প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে বুঝতে পেরেছিলেন এমন কিছু জিনিস কী কী?

 

প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে বুঝতে পেরেছিলেন এমন কিছু জিনিস কী কী? 


                   শৈশবের ধুলো, মাটি কাঁদা ধুয়ে, আবেগঘন কৈশর ছাড়িয়ে কখন যেন আনমনে পা দিয়ে ফেললাম, প্রাপ্তবয়স্কোর চৌকাঠে। আমাদের   শৈশব কেটেছে মনের আনন্দে, নেচে কুুঁদে। আমরা কোন গন্ডি তে বন্দী হয়ে শৈশব কাঁটায়নি। প্রকৃতির ছোঁয়ায় আমাদের বেড়ে ওঠা। এই সহজ সরল জীবন টা ছাড়িয়ে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠলাম তখন এই পৃথিবীটাকে নতুন করে চিনতে শুরু করলাম, পাল্টে গেল জীবনের মানে টা, না বোঝা জিনিস বুুঝতে, জানতে কেটে যাচ্ছে এক একটি দিন। এ  জানা, বোঝার খেলা চলবে মৃত্যুু আগ পর্যন্ত। দিন শেষে পাল্টাতে থাকবে জানা, বোঝার সঙ্গা। তবে জীবনটাকে উপভোগ করতে হলে, জীবনে ঘটা ভালো, মন্দ সব কিছু কে মেনে নিতে হবে, এবং  মন্দ কে, ভালোর  রং,তুলি দিয়ে  চাপা দিতে হবে। নিজেকে ভালো রাখার এটাই উত্তম উপায়, গ্রহণ করতে হবে গোটা বিশ্ব কে--

প্রাপ্তবয়স্কের উপলব্ধি
                                বিশ্ব আমার
                     চিত্র সূত্র- pixabay.com 
 

তবে খুুুব ভালো করে রপ্ত করতে শিখতে হবে বিশেষ কিছু কিছু জিনিস। খুব সাবধানে নিজেকে সরাতে হবে, ঝুট ঝামেলা, কুট কাছালি থেকে।আসুন এবার জানি---


   প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে কোন কোন জিনিস গুলি বোঝা যায়-----


          #1. নিশ্চুপ থাকা:


                     যখন আমাদের কম বয়স থাকে তখন আমরা কোন অসত্য কথা মেনে নিতে পারি না। কেউ মিথ্যা বললে সহ্য করতে পারি না, কেউ  বাড়িয়ে কথা বললে তাঁর কথা ধরি ইত্যাদি অনেক কিছু করি।

              কিন্তু যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠি তখন আর ঐ সমস্ত বিষয়ে মন দিতে ইচ্ছে করে না। তখন নিশ্চুপ থাকাকেই স্রেয় বলে মনে করি। তবে সবাই এমন থাকে না। ব্যক্তিত্ব পূর্ণ মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে নিজেকে সংযত করে। 

         কিছু মানুষ আছে যাঁরা, অন্য কে কথা বলার সুযোগ দেয় না,  নিজের কথা গড়গড় করে বলতে থাকে, এটা কখনোই সভ্যতার লক্ষণ নয়। 

           এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ে গেল- আমার পাশের ফ্ল্যাটে একজন ভদ্রমহিলা আছেন যাঁর কাছে আমি আজও পর্যন্ত একটা কথা বলার সুযোগ পায় না। তিনি কাউকে কথা বলতে দেন না। হয়তো আমি কিছু বলতে গেলাম,  সঙ্গে সঙ্গে  আমার কথা থামিয়ে দিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে শুরু করে দেন। এখানে আমি একদম নিশ্চুপ থাকি। আমি কেবল হা করে কথা শুনি। এবং এমন ভাব করি যে আমি কিছুটি বুঝি না। কিন্তু যখন আমার বয়স কম ছিল তখন হলে, এ মহিলার খবর ছিলো। 

             একটা সময় আমি খুব কথা বলতাম। সব বিষয়ে মতামত প্রদান করতাম। এখন সেই সব দিন গুলোর কথা মনে করলে নিজেকে কেমন বোকা বোকা লাগে। আসলে এই উপলব্ধি টা আসে প্রাপ্তবয়স্ক তে উপনীত হয়ে। বেশ কিছু বিষয়ে নিশ্চুপ থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।


              #2. জীবনে বন্ধুত্ব জরুরী নয়:


                  কম বয়সে মনে হয়, বন্ধুত্বই হল জীবনের   সুুখ। এখনো কিছু মানুষ আছে প্রাপ্তবয়স্ক তে উপনীত হয়েও এমন টা মনে করে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বা বন্ধুত্ব খুুুব ভালো জিনিস, তবে এটা জীবনের মূখ্য কিছু নয়।

             যখন বয়স কম থাকে তখন মনে হয়, বন্ধুর জন্য জীবন টাও বাজি রাখতে পারি। কিন্তু একটা সময়ের পর এই মোহ কেটে যায়। সত্যি কথা বলতে, যদি বাস্তব মানো, তাহলে দেখতে পাবে যদি তোমার পকেটে টাকা না থাকে তাহলে অতি প্রিয় বন্ধুও তোমার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাইবে না। আর নিজের পকেট খালি থাকলে তখন তাঁদের কাছে নিজেকে খুব ছোট মনে হবে, নিজের আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। আর প্রাপ্তবয়স্কে উপনীত হলে দেখা যায়, যত ভালো বন্ধুত্বই হোক না কেন,  মনে মনে একে অপরের সঙ্গে কম্পিটিশন করে। এবং সবাই প্রুফ করতে চাই আমি বেটার আছি। এটা একটা মানসিক অস্থিরতা ডেকে আনা ছাড়া অন্য কিছু নয়। 

             যখন মানুষ প্রাপ্তবয়স্কে উপনীত হয়, তখন পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে, লক্ষ্য করে দেখবেন বেশিরভাগ মানুষই নিজে কি কি সঞ্চয় করেছে, নিজে কতটা Happy আছে এর বর্ণনা দিতেই ব্যাস্ত থাকে। নিজেদের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি গুলি আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করে না বা নামমাত্র উল্লেখ করে। 


              এই সময় ই বোঝা যায়,  বন্ধুত্ব জীবনের যে খুব জরুরী তা কিন্তু নয়। 


         #3. দামী বস্তু পরিধান করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে যাওয়া বোকার লক্ষণ:


               একটা সময় থাকে যখন মনে হয়, যদি দামী জামা কাপড়, অলঙ্কার না পড়ি তাহলে সবাই হয়তো আমাকে অবহেলা করতে পারে, আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে পারে। এই সমস্যায় আমি নিজে খুব ভুগেছি। আমার মনে হত,এক জামা দুুুুদিন পড়লে লোকে আমাকে গরীব ভাববে, আমার সঙ্গে মিশবে না।

         এই সমস্যা মেয়েদের বেশি হয়। আমরা গহনা, এবং দামী জামা কাপড় কে আভিজাত্য ধরে বসি। অনেকে আছে, কোন অনুষ্ঠানে কেউ যদি একটু কম দামের জামা কাপড় পরিধান করে বা কম অলঙ্কার গায়ে দেয়,  তাহলে তাঁর দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। এটা বোকার লক্ষণ ছাড়া অন্য কিছু নয়। অলঙ্কার দিয়ে কখনো আভিজাত্য মাপা যায় না,  আভিজাত্য প্রকাশ পায়,  ব্যবহার ও পরিচয়ে। 

           পৃথিবীর মহান মহান ব্যক্তিরা নিজের উপরের সৌন্দর্য নিয়ে মাথা ঘামান না, তাঁরা ভিতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে তৎপর থাকেন। ফেসবুক কর্তার মাত্র চারটি টি শার্ট। 

               তবে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এই উপলব্ধি হওয়া সম্ভব নয়। যদিও কিছু কিছু মানুষের কোন দিন ও এই উপলব্ধি হয় না। 


           #4. পৃথিবীতে বাবা মায়ের মতো আপন আর কেউ নয়: 


                আমরা যখন বাবা মায়ের সান্নিধ্যে থাকি তখন বুঝতে পারি না কোন ফাইভ স্টার হোটেল আছি।  এই মজার জীবন একবার অতিবাহিত করলে আর কখনো ঐ শান্তির দিন আর ফিরবে না। মনে পড়ে, কোন কাজ না করে, আরাম করে খেয়ে দেয়ে আবার কত মেজাজ দিয়েছি! 

             একটি ছেলে যখন সংসার জীবনে প্রবেশ করে তখন বুঝতে পারে কেন বাবা আমাদের হুকুম মতো সব জিনিস আনতে ভুলে যেত। একটি মেয়ে যখন দিনের পর দিন রান্না ঘর থেকে আর ছুটি পায় না তখন সে মায়ের কষ্ট টা উপলব্ধি করতে পারে। 

             একটা বিষয় এখন আমার খুব লজ্জা লাগে, আমি একটা সময় মায়ের হাতের কোন কাজ করতাম না। আমি কোন দিন রান্না করিনি মায়ের কাছে থাকতে। এখন খুব খারাপ লাগে,  ইচ্ছা করে মাকে রান্না করে খাওয়াতে কিন্তু সেটা আর সম্ভব নয়। 

          যতই তুমি ভুল কর, অন্যায় কর, বাবা মা একটু শাসন করলেও তোমাকে দূরে কখনো ঠেলে দেবে না। এ যেন এক অদ্ভুত মায়ার সম্পর্ক। আমার husband এর একটা কথা আমার খুব ভালো লাগে। ও বলে, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি কিন্তু আমার ভালোবাসার মধ্যে একটা স্বার্থ আছে।কিন্তু বাবা মা ভালোবাসে নিঃস্বার্থ ভাবে। 

         হ্যাঁ, এটা ঠিক বাবা মা সন্তান মানুষ করে এবং তাঁরা চাই তাঁদের সন্তান যেন, তাঁদের  শেষ বয়সের কাণ্ডারী হয়। কিন্তু তাঁরা যতটা কষ্ট করে আমাদের মানুষ করতে, তার মূল্য কি আমাদের পক্ষে কখনোই দেওয়া সম্ভব!

          আমরা আমাদের জীবনে বাবা মায়ের অবদান ছোটবেলায় বুঝতে পারি না,  যখন আমরা প্রাপ্তবয়স্ক হই, নিজে সন্তানের মুখ দেখি তখন তাঁদের অবদান বুঝতে সক্ষম হই। 


         #5. অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা ঠিক নয়: 


        যখন বয়স কম থাকে তখন আমরা নিজেদের বড্ড অন্যের সঙ্গে তুলনা করে ফেলি। আমরা বলি, ও এটা করছে আমি কেন করব না, সে ওটা কিনল আমি কেন কিনব না। আমাদের মাথায় এই সময়  বাস্তব পরিস্থিতি ঢোকে না। 

            সব থেকে বেশি জেদ করি পড়াশোনার বিষয়ে। কেউ দামী স্কুলে বা দামী কলেজে ভর্তি হলে তখন মনে হয়, আমার জীবন নষ্ট। আমি আর বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারব না ইত্যাদি ইত্যাদি ফালতু চিন্তা মাথায় ভর করে। 

         আমার জীবনে এমনটাই ঘটেছে। আমার ইচ্ছা ছিল ভূগোল নিয়ে পড়ার কিন্তু বাবার সামর্থ্য ছিল না। আমি ভর্তি হলাম বাংলা নিয়ে। ফলে আমার পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে গেল। ভালো রেজাল্ট করতে পারলাম না।ফলে বি.এড করা হলো না। 

         এখন পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি, যাঁরা সেই সময় ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করেছে তাঁরা  আজও চাকরির জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করেও অনেকেই চাকরি পেয়ে গেছে। এখন বুঝতে পারি কারো সঙ্গে নিজের তুলনা করে সময় নষ্ট করা কতটা বোকামি। অবশ্য বাংলা ই এখন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি গল্প লিখতে পারছি। 


       #6. অন্তরের কথা কাউকে বলা ঠিক নয়:


          যখন ছোট ছিলাম তখন আমার একটা মস্ত বড় দোষ  ছিল। আমি নিজের পেটে একটা কথাও রাখতে পারতাম না। সত্যি কথা বলতে এই কিছু দিন হল আমি এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করেছি। আমার মনে হতো সবাই আমার খুব আপন। কিন্তু কিছু বিষয়ে ঠকে গিয়ে এখন পরিবর্তন হয়েছি। 

          প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এই জ্ঞান জন্মায় না যে, কিছু কিছু বিষয় একদম ব্যক্তিগত থাকে, যেটা কাউকে বলতে নেই।

প্রাপ্তবয়স্কের উপলব্ধি
                     গোপন কথা গোপন রাখুন
                      চিত্র সূত্র- pixabay.com 


       সমস্যা হয় কোথায় দেখুন, আপনি যখন কাউকে আপনার মনের গোপন কথা বলেন তখন তাঁকে খুব আপন ভাবেন। কিন্তু আমাদের এই পৃথিবীর মানুষ কখনো একি সরলরেখায় শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করে না,বা  বলা ভালো করতে অভ্যস্ত নয়। কোন না কোন সময় তাঁর সঙ্গে বিবাদ হবেই। আর যখনই আপনি তাঁর মত অনুযায়ী , মর্জি মোতাবেক চলবেন না তখনই সে আপনার গোপন কথা টিকে হাতিয়ার করে আপনার পিঠে ছুড়ি বসাতে চেষ্টা করবে। কিসে আপনাকে অপদস্থ করা যায় সেই প্লান কষবে। 

            তাই যাঁরা বুদ্ধিমান মানুষ তাঁরা কখনো গোপন কথা কাউকে বলে না। যদিও আমি নিজে মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। চেষ্টা করছি এই আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করার। 


             #7. প্রেম করবই এই মনোভাব ত্যাগ করা উচিত:


            আমরা যখন সবে যৌবনে পা দিই তখন মনে করি জীবনে প্রেম না করতে পারলে সে জীবন বৃৃথা।একটা কথা বলি, প্রেম কখনো করতে হয় না, প্রেম জীবনে চলে আসে। কখন আসবে কিভাবে আসবে কেউ জানে না।

         কিন্তু যাঁরা মনে করে প্রেম করতে হবে তাঁরাই চরম ঠকা ঠকে। কারণ তাঁরা প্রেম করার জন্য কাউকে খুঁজতে থাকে এবং সামনের মানুষ টা তাঁকে মন থেকে পছন্দ করে কি করে না সে খোঁজ নেয় না। এই পৃথিবীর অনেক মানুষ আছে যাঁরা অন্য কে ধোঁকা দিতে বিন্দুমাত্র পিছপা হয় না। এরা সুযোগ বুঝে তার সৎব্যবহার  করে।  

            আমরা যৌবনে খুব আবেগপ্রবণ থাকি বলে এগুলো বুঝতে পারি না। তাই বলছি, আপনি চাইলেই আপনার জীবনে প্রেম আসবে না। আবার কারো মনের সঙ্গে মন মিলে গেলে আপনার বোঝার আগেই মন চুরি হয়ে যাবে। 

            তাছাড়া আর একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে অনেকের মনে যে, প্রেম জীবনে বিবাহের আগে আসে। না এমন কোন লিখিত নিয়ম নেই। অনেকেরই জীবনে প্রেম আসে বিবাহের পরে। এবং তাঁরা খুব Happy তেও  থাকে। 




         #8. নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে:


              যখন আমাদের সত্যি কারের পড়াশোনা করার সময়,  নিজের কেরিয়ার গঠন করার সময় আমরা সেই সময় টিকে হেলায় নষ্ট করি। খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে, গল্প করে, আড্ডা দিয়ে মূল্যবান দিন গুলো অতিবাহিত  করি।


         চোখের পট্টি খোলে যখন প্রাপ্তবয়স্কের দৌড় গোড়ায় পৌঁছায়! তখন মনে হয়, কি ভুল কাজটাই না করেছি। এখন যে করেই হোক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। 

             সত্যি কথা বলতে,  অর্থ না থাকলে কেউ তোমাকে সম্মান  করবে না। সম্পর্ক সবার সঙ্গে থাকলেও সম্পর্কের  মধ্যে কোন মিষ্টতা থাকবে না। এই পৃথিবীর সকলেই চাই ভালো থাকতে। যখন তাঁদের ভালো থাকার ঘাটতি পড়ে তখন তাঁরা কখনোই ছেড়ে কথা বলবে না।

         এখন ছেলে, মেয়ে নির্বিশেষে একটা কর্মের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত। এতে সংসারে যে যার আলাদা আলাদা মর্যাদা থাকে। আমাদের উপরে একটা সময়ের পরে বাবা মা, সন্তান,  পরিবার মোট কথা সব কিছুর দায়িত্ব এসে পড়ে। এখানে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচ তে গেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। এখানে আবেগের কোন জায়গা নেই। তাই এই সত্যি টা যে যত তাড়াতাড়ি বোঝে তাঁর জীবন তত সুন্দর হয়ে ওঠে। এটা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বোঝা টাই বেটার।

          " Money can't but happiness"

 এটা স্রেফ কথার কথা। বাস্তব জীবনে একথা মিথ্যা প্রমাণ করে।


                #9. কোথাও নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে যাওয়ার দরকার নেই:


              আমার কোন দায় নেই কারো কাছে নিজের ভালো মন্দের প্রমাণ দিতে যাওয়ার। নিজের মধ্যে যদি কোনও খারাপ অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা নিজের ভালোর জন্য পরিবর্তন করব। কারণ একজন ভালো মানুষ হওয়া টা আমার জন্য ভালো। তার মানে কিন্তু এই নয় যে,  সবার কাছে আমি খুব ভালো এটা প্রমাণ করতে যেতে হবে। 

        এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে এবং আজীবন থাকবে যাঁদের কাছে তুমি কখনোই হাজার  চেষ্টা করলেও ভালো হতে পারবে না। তাই এই ব্যর্থ চেষ্টা করে নিজের মন কে ক্লান্ত করার কোন মানেই হয় না। কারো জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতে যেও না, নিজের জন্য নিজের পরিবর্তন কর। 

          কিন্তু যতক্ষণ  আমরা পরিপূর্ণ বুদ্ধিতে না পৌঁছায় ততক্ষণ আমরা এটা বুঝতে পারি না।      


             #10. সামাজিক মাধ্যম গুলোই সব নয়:


                আমাকে যে সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত থাকতেই হবে তার কোন মানে নেই। সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত থাকলেই যে সে আধুনিক তা কিন্তু নয়। সামাজিক মাধ্যমের বাইরেও বিশাল একটা জগৎ আছে। 

         সামাজিক মাধ্যমে অনেক কিছু শেখার আছে। তবে এখন কার বেশিরভাগ মানুষই শিক্ষার থেকে অশিক্ষার দিকে বেশি ঝুঁকছে। 

                প্রাপ্তবয়স্কে উপনীত হয়ে কোথায় কখন কতটুকু সময় ব্যয় করছি এই হিসাব টা রাখা দরকার। 



                                  উপসংহার 


              কম বয়সে আমরা অনেক ভুুুল করতেই পারি। কিন্তু যখন প্রাপ্তবয়স্কে পা দেব তখন  আর ভুলের জায়গা নেই। এখন ভুল করলে তার মাশুল গুনতে হবে সারাজীবন।  আগে যেটা আমরা বুুঝতে পারি না  সেটা খুব ভালো বুঝতে পারি প্রাপ্তবয়স্ক এসে। এটাই জীবন সংশোধনের সময়। 


ধন্যবাদ। 

চিত্র সূত্র- pixabay.com 

তথ্যসূত্র- আমি উপরে উল্লিখিত পয়েন্ট এ সাহায্য নিয়েছি, ইংরেজী কোরার বিখ্যাত লেখক- Celihe hely Anderson এবং নিজস্ব মতামত।

TAGS,   প্রাপ্তবয়স্ক উপলব্ধি,  আত্মা উন্নয়ন, 



কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.