কেমন ধরনের পুরুষ কাম্য মেয়েদের?

 

মেয়েদের কাম্য পুরুষ
                              কাঙ্ক্ষিত পুরুষ 

মেয়েদের কাম্য পুরুষ:


                                        মেয়েদের কাম্য পুরুষ কেমন হবে ! এটা একটি লাখ টাকার প্রশ্ন বলা যেতে পারে। কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণ পর্যন্ত এ প্রশ্নের উত্তর খুুুঁজে পায় নি, তা আর সাধারণ মানুষ কি করে জানবে! কিন্তু তাই বলে কি প্রশ্নের অবসান ঘটেছে? কখনোই না। এমন কোন পুরুষ নেই যে সেই পুরুষ এই প্রশ্ননের উত্তর  খুঁজে বেড়ায় না।

             আজ আমরা চেষ্টা করব মেয়েদের কাম্য পুরুষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার। একবার একজন ফিল্মস্টারের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে এক সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, 

           "একজন পুরুষের মধ্যে মহিলারা ঠিক কি খোঁজেন বলুন তো?"

      উত্তরটা ছিল যথেষ্ট পরিচিত।  তিনি বলেছিলেন--

       "একজন মহিলা এমন একজন পুরুষকে চান,যিনি তাঁকে ভাল বুঝবেন!"

          সাংবাদিক তখন বলেন," শুধু এটুকুই!" একজন পুরুষের কাছে শুুধু এটুকুুই প্রত্যাশা রাখেন আপনি?

    সেই তারকা তখন একটু হেসে উত্তর দেন---

       "একরকম তাই। বাকিটা তো আর বলে বোঝানো যাবে না।"

            কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই "বাকি"  অংশটা কি? এটাই তো ধোঁয়াশা!

            একবার,  কিং আর্থারকে একটি ধাাঁধা জিজ্ঞেস করা হয়; ধাাঁধা টি ছিল--  মহিলাদের প্রিয়তম কামনা কি? 

   রাজাকে একবছর সময় দেওয়া হয় উত্তর ভাবার  জন্য। রাজা তখন তাঁর রাজ্যের সবাই কে  এক এক করে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন। আর উত্তর না দিতে পারলে তাঁর প্রাণসংশয় নিশ্চিত তা জানিয়ে দিলেন। অগত্যা উত্তর তো দিতেই হবে। তখন কেউ কেউ বললেন----

          আলসভাবে সময় কাটানো মহিলাদের বড্ড প্রিয়। কেউ বললেন,  ভালো স্বামী ই তাঁদের প্রধান কাম্য। কেউ আবার বললেন,  অর্থ, সম্পত্তি। যাঁর যেমন মনে হলো সে তেমন বলতে লাগল।

        কিন্তু শেষমেশ আর্থার আবিষ্কার করলেন---

   মহিলারা আসলে নিজের ইচ্ছেয় চালিত হতে চান! আর সেটাই তাঁদের একমাত্র কাম্য।"

        আর একবার বিখ্যাত মনোবিদ সিগমন্ড ফ্রয়েড বলেছিলেন-----

        " মহিলাদের মন নিয়ে আমার ৩০ বছরের গবেষণার পরেও আমি বুঝতে পারলাম না একজন মহিলা আসলে ঠিক কী চান ।"

          সিগমন্ড ফ্রয়েড  প্রচুর বছর ধরে নারী কে নিয়ে গবেষণা করেছেন কিন্তু  তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। 

       মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্বের অধ্যাপক ডেভিড বাস একবার অনেক মহিলার মধ্যে এক সার্ভে   করেছিলেন। তাতে  জানা গিয়েছিল যে, মহিলারা আর্থিক স্বচ্ছলতা চান তাঁদের পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে।

         এছাড়া সামাজিক স্টেটাস, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বুদ্ধি ও ভালোবাসা চান তাঁর কাছের মানুষটির কাছ থেকে। ঠিক এই ক্রমাঙ্কেই যদি এক সঙ্গে দেখা যায়,  তাহলে আর একটি বিষয় উঠে আসে সেটা হল, পুরুষের  " ডমিনেস্ন" ই মেয়েদের ভীষণ পছন্দের। শুুুনতে অবাক  লাগলেও আর একটি বিষয় হল মেয়েরা ছেলেদের শাসনে থাকতে পছন্দ করে। এর কারণ নিজের নিরাপত্তার কারণে  এবং তাঁর পুরুষ  সঙ্গীর কাছে তাঁর যে একটা মূূল্য আছে, তাঁকে তাঁর সঙ্গী যে আগলে রাখে এটা অনুভব করার জন্য।

        এছাড়া একজন পুরুষ সর্বগুন সম্পন্ন হবেন এটা একটি মেয়ের প্রধান কাম্য বলা যায়। 



       এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে পশু জগতেও এই  " ডমিনেস্ন" বা আধিপত্যে নির্ভর করে আকার ও অ্যাগ্রেশনের উপর।

        কিন্তু বাস- এর মতে , মানুষের ক্ষেত্রে সোশ্যাল ডমিনেস্নের অর্থ বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, সাহস আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এই গুন গুুলই  মহিলারা দেখতে চাই তাঁর পুরুষ সঙ্গীর মধ্যে। চলুন এবার একটু বিস্তারিত ভাবে সব বিষয় গুলি জানার চেষ্টা করি------


      পুরুষের কোন বিষয় গুলো একজন নারী পছন্দ করে?


                   #1. ধন সম্পদ:


                     পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে অর্থ পছন্দ করে না। জীবন পরিচালনা করতে গেলে অর্থ অবশ্যম্ভাবী। বাস্তব মানলে এটাকে অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই।

            তবে সমস্যা হচ্ছে কিছু নারী অর্থ কে সব কিছুর আগে রাখে। সে চাই তাঁর সঙ্গী প্রচুর সম্পদের মালিক হোক। তাঁর যেন সমস্ত চাহিদা এক কথায় পূরণ হয়।  

       কিছুদিন আগে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায় ভারতীয় এক রমণী একটি পাত্র পাত্রী র পত্রিকায়  বিজ্ঞাপন দেন যে, তাঁকে যে পুরুষ বিয়ে করবে তাঁর মাসিক আর্থিক উপার্জন এতো হতে হবে( সঠিক অর্থের পরিমাণ আমার মনে নেই)। 

মেয়েদের কাম্য পুরুষ

                              অর্থ 

          তো সেই ফোরামের তালিকায় একমাত্র  মুকেশ আম্বানি ই পড়ছে। মুকেশ আম্বানি র নজরে বিষয়টি আসে এবং তিনি খুব মার্জিত, ভদ্র ভাবে মেয়েটির উদ্দেশ্য একটি বার্তা  পাঠান। এবং লেখেন , 


   আমি এই ফোরামে থাকার দরুন আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন মনে করলাম। কারণ আপনার চাহিদা অনুযায়ী আমি ই সেই ব্যক্তি।এবং আপনাকে এটাও জানিয়ে রাখি, আমি একজন ব্যাবসাদার হিসাবে  আপনার মত রমণী কে আমি কখনোই বিবাহ করতাম না। কারণ আপনি খুব সুন্দরী তাই আপনি এই চাহিদা রাখছেন যে, আপনার সুন্দরের দাম স্বরূপ অর্থবান পুরুষ চাই। 

     কিন্তু আমাকে আপনি একটা কথা বলুন তো? আপনার রূপ কত বছর থাকবে? পনেরো বছর? না হলে কুঁড়ি বছর? তাঁর পর আপনার রূপ চলে যাবে, কিন্তু আমার ব্যাবসা বাড়তে থাকবে। তখন তো আপনি বেকার হয়ে যাবেন। আপনার আর রূপ থাকবে না। তাহলে তো আপনাকে বিবাহ করাটা একজন ব্যাবসাদার হিসাবে আমার বোকামি হবে। তাই আমি হলে এমন পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে করতাম না।

       তাঁর থেকে আপনি একটা কাজ করুন নিজে অর্থ টা উপার্জনের চেষ্টা করুন তারপর সেই সমতুল্য পাত্র খুঁজুন।

         কি সুন্দর চমৎকার উত্তর মনে হয় এমন বিখ্যাত মানুষের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। ঐ রমণী কে বিবাহ করলে তাঁর মন কখনোই কেউ পাবে না। কারণ এর চাহিদা শুধু বাড়তেই থাকবে।

         অর্থ প্রতিটা নারী পছন্দ করে।তবে তাঁর চাহিদা টা যদি খুব বেশী হয় তখনই সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিবাহ করার আগে এই বিষয়টি একটু আলোচনা করে নেওয়া যেতে পারে। কারণ একজন সঙ্গী মানে সারাজীবনের সাথী, এবং মানুষের জীবনে সমস্যা ও যে কোন সময় আসতে পারে।এমন  সময়ে সে যেন  পাশে থাকে এটা প্রতিটা পুরুষের কাম্য। তাই নরীর কাম্য যেমন প্রাসঙ্গিক ঠিক তেমনই একজন পুরুষের ও কিছু চাহিদা বা ইচ্ছা থাকে।তাই আগের থেকে কিছু কথা বলে নেওয়া উচিত। এতে পরবর্তীতে সমস্যা কম হয়।

              #2.প্রেমিক:


                কিছু নারী বা বেশিরভাগ নারী তাঁর পুরুষ সঙ্গী কে সব সময় প্রেমিক রূপে দেখতে চাই। সব সময় প্রেমের কথা শুনতে চাই, তাঁকে যে তাঁর পুরুষ সঙ্গী চোখে হারায় সেই অনুভূতি উপলব্ধি করতে চাই।

মেয়েদের কাম্য পুরুষ
                            প্রেমের অনুভূতি 

             প্রেমের জীবন এক অসাধারণ জীবন। আন্তরিক ভালোবাস সব মানুষ চাই। একজন নারী চাই তাঁর পুরুষ সঙ্গী তাঁকে ভালোবাসার বাঁধনে বেঁধে রাখুক, তাঁর সঙ্গে রোমান্টিক কথা বলুক। এটা সব মেয়েদের একটি গোপন চাহিদা বলা যেতে পারে। তাই আপনার সঙ্গীর মধ্যে এমন চাহিদ আছে কি না একটু খোঁজ নিয়ে দেখুুন। সবাই কিন্তু মুখ ফুটে প্রাকাশ করতে পারে না।


           #3. কেয়ারিং:


                   এটা পৃথিবীতে  এমন কোন মেয়ে নেই যে সে চাই না, বা তাঁর পছন্দ নয়। মেয়েরা বিশাল কিছু চাই না, এক্ষেত্রে প্রতিটা মেয়ে চাই তাঁঁর পুরুষ সঙ্গী যেন তাঁর একটু যত্ন করে,খাওয়ার খোঁজটুকু নেই, তাঁর ভালো মন্দ দেখে। তাঁর শরীর খারাপ হলে পাশে বসে তাঁর মাথায় যত্ন সহকারে হাতটা বুলিয়ে দেয়।


        মোট কথা একটু বিশেষ মূল্য পেতে চাই। শুধু একটু মুখে খোঁজ নিলেই তাঁরা খুশি হয়।কিন্তু অনেক পুরুষ এই বিষয়টি ধরতে পারে না। তাঁরা ভাবে ঘরে খাবার এনে দিচ্ছি, যখন যা চাইছে সেটা দিচ্ছি তাহলেই তো কেয়ার করা হয়ে গেল। কিন্তু এই ভাবনাটা ঠিক নয়। চাহিদা পূরণ করা আর কেয়ার করার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এটা আগে বুঝতে হবে। মেয়েরা চাই একজন কেয়ারিং মেন্টালিটি পুরুষ  আর তাঁর সেন্স অব হিউমার যেন থাকে।

             #4. বুদ্ধিমান:


                     একটি মেয়ে চাই যেন তাঁর পুরুষ সঙ্গী টি বুুুদ্ধিমান হয়। একটু চালাক হয়। আমার সঙ্গী খুব বুদ্ধিমান এটা বলতে বা ভাবতে মেয়েরা পছন্দ করে এবং এটা নিয়ে বেশ গর্ববোধ ও করে।

             কোন নারী চাই না তাঁর পুরুষ সঙ্গী বোকার মতো কথা বলুক এবং লোকের হাস্যকারের খোরাক হোক। এটা একটা মেয়ের কাছে খুব লজ্জার।কোন মেয়ে চাই না এমন পুরুষের সঙ্গে পথ চলতে। সবাই চাই তাঁর কাছের মানুষকে সকলে প্রশংসা করুক,তাঁর বুদ্ধির তারিফ করুক।

          তাই কোন পুরুষ যদি একটু কম বোঝে তাহলে সে ইচ্ছা করলে কম কথা বলে, একটু গুরুগম্ভীর ভাব দেখিয়ে পরিস্থিতির সামাল দিতে। কারণ বুদ্ধিমান পুরুষ বেশি কথা বলে না।


            #5. সাহসী পুরুষ:


               কোন মেয়ে ভিতু ছেলে পছন্দ করে না। আমার সঙ্গী ভীষণ সাহসী এটা  ভাবতেে সব মেয়ে পছন্দ করে।

              এমন অনেক সমস্যা আসে যখন একজন ছেলের সাহসের পরিচয় দেওয়া টা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।সেই ক্ষেত্রে তাঁর পুরুষ সঙ্গী যদি ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয় তাহলে পরবর্তীতে তাঁর কপালে দুর্ভোগ আছে।সে মেয়ে তাঁকে সারাজীবন কথা শুনিয়ে মারবে।কারণ পুরুষ হবে সব সময় সাহসী। ( গোপনে একটা কথা বলে রাখি এই পয়েন্ট টা আমার বরের মধ্যে নেই। তাঁকে সব কাজে শুধু ঠেলতে হয়)


              #6. উচ্চাকাঙ্ক্ষী:


              আমার সঙ্গীর ভাবনা চিন্তা যেন আকাশ ছোঁয়া হয়,তাঁর মধ্যে যেন সকলের সেরা হওয়ার প্রবণতা থাকে এ  চাওয়াটা সব মেয়ের মধ্যে আছে।

            কোন মেয়ে গরিব জীবন যাপন পছন্দ করে না। সবাই চাই তাঁর পুরুষ সঙ্গী যেন তাঁদের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করে, তাঁরা একটু সুখের মুখ দেখতে পারে।

                 #7. সেনসিটিভ:


             সেনসিটিভ মানসিকতা থাকলে একটি পুরুষের গাম্ভীর্য বেড়ে যায়। একটি পুরুষ সঙ্গী তাঁকে সবার সঙ্গে মিশতে দেবে না বা কথাা বলতে দেবে না এটা অনেক মেয়ে পছন্দ করে।এবং এটা অন্যের সঙ্গে বলতেও তাঁরা গর্ববোধ করে। তাই এটাও হতে পারে আপনার সঙ্গীর পছন্দ।


             #8. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন:


            অনেক মেয়ে আছে যারা অপরিচ্ছন্ননতা একদম পছন্দ করে না। কিন্তু বিশেষ করে বিয়ের আগে বলতে গেলে বেশিরভাগ পুরুষ ই পরিচ্ছন্ন তাকে গুরুত্ব দেয় না।
             কিন্তু একটি মেয়েকে খুশি করতে গেলে এই গুন টি আয়ত্ত করতে হবে।

            #9.সংসারি এবং গোছানো:


               একটি পুরুষের মধ্যে সংসারি এবং গোছানো মনোভাব থাকুুক এটা সব মেয়ে পছন্দ করে না। কিছু মেয়ে আছে যারা এমন ধরনের ছেলে একদম পছন্দ করে না।আবার কিছু মেয়ের এটা মূল চাহিদা থাকে বা পছন্দ করে।


            #10. শারীরিক ফিটনেস:


                 বেশিরভাগ নারী চাই তাঁর স্বপ্নের পুরুুষ টি যেন শারীরিক দিক দিয়ে যেন একদম পারফেক্ট থাকে।কোন মেয়ে  চাই না যে তাঁর একটা মোটা ভুুঁড়ি থাক বা দশাশই চেহারা হোক।

             তাই প্রতিটি পুরুষের উচিত তাঁর শরীর কে একটু যত্ন করা, শারীরিক কসরত করে বডি ঠিক রাখা।

মেয়েদের কাম্য পুরুষ
                             ফিটনেস বডি 
                       

            #11.সফল পুরুষ:


               জীবন সঙ্গীর সাফল্য একজন নারী ভীষণ পছন্দ করে। তাঁর সঙ্গী জীবনে একটার পর একটা বিষয়ে সফলতা অর্জন করছে এটা দেখতে সব নারী পছন্দ করে। এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।

            #12. মার্জিত আচরণ:


            পুরুষের উগ্র আচরণ কোন মেয়ে পছন্দ করে না।মার্জিত ব্যবহার  একটা সম্পর্কের মধ্যে একটা আলাদা মার্তা বয়ে আনে। 

            আর একটি পুরুষের মার্জিত আচরণ তাঁর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করায়।

                 #13. পোশাকি রুচিশীলতা:


               এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি সকল মেয়ে চাই তাঁর পুরুষ সঙ্গী পোশাক যেন রুচিশীল হয়, যেন যাইহোক কিছু একটা পড়লেই হলো এমন চিন্তা ধারা যেন না থাকে।

               আর তাঁর সঙ্গী যেন পরিবেশ পরিস্থিতি সময়ের জ্ঞান বুঝে পোশাক পড়ে।

               #14. কথা বার্তায় রসবোধ:


                সঙ্গীর একটু খানি মিষ্টি কথায় যেন প্রাণ টা জুড়িয়ে যায়। এটা শুধু একটি নারী নয় প্রতিটা পুরুষ ও পছন্দ করে। 

              কর্কশ কথা কোন মেয়ে সহ্য করতে পারে না। একটু ইনিয়ে বিনিয়ে কথা মেয়েরা পছন্দ করে। সঙ্গে যদি প্রেম আলাপ হয় তো পুরো জমে যাবে।

              #15. সুন্দর মানসিকতা:


                 সুন্দরের ভক্ত সবাই।  উপরের চাকচিক্যর থেকে অন্তত  সুন্দর মানসিকতা সব মেয়েই পছন্দ করে।
মেয়েদের কাম্য পুরুষ
                                প্রেমের পরশ
    
          তাঁকে বুঝবে, তাঁর সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করবে, একটু সুন্দর করে তাঁর সঙ্গে মনের সব কথা খুলে বলতে পারবে এ চাহিদা প্রতিটা মেয়ের মধ্যে থাকে। সঙ্গীর সঙ্গে সব কিছু শেয়ার তখনই করা সম্ভব হয় যখন তাঁর একটি সুন্দর মানসিকতা থাকে, তাঁর সঙ্গে কথা বলে ভরসা পাওয়া যায়।


                                  উপসংহার 


          তাহলে বুঝতেই পারছেন বিশাল লম্বা একটি তালিকা।তবে সকালের মধ্যে যে সব গুন থাকবে এমনটা তো সম্ভব নয়। তাই এর সমাধানে এটা বলা যায়,  মহিলারা কি চাই সেটা না ভেবে আপনি বরং এটা জানার চেষ্টা করুন আপনার সঙ্গী কি পছন্দ করে।

        কারণ প্রত্যেকটি মানুষের চাহিদা ও ব্যক্তিত্ব আলাদা আলাদা।হয়তো আপনার সঙ্গী টাকা পয়সার তুলনায় বুদ্ধিমত্তা কে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার কেউ পছন্দ করে শারীরিক ফিটনেস। কারওর বা অন্য কোনও গুন পছন্দ। তবে একজন মানুষ কখনোই অন্য একজনের সব চাওয়া পূরণ করতে পারে না।

          কিন্তু সঙ্গীর প্রতি কেয়ারিং হওয়া বা সঙ্গীর প্রত
 দায়িত্বশীল হওয়া টা অবশ্যই সম্ভব। আপনি যদি শুধু মাত্র আপনার সঙ্গীর চাহিদার কথা বুঝতে পারেন , তাহলে আপনাদের সম্পর্কের   রসায়ন দীর্ঘদিন বজায় থাকবে।



           আমার লেখা যদি ভালো থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং একটা কমেন্টস করবেন।


চিত্র সূত্র- pixabay.com 

তথ্যসূত্র- ড. ডি নারায়ণ রেড্ডির সাক্ষাৎকার 

Tags, মেয়েদের কাম্য পুরুষ 

ধন্যবাদ 😊

  


 
     
      

   

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.