কেন মেয়েরা বিয়ের পরে মোটা হয়?

 কেন মেয়েরা বিয়ের পরে মোটা হয়:


                          বিয়ের পরে অধিকাংশ মেয়েই মোটা হয়ে যায়।বিশেষ করে বাঙালি মেয়েরা।কিন্তু প্রশ্ন হল কেন মেয়েরা বিয়ের পরে মোটা হয়? এই প্রশ্নের উত্তর অনেক। তবে মূল যে কারণ তা হল অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন। বেশিরভাগ মেয়েই বিয়ের পরে নিজেকে আর যত্নের তালিকায় রাখে না। একটা গা ছাড়া ভাব চলে আসে।ফলে শরীরের স্থূলত্ব বেড়ে যায়। রাস্তার দিকে তাকালে দেখা যায় বিবাহিত মেয়ে মানেই সে মোটা।(যদিও এখনো কিছু ব্যতিক্রম আছে, তবে এটা মনে হয় খুব বেশিদিন থাকবে না।)

বিয়ের পরে মোটা
                               মোটা নারী 
                     চিত্রসূত্র- pixabay.com 
               
                
               আমি এই বিষয়টি আগে ভীষণ ভাবে লক্ষ্য করতাম।আমার পরিবারের এমন অনেক মেয়ে আছে যারা একটা সময় নিজেকে যত্ন করত,শরীর চর্চা করত,খাওয়া দাওয়া তে বাছবিচার করত, কিন্তু সেই মেয়েটি ই বিয়ের পরে পুরো পাল্টে গেল। সাজ গোঁজ থেকে শুুুরু করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ননতা সবেতেই যেন তাঁর অরুচি। 

                   আসলে বিয়ের পরে মেয়েদের ভাবখানা এমন থাকে যে, আমার বিয়ে তো হয়ে গেছে,  এখন আর এতো যত্ন টত্ন নিয়ে কি হবে! সবার ধারণা টা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে যে, মনে হয় কেবলমাত্র বিবাহ করার জন্যই এই পৃথিবীতে এসেছিল সেই কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে অতএব এবার যাইহোক করে দিন পার হলেই হল।

               আবার এটাও লক্ষ্য করা যায় যে, একজন হয়তো নিজের যত্ন নিচ্ছে না কিন্তু অন্য জন যদি নিজের কেয়ার করে তাহলে জেলাসফিল হয়ে বলে বসে, কি রে তুই কি আবার নতুন করে বিয়ে টিয়ে করবি না কি?

               এই টোন টিটকিরির ভয়ে অনেক মেয়ে সবার মতো ভিড়ের মাঝে গা ভাসায়। কারণ বিয়ের পরে মোটা হওয়া টাকে কেউ খারাপ চোখে দেখে না। বরং যদি কেউ আগের চেহারায় থাকে তাঁকে তাহলে সবাই বলবে, কি রে তোর বর কি ঠিক মতো খেতে দেয় না, না ঠিক মতো আদর করে না! 

            আমাদের মতো সাধারণ পরিবারে, একটা খুব ভুল ধারণা ঘোরাফেরা করে,  সবাই ভাবে বিয়ের পরে মোটা হওয়া মানে তাঁকে তাঁর বর খুব ভালোবাসে। কিন্তু হয় ঠিক এর উল্টো টা, অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়ার ফলে তাঁকে হয়তো তাঁর স্বামী  লোক লজ্জার ভয়ে কিছু বলতে পারে না, তবে দু'জনের মধ্যে মনের টান অনেক কমে যায়। কারণ কোন ছেলেই খুুু বেশি মোটা মেয়ে পছন্দ করে না।

           তারও অবশ্য কারণ আছে, মেয়েরা বেশি মোটা হয়ে গেলে শারীরিক মিলনের ইচ্ছা টা কমে যায়। এমনিতেই আমাদের ব্যস্তময় জীবন যাপনের জন্য নারী পুরুষের মধ্যে রোম্যান্স করার প্রবণতা এখন কম লক্ষ্য করা যায়। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে রোম্যান্স বজায় রাখতে------



                    চলুন এবার জানি,  

    কি কি কারণে মেয়েরা বিয়ের পরে মোটা হয় এর সমাধানই বা কি


            #1.খাদ্যাভ্যাসে লাগাম না টানা:


               নতুন বিয়ের পর মেয়েরা যখন প্রথম শ্ববশুরবাড়িতে আসে তখন নতুন বৌয়ের জন্য নিত্যনতুন পদ রান্না হয়, একে বিয়ের টেনশনে  আগে বেশ কিছুদিন ঠিক মতো খেতে না পারার দরুন পরে নিশ্চিত মনে অনেকটা খেয়ে ফেলে। এটাই একটা পরে বদ অভ্যাস এ দাঁড়িয়ে যায়।আর ঐ যে আগে বললাম, কেউ আমাকে পছন্দ করবে কি করবে না, এই ভয়টা চলে যায় ফলে মনের আনন্দে রসনাতৃপ্তি করে নেয়।

            এই প্রসঙ্গে আমার একটা ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে। না, বেশি না ভেবে বলেই দিই-- 

        আমার husband এর সঙ্গে আমার যখন প্রথম পরিচয় হয়, তখন তাঁর আমাকে বিয়ে করার একটাই শর্ত ছিল। সে আমাকে বলেছিল আমি যেন আমার বডির ওজন কোন দিন ও বাড়তে না দিই। আমি ওর শর্তে রাজি হই। না হয়ে কি উপায় ছিল! তাঁকে দেখে আমি নিজেই তো পাগল। যাইহোক এখন আমাদের তিন বছরের বিবাহিত জীবন আর তাঁর আগে বেশ কিছু বছরের সম্পর্ক ধরে অনেকটা সময় কেটে গেল আমি তাঁর কথা এখনো পর্যন্ত রেখে চলেছি এবং আশা করি ভবিষ্যতেও রাখতে পারব।

           তার কারণ হল, আমি খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টানতে  জানি এবং খাদ্য নিয়ে আবেগ ত্যাগ করতেও পারি। এবার অনেকেই বলতে পার যে, বেবি হলে মেয়েরা মোটা হতে বাধ্য। 

          এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব কখনোই না। এটা একটা মানসিক ভ্রান্ত ধারণা। এই প্রসঙ্গে আরো বিস্তারিত আলোচনা পরে করছি।তবে আপনি যদি শারীরিক ভাবে ফিট থাকতে চান তাহলে খাদ্যে লাগাম টানতেই হবে।

            #2. নিজের জন্য আলাদা সময় না রাখা:


                   বিয়ের পরে অধিকাংশ মেয়েরা নিজেকে আর সময় দিতে পারে না, বা দেয় না। পরিবার যদি যৌথ হয় তাহলে আলাদা সময় বার করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

           কিন্তু এমন অনেক মেয়ে আছে যারা অনেকটা সময় পাওয়ার পরেও সেই সময় কে কাজে লাগায় না। এমন হয় যে বেশ কিছুক্ষণ কাজ করছে তার পরে একটু বিশ্রামে আছে কিন্তু হাতে আছে সোশ্যাল মিডিয়া। সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ঘটনায় মনে হয়ে উঠছে উতলা,  অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরে আবার কিছু না কিছু কাজ করতে হচ্ছে তখন মন টা হয়ে যাচ্ছে ভারী ফলে অনেক সময় তখন মনে রাগ জমা হচ্ছে,  এবং নিজেকে নিয়ে আলাদা করে ভাববার আর মানসিকতা থাকছে না।


             কিন্তু নিজেকে ভালো রাখতে গেলে, শরীর ফিট রাখতে গেলে হাজার কাজের মাঝেও একটু সময় বার করতে হবে এবং সেই সময়ে নিজের যত্ন নিতে হবে, শরীর কে ফিট রাখার পরিকল্পনা করতে হবে,  সময় কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে হবে। এবং সর্বোপরি আমি আমার চেহারা কে স্লিম রাখব এই মনোভাব মনের মধ্যে পোষণ করতে হবে। 

           একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা সচেতন মনে যেটা ভাবি আমাদের অবচেতন মন সেটা কেই গ্রহণ করে। আপনি যদি ফিট থাকতে চান, মনের মধ্যে এই ভাবনাকে স্থান দেন তাহলে আপনি আপনার ভাবনায় সফল হবেন, এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়।তাই আগে নিজের জন্য কিছু টা সময় বার করুন আর সেই সময় কে কাজে লাগাবেন এটা ভাবতে থাকুন তাহলেই আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন।


               #3.জন্মনিয়ন্তক পিল খাওয়া:


               এটা একটা মারাত্মক সমস্যা। এমন কোন বিবাহিত মেয়ে নেই যে এই ভুল পদ্ধতি গ্রহণ করে না। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে মেডিসিন ব্যবসায় সব থেকে বেশি অর্থ উপার্জন হয় জন্মনিয়ন্তক ওষধ বিক্রি করে। 
বিয়ের পরে মোটা
                             জন্মনিয়ন্তক পিল 
                         চিত্রসূত্র- pixabay.com 


         জন্মনিয়ন্তক পিল শুধু শরীর কে মোটাই করে না এ শরীরের মধ্যে হাজার রোগ বয়ে আনে। কোন মেয়ে যদি একভাবে এই ওষুধ সেবন করে তাহলে তাঁর বয়স পঁয়ত্রিশ পেরোতে না  পেরোতেই শারীরিক মিলনের ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যাবে। আর সঙ্গে যোগ হবে বোনাস হিসেবে একটা মোটাসোটা ভুঁড়ি।

          আসলে মূল সমস্যা টা হলো অর্থনৈতিক অবস্থা। এই পিল গুলো খুব সস্তায় পাওয়া যায়,  মাত্র পাঁচ টাকা খরচ করলে একমাস আর কোন খরচ নেই। আর এই ফাঁদে পড়ে প্রতিটা মানুষই। এটা কেউ বোঝে না যে, এখন কম খরচের ভয়ে পিল খেলে  পরে সেটা রোগের পিছনে চলে যাবে। তাই একটু যাঁরা সচেতন তাঁরা কন্ডম ব্যবহার করে। এটা সব থেকে সুরক্ষিত একটি পদ্ধতি। 

       এছাড়া একটু বুদ্ধি খরচ করলে আরও অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। এবং নিজের বডি কে সেফ রাখা যায়। তার জন্য পাশের মানুষ টির একান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

                  #4. সন্তান প্রসব করলে:


                একটি মেয়ের সন্তান হওয়ার পরে শরীরে মেদ জমতে বাধ্য। এই সময় বিভিন্ন হরমোনের প্রবেশ ঘটে শরীরে। ফলে শরীরে জমে বাড়তি মেদ।

           পৃথিবীর কোন ওষুধ ই এই মেদ রুখতে কার্যকরী নয়। এটা মাতৃত্বের একটি মিষ্টি লক্ষণ বলা যায়। এখানে সেলিব্রিটি আর সাধারণ মানুষ সব সমান। সবাই এই সময় কেবল মা।

          এই সময় প্রচুর প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন,  ক্যালসিয়াম,  ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, মোট কথা সব খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে বাচ্ছার সুস্বাস্থ্যর  জন্য এবং মায়ের যত্নের জন্য। এবং বাচ্চা প্রসবের পরে, এবং আগে  বিভিন্ন ধরনের ওষুধ থেকে শুরু করে অনেক ইনজেকশন নিতে হয় , যার ফলস্বরূপ মায়ের চেহারায় সেটা ফুটে ওঠে।

           কিন্তু এর পরেই হলো আসল খেলা। আমি আগেই বলেছি, প্রতিটা মানুষের মুখে একটা কথা শোনা যায়, সেটা হল একটা বাচ্চা হওয়ার পরে মেয়েদের শরীর মোটা হবেই!

          এই একটা কথাকে বিশ্বাস করে প্রচুর মেয়ে পরে আর শরীরের যত্ন নেয় না। শরীরের বেড়ে যাওয়া ওজনকে আর কমানোর চেষ্টা করে না। কারণ চারিদিকে সবাই তো বাচ্চা হওয়ার পরে মোটা হয়ে বসে থাকে, আর যত দায় চাপায় বাচ্চার ঘাড়ে। এটা একটা স্রেফ অজুহাত। এঁরা মস্তিষ্কের মধ্যে এটা পুশ করে, আমি মা হয়েছি তাই আমার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে এটা স্বাভাবিক নিয়ম। 

       ব্যাস হয়ে গেল বডির দফারফা। কিন্তু এটাও আবার চরম সত্যি যে, প্রতিটা নায়িকা ও কিন্তু মা হয় এবং তাঁদের ও শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। তাঁরা যেটা করে সেটা হল পরবর্তীতে নিজের ওজন কমাতে শারীরিক কসরত করে, আর সাধারণ মানুষ সেটা করে না। নিজেকে আর খাটাতে চাই না। কারণ মানসিকতা তো এমন একে জীবন থেকে বিয়ের পাট চুুকেছে, তার উপরে বাচ্চা ও হয়ে গেছে অতএব  এ  বডির আর কি দরকার।

           এঁরা ভুলে যায় শরীর সুস্থ রাখতে হলে হেলদি লাইফস্টাইল অ্যাডপ করতেই হবে।আর স্থূূূলত্ব চেহারায় কখনোই হেলদি থাকা যায় না। 


               #5 . শরীর চর্চা না করা:


              যাাঁরা একটা সময় নিয়ম করে শরীর চর্চা করে তাঁরাই একটা সময়ের পর শরীর চর্চা করাটা পুরোপুরি বাদ দেয়। কিংবা এমন প্রচুুর মেয়ে আছে যারা বিয়ের আগে, পরে বলে কোন ব্যাপার নেই তাঁরা কোন দিনও 
    শরীর চর্চা করে না।

          শরীর চর্চা করলে শুধু যে শরীরের  মেদ জমে না তা নয়, শরীর চর্চা করলে শরীর রোগ মুক্ত থাকে। দীর্ঘ  ও নীরোগ জীবন লাভ করা যায়।


            সুস্বাস্থ্য হল সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। শরীরে বাড়তি মেদ জমলে কোন কাজ করে শান্তি পাওয়া যায় না,  ঘুরে শান্তি পাওয়া যায় না, নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই বিয়ের পরে যাতে শরীরে বাড়তি মেদ না  জমে তাঁর জন্য একটু সময় বার করে প্রতিদিন নিয়ম করে শরীর চর্চা করতে হবে। এবং কতটা ওজন কমল তাঁর একটা হিসাব ও রাখতে হবে।

বিয়ের পরে মোটা
                     ওজন কমার হিসাব রাখা
                      চিত্রসূত্র- pixabay.com 


       এটা ঠিক বিয়ের আগে আর বিয়ের পরের সময়ের মধ্যে অনেক পার্থক্যর সৃষ্টি হয়। বিয়ের পরে অনেক বাড়তি কাজ করতে হয়। কিন্তু এটাও তো আবার ঠিক যদি শরীর সুস্থ না থাকে তাহলে পুরো জীবন টাই তো বৃথা। তাই দরকার হলে খুব সকালে উঠতে হবে, কিংবা সকালে যদি একান্তই সময় না হয়ে ওঠে, তবুও কোন চিন্তা নেই সন্ধ্যা বেলায় ও শরীর চর্চা করা যায়। 

        এর জন্য দরকার শরীর চর্চা করার মানসিকতা। শরীর চর্চা প্রসঙ্গে, 



           #6. আলসেমি:

              মেয়েদের বিয়ের পরে আলসেমি টা একটা কমন সমস্যা।  বিয়ের পরে একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব মেয়েদের উপরে এসে পড়ে। ঘরের যে কাজটা মা মাথা খুটলেও আগে করতে ইচ্ছে করত না সেই কাজ গুলি ই এখন বাধ্য হয়ে করতে হয়, যার দরুন মনের মধ্যে ক্লান্তি আসে।এই ক্লান্তির কারণে অনেকেই বেশি খেয়ে ফেলে, কারণ এই সময় আতো বাছবিচার করতে ভালো লাগে না বা মন চাই না।

            একটু কাজের চাপ বেশি হলে ঘুম ঘুম পায় তখন আর কখন ঘুমানো উচিত আর কখন ঘুমানো উচিত নয় এ হিসাব রাখা সম্ভব হয় না যার ফলে শরীরে জমে মেদ।

            শরীরের যত্ন নেওয়া থেকে খাওয়া দাওয়া সবেতেই একটা আলসেমি ভাব চলে আসে, খুব সচেতন মেয়ে ছাড়া এগুলো কেউ ই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে না। 


            #7. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া:


             বিয়ের পরে সব থেকে ঘাটতি পড়ে ঘুমের। নতুন বিয়ে হওয়ার পরে ইচ্ছা করলেও সকাল হয়ে যাওয়ার পরেও পাশ ফিরে আর একটু ঘুমিয়ে নিই, এই টা আর হয় না। ফলে অনেক দিন কারের অভ্যাস যায় পাল্টে, ঘুমের সময়ের পরিবর্তন হয়,  জায়গার পরিবর্তন হয় ফলে ঘুম ঠিক মতো হয় না।

        শুধু যে বেশি ঘুমালেই শরীরে মেদ জমে বা মেয়েরা মোটা হয়ে যায় তা কিন্তু নয়, ঘুমের ঘাটতি হলে বা যখন তখন ঘুমালে তার প্রভাব শরীরে পড়ে।

         ঘুমের ঘাটতি হলে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে এবং সেই রোগের কারণে শরীর মোটা হয়ে যায়। তাই বিয়ের পরে ঘুমের তারতম্য ঘটলেও অনেকে মোটা হয়ে যেতে পারে।

          #8. ভাজাভুজি বা তেল জাতীয় খাবার খাওয়া:


            অনেক পরিবার আছে যাঁরা সন্ধ্যায় একটু ভাজাভুজি খেতে পছন্দ করে। এমন পরিবারে গিয়ে নিজেকে সামলে রাখা মুশকিল। এমনিতেই বেশিরভাগ নারীই  তেলে ভাজা পছন্দ করে। এবার সেটা যদি ঘরে বসে পাওয়া যায় তাহলে তো কোন কথায় নেই।

          আর ঐ যে বললাম একটা মানসিকতা কাজ করে , বিয়ে তো হয়ে গেছে এখন আর মোটা হলাম কি পাতলা থাকলাম তাতে কি যায় আসে! 

        কিন্তু যাঁরা গৃহ বঁধু তাঁদের খাদ্য তালিকা আরো মজবুত হওয়া উচিত। আপনি যদি সবার মতো মোটা হতে না চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে ডায়েট অনুসরণ করুন।

        সকালে চা খান তবে চিনি টা বাদ দিন। নিয়ম করে ব্রেকফাস্ট করুন। একটা করে ফল খান, লাঞ্চে ভাত কম খান সবজি বেশি খান, বিকালে চিনি ছাড়া চা বিস্কুট খান এবং  ডিনার করুন রুটি আর সবজি দিয়ে। যতটা সম্ভব ফাস্টফুড খাওয়া ছাড়ুন, হাতে নিন টাটকা ফল।


বিয়ের পরে মোটা

                      ফাস্টফুড ত্যাগ,হাতে ফল
                       চিত্রসূত্র- pixabay.com 

                             উপসংহার 


                পরিশেষে একটা কথাই বলার আপনি যদি ইতিমধ্যেই মোটা হয়ে গিয়ে থাকেন তাহলেও আপনার কোন চিন্তা নেই। নিজেকে  একটু মেনটেন করুন কিছু অভ্যাসের বদল আনুন, নিজের জন্য সময় বার করুন,  প্রতিদিন যোগাসন করুন তাহলেই আপনি ও শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়িয়ে একদম স্লিম হয়ে যাবেন।

            আর যাঁরা এখনো স্লিম আছেন তাঁরা সেটাকে বজায় রাখতে ঐ একি পদ্ধতি অবলম্বন করে চলুন।


       লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন আর একটা কমেন্টস করে যান। তাতে আমি লিখতে উৎসাহিত হবো।

চিত্রসূত্র- pixabay.com 

তথ্যসূত্র- আনন্দ বাজার পত্রিকা, সানন্দা।

Tags, বিয়ের পরে মোটা 

ধন্যবাদ 😊

               

                 


             


  
                  
           


 

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.