কি পরিবর্তন হল, তাঁকে দেখতে খারাপ লাগছে কি ভালোলাগছে এ সব নিয়ে মাথা ঘামায় না। তখন তাঁর স্বয়নে স্বপ্নয়ে শুধু সন্তান ই থাকে। সেই মায়ের ঋণ কি এই পৃথিবীর কোন বস্তু দিয়ে শোধ করা সম্ভব? না, কখনোই সম্ভব নয়। এই জন্যই মা শব্দটি এতো মধুর।
একটি সন্তান গর্ভে আসার পর তাঁর শরীরের গঠন বদলায়, চাহিদা বদলায়, দিনকে দিন তাঁর ওজন বাড়ে।খাবারে আসে অরুচি, বমি বমি ভাব হয়, সঙ্গে অনেকেই অনিদ্রা তেও ভোগে তবুও হাল ছাড়ে না। কারণ ন'মাসের যুুদ্ধের শেষে একটি মিষ্টি নরম তুলতুলে সোনার আগমনের আশায়।
চিত্রসূত্র- pexels.com
তবে মাতৃত্বের সাধ নেওয়া আগে কিছু বিষয়ে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং সন্তানের ভালোর জন্য নিজের স্পেশাল যত্ন ও নিতে হবে। তাহলে এবার চলুন বাচ্চা নেওয়ার আগে মায়ের প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া উচিত সেদিকে দৃষ্টিপাত করি------
#1. পরিবর্তন কে সাদরে স্বাগতম জানান:
মা হওয়ার মধ্যে যতটা সুখ আছে, ঠিক ততটাই আছে চ্যালেঞ্জ।কনসিভ করার পর থেকে সন্তান পৃথিবীর মুখ না দেখা পর্যন্ত শরীরে প্রতিদিন ই
কিছু না কিছু পরিবর্তন আসবে। আর সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্ত্ই তো মায়ের দায়িত্ব শেষ নয়,বরং সেখান থেকেই যাত্রা শুরু। এখানে বাবার ভূমিকা সামান্য। তবে এই সময় তাঁকে সবার আগে পাশে প্রয়োজন।
তাঁর শরীরের কষ্টের ভাগ নিতে পারবে না তবে তাঁকে আনন্দে, ভালোবাসায়, খুশিতে রাখতে পারবে।তাঁর মানসিক সাহস দিতে পারবে। তাঁর স্ত্রীর বর্তমান সৌন্দর্য তাঁর কাছে সব থেকে দামী এটা বলে তাঁর মানসিক বল দিতে পারবে। তাই বাচ্চা নেওয়ার আগে বাবার ও মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
এই সময় আশেপাশের মায়েদের সঙ্গে একটু কথা বলা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ এর সঙ্গে এটাও প্রয়োজনীয়। কারণ তাঁদের অভিজ্ঞতা, অনুভূতির কথাতে মনে জোর পাওয়া যায়। এবং বাড়ির বড়দের কথাও মেনে চলতে হবে।
এই সময় মায়ের চেহারা ভারী হয়ে আসবে, জেল্লাদার চোখমুখ ও ফ্যাকাশে হয়ে যাবে।তবে সব কিছুই সাময়িক।
আমার মা গল্প করে আমি নাকি যখন মায়ের পেটে ছিলাম তখন আমার মায়ের পা দুটো এতো ভারি হয়েছিল যে মায়ের চলতে খুব কষ্ট হতো। কিন্তু তখনকার দিনে সবাই যেহেতু একটা বিশাল বড় পরিবারে থাকত তাই মা বিশ্রাম পেত না। আমি যেহেতু চৈত্রমাসে হয়েছিলাম তাই আমি যেদিন এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখব সেদিন ও মাকে উঠানে ধান শুকাতে হয়েছিল। আমার মা ধানে পা দিতে দিতে মাথা ঘুুরে পড়ে গিয়েছিল। তার দু'ঘণ্টা মতো পরেই আমি হাজির হলাম কান্না করতে করতে। তবে এখন মায়ের এতো কষ্টের কথা শুুুুনলে খুুুব খারাপ লাগে।
প্রতি মা কেউ অবশ্য কমবেশি কষ্ট করতে হয়।তবে বর্তমান মায়েদের মানসিক কষ্ট টা ভোগ করতে হয় না। কারণ এখন সব পরিবার ই খুব সচেতন।
প্রেগন্যান্সি যত অ্যাডভান্সড স্টেজে যাবে, মায়ের শারীরিক ওজন তত বাড়তে থাকবে।ফলে মায়ের পা ফুলবে, তলপেটে টান ধরবে, অনেক সময় আবার খিঁচুনি ও দেখা দেয়। শুুুতে বসতে, কষ্ট হবে।
চেনা প্রিয় খাবার গুলো তখন আর খেতে ইচ্ছা করবে না। তবে এই সময় একদম খাবার বন্ধ করা যাবে না। অনেকেই আবার কিছু খাবারের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। এটা তিন চার মাস পর্যন্ত হয়। পরে আবার ঠিক হয়ে যায়।
গর্ভবতী মায়েরা এই সময় কথায় কথায় মেজাজ হারিয়ে ফেলে,চেখে যখন তখন জল চলে আসে। কাছের মানুষের উপরে অভিমান হয়। আসলে এই সময় হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় তাই এমন হয়। তবে প্রিয়জনদের উচিত তাঁকে এই সময় বোঝার । সবাই তাঁর পাশে থাকা প্রয়োজন।
একটা শরীরের ভিতরে আর একটা শরীর বেড়ে ওঠা, তাকে সুস্থ ভাবে ভূমিষ্ঠ করা নিতান্তই সহজ কাজ নয়। যেই মূহুর্তে কনসিভ করার সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।তাহলেই সব সময় সুস্থ থাকা যাবে।
#2. প্রেগন্যান্সি হওয়ার আগে করণীয় কাজ:
এখনকার বেশিরভাগ দম্পতিই বাচ্চা নেয় অনেক ভেবে চিন্তে। তাই তাঁরা বাচ্চা নেওয়ার আগ মায়ের শরীরের ওজন, তাঁর অন্য কোন সমস্যা আছে কি না এগুলো দেখে নেয়। কিন্তু সে তো গুুুটি কয়েক সচেতন দম্পতি। অনেকেই আছে মায়ের বর্তমান শরীরের অবস্থার দিকে নজর দেয় না।যাঁর ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় পরবর্তীতে।
তাই সকলের উচিত বাচ্চা নেওয়ার আগে মায়ের জীবন যাত্রা এবং খাওয়া দাওয়ার উপরে বিশেষভাবে নজর দেওয়া।এই সময় স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করতে হবে, সব রকম নেশা থেকে বিরত থাকতে হবে, পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। সঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুমানো উচিত। অতিরিক্ত ওজন যেন না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হব। কারণ এমনিতেই বিয়ের পরে অধিকাংশ মেয়েদের ওজন বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কেনো মেয়েরা বিয়ের পরে মোটা হয়?
হবু মায়ের যদি এপিলেপ্সির মতো কোন অসুুখ থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাাওয়া উচিত নয়। অনেকের আবার ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, কোলেস্টেরল এর মতো সমস্যা থাকে, যা হয়তো এমনিতে বোঝা যায় না।সেেই অবস্থায় সন্তান ধারণ করলে পরবর্তীতে অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ।তাই কিছু পরীীক্ষা আগে করা উচিত।
এছাড়া রুবেলা, মিসলসের মতো কিছু টেস্ট করা প্রয়োজন। মোট কথা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পরীক্ষা হবু মায়ের করা উচিত, যদি মায়ের আগের থেকে কোন সমস্যা থেকে থাকে।
যদিও কার শরীরে কি সমস্যা আছে সেটা আগের থেকে বোঝা মুশকিল। আমার এক বান্ধবীর বিয়ের আগে তাঁর শরীর ছিল সুস্থ স্বাভাবিক। কিন্তু বিয়ের পরে মা হওয়ার সময় তাঁর মধ্যে দেখা দিল এক জটিল রোগ। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই সন্তান কে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে। তাই প্রত্যেকের ই উচিত বাচ্চা নেওয়ার আগে কিছু পরীক্ষা করার।
#3. মানসিকভাবে প্রস্তুত হন:
সন্তান ধারণ করা প্রত্যেক মেয়ের কাছে একটি গর্ভের বিষয় । একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে এক জীবন থেকে আর এক জীবনে প্রবেশ করে। তাঁর মধ্যে তিল তিল করে বাড়তে থাকে আর একটি ছোট্ট প্রাণ। তাই তাঁর এই সময় মানসিক ভাবে অনেক শক্তিশালী থাকতে হবে।হব মায়ের এই সময় মানসিক ভাবে রিল্যাক্সড থাকতে হবে।
কিছু শারীরিক অস্বস্তি, ব্যথা, অরুচি, অনিদ্রা ইত্যাদি দেখা দেবে। এক একজনের এক একরকম সমস্যা হয়। তবে সব মায়ের ই কিছু না কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তবে এখন বেশিরভাগ দম্পতি নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে বাস করে। ফলে বড়দের সুপরামর্শ থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে এই সময় কোন টা করা উচিত আর কোন টা করা উচিত নয় সেটা বলার কেউ থাকে না।তাই নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে।
বহু মা গর্ভাবস্থায় ছোট্ট ছোট্ট শারীরিক বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করে।বাচ্চার ক্ষতি নিয়ে চিন্তা করে।তাই বাচ্চা নেওয়ার আগে মায়ের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া আগে প্রয়োজন। সব সময় মানসিক ভাবে শক্তিশালী থাকতে--
এছাড়া এই সময় মায়ের মন ভালো রাখতে একটু ঘরোয়া আনন্দ আনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বাঙালিরা সাধের অনুষ্ঠান করে। এতে করে হবু মা খুশি হয়, তাঁর বাচ্চা এই পৃথিবীতে আসছে তাতে যে বাড়ির সকলে খুব খুশি এটা মনে করে একটা মা সব কষ্ট সহ্য করে। হবু মায়ের খুশির সন্ধানে
চিত্রসূত্র- pexels.com
তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, মা হতে গেলে নিজের ভালোর চিন্তা নিজেকে করতে হবে। তাই সন্তানের সুস্বাস্থ্যর কথা মনে করে হাসি খুুুশিতে থাকতে হবে। এছাড়া পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, সব সময় কিছু না কিছু খেতে হবে। কারণ মা না খেয়ে সন্তান ও না খেয়ে থাকবে সেটা সন্তানের স্বাস্থ্যর জন্য ভীষণ ই ক্ষতিকর।
তাই কারো উপরে সাময়িক অভিমান করে না খেয়ে থাকলে চলবে না।আর অতিরিক্ত চিন্তা ও করা যাবে না।মাতৃত্ব, প্রেগন্যান্সি খুবই স্বাভাবিক একটা পদ্ধতি। প্রতিটি নারী এই দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।তাই সেই সময় টাকে উপভোগ করুন।চিন্তার ভিড়ে এই সময়ের মাধুর্য হারাবেন না।
#4. গর্ভাবস্থায় জরুরী কিছু পরীক্ষা:
সব মা চায় তাঁর সন্তান যেন সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে এই পৃথিবীর আলো দেখে। তবে এটা নিয়ে অযথা চিন্তা করার কিছু নেই। প্রথম তিনমাস একটু সাবধানে থাকতে হবে।তবে সন্তান পরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পরীক্ষা করতে হবে।
সব থেকে ভালো হয় বিবাহের আগে হবু স্বামী স্ত্রীর কিছু পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে বিয়ে করলে। এই বিষয়ে----
আরও পড়ুন: কাউকে বিয়ে করার আগে কী কী জানা উচিত?
তবে গর্ভাবস্থায় প্রথম আট-ন' সপ্তাহের মধ্যে হবু মায়ের একবার আলট্রাসাউন্ড টেস্ট করানো জরুরী ।এতে প্রেগন্যান্সির ভায়াবল কি না,অর্থাৎ বাচ্চার হার্টবট এসেছে কি নাা, তা জানা সম্ভব হয়।
এছাড়া প্রেগন্যান্সির পজিশন, তা এক্টোপিক কি না তাও জানা যায়।যদি প্রেগন্যান্সি তে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে কেবল কিছু রুটিন ব্লাড টেস্ট এবং ইউরিন টেস্ট করানো জরুরী। এছাড়া ডাক্তারের কাছে সব কিছু খুলে বলতে হবে। এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।এবং নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে।ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া একটা ওষুধ ও খাওয়া চলবে না। গর্ভবতী মায়ের ঔষধ
চিত্রসূত্র- pixabay.com
আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী ২০ সপ্তাহের মধ্যে প্রেগন্যান্সি টার্মিনেট করা আইন সস্মত।তাই কিছু পরীক্ষার মাাধ্যমে বাচ্চা কেমন আছে এটা জেনে নেওয়া উচিত।
#5. আর্থিক প্রস্তুতি নিতে হবে:
একটা বাচ্চা নেওয়ার আগে আর্থিক প্রস্তুতি নেওয়া এখন ভীষণ প্রয়োজন। একটা বাচ্চার পিছনে প্রচুর খরচ। আগেকার দিন এখন আর নেই। আগেকার দিনে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করত বাড়িতে। এখানে কোন খরচ নেই।
তখন একটা ব্লেট আর সাবান হলেই হয়ে যেত। আর ধাইমা কে কিছু খুশি মনে দিলেই হয়ে যেত। কিন্তু এখন সে দিন শেষ। অনেক দম্পতি আছে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় বাচ্চা নিতে চায় না। কারণ একে তাঁর এই পৃথিবীর মুখ দেখাতে গেলে অনেক অর্থের দরকার তার উপর অভাবের জীবনে তাঁকে আর টানতে চাই না।
উপসংহার
কষ্ট হলেও এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত। তাই আপনি যদি বাচ্চা নেওয়ার প্রস্তুতি নেন তাহলে অর্থনৈতিক দিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন। এবং সেই অনুসারে বাচ্চা নেওয়ার আগে প্রস্তুতি নেবেন।
সমস্ত হবু মায়েদের জন্য আমার বুক ভরা শুভেচ্ছা রইল। সবার সুস্থতা কামনা করি।
তথ্যসূত্র সংগৃহীত।
চিত্রসূত্র- pixabay.com, pexels.com
Tags, মা ও শিশু।
ধন্যবাদ 😊
কোন মন্তব্য নেই: